রাম রাজত্বে জোড়া অন্তর্জলি যাত্রা,বামপন্থা
এবং বহুজন রাজনীতির!জেতার পরেও বিপদে দিদি!
পলাশ বিশ্বাস
কংগ্রেসকে দেশ প্রত্যাখ্যান করেছে,এর চাইতে শুভ আর কিছু হয়নি বহুদিন।
বামেরা ধর্মনিরপেক্ষতার নামে,এবং প্রবল বামবিরোধী মমতা ব্যানার্জিও ধর্মনিরপেক্ষতার দোহাই দিয়ে কংগ্রেস সমর্থনের জোরে তৃতীয় ফ্রন্টের তোড়জোড় করে মধ্যাবধি নির্বাচনে আবার কংগ্রেসকে ফিরিয়ে আনার ফন্দি আঁটছিলেন,তা বানচান হল,দেশের ও জনগণের পক্ষে সবচাইতে বড় সুখবর।
কিন্তু বাম ও বহুজন রাজনীতির দাযবদ্ধতার অভাবে,তাঁদের জাতপাত ধর্মের রাজনীতিকে ক্যাশ করে তাদের অপ্রত্যক্ষ মদতে বা তাঁদের দৃষ্টিহীনতার কারণে অভূতপূর্ব মেরুকরণে দেশ দখল করল কল্কি অবতার ও রাম রাজত্ব স্থাপিত হযে মনুস্মৃতি শাষনে হিন্দূ রাষ্ট্রের জয় জয়কার,আসলে অশণি সংকেত ইহাই।
শুধু ভারতীয় বহিস্কৃত বহুসংখ্য জনগণের জন্যই নয়,শুধু বর্ণবৈষম্যের শিকার অস্পৃশ্য ভারতীয় অর্ধেক ভূগলের জন্যই নয়,বাংলাদেশেও পাকিস্তানে এবং পৃথীবীর অন্যান্য দেশে বসবাসকারি হিন্দু সংখ্যালঘুদের জন্য এবং সেই সমস্ত দেশে বাস্তবিক ধর্মনিরপেক্ষ আন্দোলনের জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতি এই মীডিয়া করপোরেট মেরুকরণ জনাদেশ।
কিন্তু কোনো মুল্যে কংগ্রেস প্রত্যাবর্তন প্রত্যাশিত নয়,ভারত ভাগে পার্টিশানের বলে কোটি কোটি মানুষের জীবন জীবিকা নাগরিকত্বের মুল্যে প্রতক্ষ্য অপ্রত্যক্ষ ক্ষমতা দখল করতে অভ্যস্ত বিশ্বব্যান্কীয় কংগ্রেসের।
বিকল্পহীনতার ফসল এই মেরুকরণ।
বাম ও বহুজন রাজনীতির পরস্পরবিরোধী মনোভাব ও সর্বস্বহারা ভারতীয় জনতার প্রতি তাঁদের দায়বদ্ধতার অভাবই এই বিকল্পহীনতার কারণ।
সারা ভারতের ক্ষমতা দখল করা হিন্দুত্ব মরুকরণের বিরুদ্ধে আইডেন্টিটি ও সাম্প্রাদায়িকতার ঝড় তুলে অসম্ভব,আবার প্রমাণ হল।
প্রেসিডেন্সিয়্যাল শৈলির নির্বাচনী প্রচারে সংঘ পরিবার যাবতীয় জ্বলন্ত ইস্যুক মার্জিনে ঠেলে মোদীপক্ষ বনাম মোদী বিপক্ষ যেমেরুকরণ করতে সমর্থ হল,ধর্মনিরপেক্ষতার জিগির তুলে সেই ফাঁদে পা দিয়ে কংগ্রেস,বাম,বহুজন সব পক্ষই জনগণের কোনো সমস্যাই নির্বাচনী ইস্যু করতে পারেনি,তাই চতুর্দিকে এই পদ্ম বাহার।
1984 সালেও সংঘ পরিবার জনাদেশ তৈরি করতে লীড করেছিল হিন্দূ স্বার্থ রক্ষার কংগ্রেস সমর্থক ফতোয়া দিয়ে,শেষ যেবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ক্ষমতা দখল করতে পেরেছিল,কিন্তু তখনও বাংলা,কেরল ও ত্রিপুরা ছাড়াও সারা দেশে বাম আন্দোলন ছিল,বাম সগঠন ছিল।
তারপর একের পর এক সৌদাবাজি করে বাংলায় ক্ষমতা দখলের বৈপ্লবিক তাকীদে জাতপাতের রাজনীতির ভরসায়,মুসলিম সাম্প্রদায়িকতাকে লগ্নি করে বামেরা পরের পর জমি হারাতে থাকে।
থেমে যায় ভূমি সংস্কার।
অন্যদিকে কাশীরাম এসটি,ওবিসি,এসসি ও মািনোরিটি সমন্বয়ে পচাশি প্রতিশতের ক্ষমতাদখলের রাজনীতি করছিলেন 1984 র পর পুরো দমে।
এবার কিন্তু একই সঙ্গে অসুর মহিষাসুর বধ সম্পন্ন হল রামরাজত্বে।
মন্ডল রাজনীতি শেষ।
শেষ বাম রাজনীতিও।
মাযাবতী উত্তর প্রদেশে একটি দুটি আসনে নয়,নয় নয় করে তেত্রিশটি আসনে দু নাম্বার,অথছ একটি সীটও পাননি।
