Friday, May 30, 2014

এই ভারতবর্ষে বাংলায় কথা বলা রীতিমত বিপজ্জনক।ওপার বাংলায় কিন্তু পয়লা জুলাই থেকে সর্বস্তরে বাংলা অনিবার্য। আবার সেই দুই বাংলা এক করার স্বপ্ন! আরএসএস লোকসভা নির্বাচনে এ লাখ লাখ স্বেচ্ছাসেবকে নিয়োজিত করে এবং হিন্দুত্ববাদী বিজেপিকে বিরাট বিজয় পেতে সহায়তা করে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল এবং অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করা বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি।অনুপ্রবেশকারি তকমা দিয়ে ভিন রাজ্যের বাঙালিদের এবং বাংলাতেও উদ্বাস্তুদের তল্পতল্পা সহ তাড়ানো বাংলার পদ্মপ্রলয়ের প্রথম প্রতিশ্রুতি।

এই ভারতবর্ষে বাংলায় কথা বলা রীতিমত বিপজ্জনক।ওপার বাংলায় কিন্তু পয়লা জুলাই থেকে সর্বস্তরে বাংলা অনিবার্য। আবার সেই দুই বাংলা এক করার স্বপ্ন!
আরএসএস লোকসভা নির্বাচনে এ লাখ লাখ স্বেচ্ছাসেবকে নিয়োজিত করে এবং হিন্দুত্ববাদী বিজেপিকে বিরাট বিজয় পেতে সহায়তা করে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল এবং অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করা বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি।অনুপ্রবেশকারি তকমা দিয়ে ভিন রাজ্যের বাঙালিদের এবং বাংলাতেও উদ্বাস্তুদের তল্পতল্পা সহ তাড়ানো বাংলার পদ্মপ্রলয়ের প্রথম প্রতিশ্রুতি।
পলাশ বিশ্বাস
এই ভারতবর্ষে বাংলায় কথা বলা রীতিমত বিপজ্জনক।ওপার বাংলায় কিন্তু পয়লা জুলাই থেকে সর্বস্তরে বাংলা অনিবার্য। আবার সেই দুই বাংলা এক করার স্বপ্ন!
আরএসএস লোকসভা নির্বাচনে এ লাখ লাখ স্বেচ্ছাসেবকে নিয়োজিত করে এবং হিন্দুত্ববাদী বিজেপিকে বিরাট বিজয় পেতে সহায়তা করে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল এবং অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করা বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি।অনুপ্রবেশকারি তকমা দিয়ে ভিন রাজ্যের বাঙালিদের এবং বাংলাতেও উদ্বাস্তুদের তল্পতল্পা সহ তাড়ানো বাংলার পদ্মপ্রলয়ের প্রথম প্রতিশ্রুতি।