মুছে গেছেন লালূ যাদব।
পরিবারের বাইরে অ্যদের জেতাতে অক্ষম মুলায়ম।
ভোটব্যন্ক রাজনীতি সংঘের মাস্টারস্ট্রোকে শেষ।
এবার বাংলার মতোই সারা দেশে ওবিসি আর বহুজন রাজনীতিতে থাকছে না।
মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্বে দেশের সবচেয়ে বড় জনগোষ্ঠি ওবিসির গৌরিকীকরণ সম্পন্ন,সংরক্ষণও শেষ।
যেমন গো বলয়ের নেতারা বোঝেননি,বলদ বুদ্ধিতে বামেরাও এই পরিণতি আঁছই করতে পারেননি।
নরেন্দ্র দামোদর মোদীর ধর্ম কর্ম ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিকে গো হারা হারিয়ে দিয়ে একযোগে রামরাজত্বে বাম ও বহুজন রাজনীতির অন্তর্জলি যাত্রার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
শপথ নেওয়ার আগে নির্বাচনী মেরুকরণ আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলেন ওবিসি চায়ওয়ালা সংঘ পরিবার এই নির্বাচনে বাংলার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ধার করে বহুজন আন্দোলনের বাইরে ওবিসিকে নিয়ে এসে জাতপাতের মন্ডল রাজনীতি শেষ করে দিয়েছেন।
উত্তর প্রদেশে ও বিহারে বামপন্থীরা আশা করেচিলেন মায়া,লালূ ও মুলায়ম রামযাত্রা ভঙ্গ করে দেবেন।
সেই হিসাব কষে তৃতীয় ফ্রন্টের তোড় জোড় চলল ভোট গণনার আগের সন্ধ্যা পর্যন্ত,যখন কংগ্রেস তরফে ধর্মনিরপেক্ষ প্রধানমন্ত্রিত্বের টোপ দেওয়া হল বাংলার অগ্নিকন্যাকে।
সংঘ মাস্টার স্ট্রোক বুঝতে পথে হল দেরী।
বাংলায় শ্রীরামপুরে মোদী অনুপ্রবেশকারি বাংলাদেশি হটাও বলে যখন রণহুন্কার দিলেন,দিদিকে টাপে রেখে গুপচুপ সমঝৌতা ওয়াস্তে তড়ি ঘড়ি সিবিআই ভরষায় ধর্মনিরপেক্ষ বামেরা কোনো আক্রমণ মোদিকে করলেন না এই ভেবে যে চতুর্মুখি ভোট কাটাকাটিতে লাভের গুড় তাঁদেরই।
অথচ মমতা যুদ্ধ ঘোষমা করলেন মোদীর বিরুদ্ধে।
পাল্টা মোদী শরণার্থী ও মতুয়া কার্ড খেললেন।
কংগ্রেস যে চারটি সিট জিতেছে,তাঁদের কেরামতি থাকলেও,এই মেরুকরণ প্রথম ও দ্বিতীয় দফায হলে বাংলায় তৃণমুল খাতায় চলে যেত সমস্ত মুসলিম ভোট,যা তৃতীয,চতুর্থ ও পন্চম দফার হাল হকীকত।
কংগ্রেস তৃণমুল কংগ্রেস বোঝাপড়া বাম নেতৃত্ব বুঝতে পারেনি, যখন নির্বাচনকমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বাস্তবে দাঁড় করিয়ে তিন দফায বহু কেন্দ্রে সহিংস একতরফা ছাপ্পা করল।
ধর্ম কর্মর সংঘ নিয়ন্ত্রিত বহার লক্ষ্য করুন,শনিবার দিল্লিতে বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে যোগ দেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে স্বাগত জানাতে বর্ণাঢ্য রোড শো-এর আয়োজন করা হয়। বৈঠক শেষে বারাণসীর পথে নমো। সেখানে গঙ্গা তীরে বিশেষ প্রার্থনায় যোগ দেন।
সবে নীতীশ কুমার ইস্তীফা দিয়েছেন,রাজ্যে রাজ্যে পদ্মফসল,বিধানসভা নির্বাচনে আরও স্থাই বন্দোবস্ত করতে এই রামযাত্রা জারি রাখবেন মোদী।
2016 র বিধানসভা নির্বাচনে আরও বড় শক্তি হয়ে দিদির রাজত্বেও থাবা বসাতে চলেছে গৌরিক শিবির।
দিদিও অপরাজেযয় নন।
34 টি লোকসভা আসন দেতার পরেও দিদির কেন্দের ভবানীপুরে বিজেপি প্রত্যাশী তথাগত রায়ের লীড,কোলকাতার দুটো আসনে বিজেপির 25 শতাংশের বেশি ভোট,তৃণমুলি জয়ের ব্যবাধান কমা আগামী বিধানসভা নির্বাচনের নূতন ও অভিনব বিচার্য বিষয়।