আলোয় ফেরা মেয়েরা বাংলা বললেই ফেরত কেন

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা, ৩০ মে, ২০১৪, ০৩:৩০:৩২

e e e print
11
পাকেচক্রে নানা প্রান্ত থেকে তাঁরা এসে পড়েন যৌন পল্লিতে। চাইলেও সেখান থেকে নিজেরা বেরিয়ে আসবেন, এমন ক্ষমতা অধিকাংশ মহিলারই থাকে না। সরকারি বা কোনও বেসরকারি উদ্যোগে উদ্ধার পেলেও তাঁদের নিয়ে টানাপড়েন চলতেই থাকে। যেমন মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন যৌন পল্লি থেকে উদ্ধারের পরে কোনও মহিলা বাংলায় কথা বললেই তাঁকে পশ্চিমবঙ্গে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যের মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। তার পরে তাঁদের কী হবে, তার ঠিক থাকে না।
শশীদেবীর অভিযোগ, যৌন পল্লি থেকে যে-সব মহিলাকে উদ্ধার করা হয়, তাঁরা আদতে কোথা থেকে এসেছেন, তা যথাযথ ভাবে খতিয়ে না-দেখেই মহারাষ্ট্র সরকার সরাসরি তাঁদের বাংলার হোমগুলিতে পাঠিয়ে দিচ্ছে। অথচ রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে কিছুই জানতে পারছে না। কারণ, সরকারি স্তরে এই ব্যাপারে কোনও যোগাযোগই করা হচ্ছে না। মন্ত্রী জানান, এই ব্যবস্থা বন্ধ করতে আজ, শুক্রবার মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের একটি চুক্তি হচ্ছে। ওই চুক্তিতে বলা থাকছে, যৌন পল্লি থেকে উদ্ধারের পরে কোনও মহিলা বাংলা ভাষায় কথা বললেই তাঁকে নির্বিচারে পশ্চিমবঙ্গে পাঠিয়ে দেওয়া যাবে না। ওই মহিলা আদতে কোন রাজ্য বা কোন দেশের বাসিন্দা, তা ঠিকঠাক চিহ্নিত করার পরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
পেটের দায়ে কাজের খোঁজে, অনেক সময় প্রতারকের প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে, আবার কখনও কখনও আড়কাঠির পাল্লায় পড়ে নিত্যদিন অজস্র কিশোরী-তরুণী যৌন পল্লিতে পৌঁছে যান। সঙ্গে সঙ্গে উবে যায় প্রেম। মুক্তির জন্য ডানা ছটফটালেও অনেকেই আর ফিরতে পারেন না। সীমান্ত পেরিয়ে আসা এমন মেয়ের সংখ্যা অগণ্য। মাঝেমধ্যে সরকারি উদ্যোগে পুলিশের তৎপরতায় কোনও কোনও মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু অনেক সময়েই পরিবারের অবহেলা এবং প্রতিবেশীদের বিদ্রুপ তাঁদের আবার যৌন পল্লিতে ফিরে যেতে বাধ্য করে। হোমে ঠাঁই মিললেও স্বস্তির জীবন অধরাই থেকে যায় ওই মেয়েদের। নানা ফাঁদে পা দিয়ে বাংলাভাষী অনেক মেয়েরই ঠাঁই হয় মুম্বইয়ের বিভিন্ন প্রান্তের যৌন পল্লিতে। মহারাষ্ট্র সরকার এমন কিছু কিছু মেয়েকে উদ্ধার করছে ঠিকই। কিন্তু ওই সব মেয়ের ভবিষ্যতের কথা না-ভেবে পত্রপাঠ তাঁদের বাংলায় ঠেলে পাঠাচ্ছে বলে নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশীদেবীর অভিযোগ।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্র সরকার তাদের রাজ্যের বিভিন্ন যৌন পল্লি থেকে উদ্ধার করে বহু মহিলাকেই এখানকার হোমগুলিতে পাঠিয়ে দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই বাংলাদেশি। তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সমস্যায় পড়ছে রাজ্য। তৈরি হচ্ছে নানা প্রশাসনিক জটিলতা। তাই পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্রের মধ্যে এই বিষয়ে একটি চুক্তির প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। ওই চুক্তির পরে মহারাষ্ট্র সরকার কোনও মহিলাকে এ রাজ্যে পাঠাতে চাইলে একক সিদ্ধান্তে সেটা করতে পারবে না। রাজ্যে নারী পাচার নিয়ে যে-টাস্ক ফোর্স আছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এবং কোনও মহিলা বাংলাদেশি হলে তাঁকে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে মহারাষ্ট্র সরকারকেই।
এই ভারতবর্ষে বাংলায় কথা বলা রীতিমত বিপজ্জনক।ওপার বাংলায় কিন্তু পয়লা জুলাই থেকে সর্বস্তরে বাংলা অনিবার্য।

রবীন্দ্র,বিবেকানন্দ,নেতাজি,মাইকেল,নজরুল,বিভুতি,রে,ঘটক ইত্যাদি ব্রান্ডেড আইকনই একন বাঙালির আত্মপরিচয়,যা উদ্বাস্তু উপনিবেশে সেই ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি।বেকাযদায় পড়ে অবাঙালি জনপদে হুন্কার দিয়ে নিজেকে রবীন্দ্র নেতাজি বিবকের বংশধর বলে ব্রাত্য উদ্বাস্তু জীবনেও অন্যান্যদের সম্মান আদায় করত তাঁরা।নাগরিকত্ব আইনের পর সেই সম্মানটুকু থেকে বেদখল বাঙালি।বাঙালিবাবূ বা বাবু মোশায় বা বন্ধু শব্দবন্ধ বাংলাদেশি ফতোয়াতে উধাও। সেই 1971এর কথা মনে পড়ে,অবিভক্ত উত্তর প্রদেশে তখন উদ্বাস্তু উপনিবেশগুলিতে তখন আশার আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে,পাকিস্তানি জল্লাদের কবল থেকে মুক্ত বাংলা আবার এক হবে।ইন্দিরা গান্ধী আবার দুই বাংলা এক করে দেবেন।

উদ্বাস্তুরা যারা পন্চাশ বা ষাটের দশকে ওপার বাংলায় সবকিছু হারিয়ে এসেছিলেন তাঁরা দলে দলে ওপার বাংলায় শত্রু সম্পত্তি ঘোষিত ভিটে মাটির খোঁজ করতে বাংলায় দৌড়ে এসেছিলেন।অনেকে আবার উদ্বাস্তু উপনিবেশে ঘর বাড়ি জমি জায়গা জলের দামে বিক্রী করে আবার বাংলা মায়ের বুকে ফেরত আসতে চেয়েছিলেন।ঐ বাহালিত্বের চরমোত্কর্ষ দেখা যায় পশ্চিমবাংলার মরিচঝাঁপিতে দলিত শরণার্থীদের বৈপল্বিক গণহত্যায়।