আমি এবং আম্বেডকর আন্দোলনের বিশেষজ্ঞ,স্বয়ং বাবাসাহেবের নিকট আত্মীয় আনন্দ তেলতুম্বড়ে অনেক আগে থেকেই লিখে আসছি ধর্মনিরপেক্ষতা আসলে কোনো ইস্যু নয়,বরং এই ইস্যুতে যে মেরুকরণ হবে,তার ফলে আরএসএসের ক্ষমতা দখলের মুশকিল আসান হবে।
দেরিতে হলেও বাম বুদ্ধিজীবিরা এই সত্য উপলব্ধি করতে পারছেন।
তাঁরা এখন লিখতে শুরু করেছেন বস্তাপচা এই তত্ব দাঁড় করিয়ে বামপন্থীরা ক্রমাগত কংগ্রেসের জনসংহারি সংস্কার নীতির সমর্থন করে জনসমর্থন হারিয়েছেন এবং সারা দেশে বাম আন্দোলনের দফা রফা করতে যা যা করার করেছেন।
মায়াবতী,লালূ,মুলায়ম,নীতীশকে অবিরত সমর্থন দিয়ে সারা ভারতে পার্টির বারোটা বাজিয়েছেন।
মধ্যপ্রদেশের বামপন্থী বিশিষ্ট হিন্দী কবি অশোক কুমার পান্ডে ত রীতিমত খোলা চিঠি লিখেছেন প্রকাশ কারাট,সীতারাম ইয়েচুরি ও তাবত বামনেতাদের লিখে অভিযোগ দায়ের করেছেন যে ধর্মনিরপেক্ষতার নামে মুসলিম সাম্প্রদায়িকতা কে কোলে কাঁখে নিয়ে বাস্তব ধর্মনিরপেক্ষতাকে জলান্জলি দিয়ে 2014 র লোকসভা নির্বাচনে মেরুকরণ উত্কর্ষে জমির শেষ টুকরো ও হারিয়েছেন বামপন্থীরা।
Time for Modinomics
How Modi can transform economy in 6 months
- If Modi brings about the good management he has promised, growth could ramp up to 6.5% next year and stabilise around 7% subsequently.
- http://economictimes.indiatimes.com/
How Amit Shah swept Uttar Pradesh for BJP
How Amit Shah swept Uttar Pradesh for BJP
Uttar Pradesh formed the fulcrum of the BJP's astonishing win with the party winning an eye-popping 71 seats, more than the UPA's overall tally.
- http://economictimes.indiatimes.com/
Live: Modi in Delhi | India to emerge as global powerhouse: PM
http://economictimes.indiatimes.com/
2 Hours ago
ECONOMICTIMES.COM Prime Minister designate Narendra Modi arrived in Delhi to a rousing welcome after massive victory in 2014 Lok Sabha polls.
The story of 71/80: How Amit Shah swept UP for BJP | All about Shah
3 Hours ago
ET Bureau Uttar Pradesh formed the fulcrum of the BJP’s astonishing win with the party winning an eye-popping 71 seats, more than the UPA’s overall tally.
SA Aiyar: How Modi can transform economy in 6 mths | Could it be Priyanka in 2019?
3 Hours ago
If Modi creates optimism, consumers will once again start consuming, investors once again start investing & bureaucrats once again start moving files.
Varanasi prepares to welcome Narendra Modi
How super Modi pulled BJP back from the brink
Why Muslim votes did not count in UP & Bihar
Secret diary of Sonia: Why Rahul took responsibility
Post emphatic win, Modi to decide cabinet ministers
What the West want from Modi as PM?
- » More from Top News
No comments:
Post a Comment