সেদিন এবং সেই 1971 নৈনীতাল থেকে দৌড়ে ঢাকায় পৌঁছে সর্বভারতীয় উদ্বাস্তু নেতা আমার বাবা দুই বাংলা এক করে স্বাধীন বাংলাদেশের জেলে এক বছর কাটিয়ে এসেছিলেন।কিন্তু পরবর্তীকালে,তিনি বুঝতে পেরেছিলেন উদ্বাস্তু শরণার্থীরা আর বাংলায় বান্ছিত নন।তাই যেমন ষাটের দশকে অসমে বাঙাল খেদাও সময়ে নগাঁও, গোয়ালপাড়া, কাছাড়, কোকড়াঝাড়,কামরুপ থেকে করিমগন্জ পর্যন্ত দাঙ্গাবিধ্বস্ত বাঙালি উদ্বাস্তু উপনিবেশে তিনি স্বজনদের ডেকে বলেছিলেন,যে যেখানে আছো,মাটি কামড়ে পড়ে থাকো,বাংলার দিকে তাকাবে না, বাঁচতে হলে মরতে হলে এি মাটিই ভিটে মাটি,মরিচঝাঁপি আন্দোলনের সময় দন্ডকারণ্যে গিয়েও সেই ডাক দিয়ে স্বজনদের আক্রমণে মরতে মরতে বেঁচেছিলেন।দন্ডকারণ্যে কোউ তাঁর কথা শোনেননি।তাঁকে বাংলার কম্যুনিস্ট নেতাদের বাংলামায়ের আঁচলে ফিরে আসার ডাকের ব্রহ্মমুহুর্তে খলনাযক মনে করেছিলেন তাঁর স্বজনরা।কিন্তু দন্ডকারণ্যের বাইরের বাঙালিরা সেই ডাক তখনো অগ্রাহ্য করেননি।অবিভক্ত উত্তরপ্রদেশ,অসম ও বিহার থেকে একজন উদ্বাস্তুও বাংলায় আসেননি।ততদিনে যারা দুই বাংলা এক হওয়ার আশায় সবকিছু ফেলে রেখে,বাংলা সীমান্তে ছুটে গিয়েছিলনে,তাঁরা সর্বস্বান্ত হয়ে ফিরে এসে বেদখল নিজের জমিতে দিন মজুর।

আবার ইন্দিরাম্মারদুর্গাঅবতার মোদী কল্কিঅবতারে আবির্ভূত।দুই বাংলা ইন্দিরা এক করতে পারেননি,মোদী এক করে দেবেন।এমনকি আবার অখন্ড সনাতন ভারত বিশ্বদরবারে আমেরিকারও নাক কান কেটে দেবে,সেই প্রচারে মম পদ্ম প্রলয় বাংলার বুকেও।

তবু এপার বাংলায় দুই বাংলা এক করার ডাক দিতে সাহস করে নি কেউ,কিন্তু
নরেন্দ্রভাই মোদীর রামরাজত্বকালে ওপার বাংলায় দুই বাংলা এক করার ডাক উঠে গেল।বাংলাদেশি জিগির এবং পদ্ম প্রলয়ে এই ডাকে ভারতেও সাড়া পড়তে পারে।
ওদিকে কাশ্মীরে ধারা 370 নিকেশ করতে বদ্ধপরিকর সঙ্ঘ পরিাবর সংবিধানের তোয়াক্কাই করছেনা।বাংলাদেশি খেদাও অভিযান বাঙালি রাষ্ট্রপ্রধাণ ও ওবিসি প্রধানমন্ত্রীর তত্বাবধানে খূবই চলবে এবং হরিদাস পালের রামরাজত্বে বাংলার অগ্নিকন্যারও প্রচন্ড শিরঃপীড়া,ক্ষমতা যায় যায়,এমনি বিপর্যয়।

এই খবরটি পড়ুনঃ

গোপন সংগঠন 'বাঙালি ঐক্য পরিষদ': দাবি দুই বাংলা এক করা, সীমান্ত তুলে দেয়া, সদস্য একশ' জনের মতো

দুই বাংলাকে এক করতে হবে, তুলে দিতে হবে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া, বিএসএফের নির্যাতন বন্ধ এবং তাদের হাতে হতাহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে—এ দাবিগুলো সামনে রেখে দেশের দক্ষিণ জনপদে মাথাচাড়া দিয়েছে একটি গোপন সংগঠন।
'বাঙালি ঐক্য পরিষদ' নামে ওই সংগঠনটি ইতিমধ্যে খুলনার শিরোমনি, খালিশপুর, দৌলতপুর ও তেরখাদা উপজেলায় গোপনে তত্পরতা শুরু করেছে।এ সংগঠনের সদস্য একশ' জনের মত হবে। বামঘরানা ও বিভিন্ন সময় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত হতাশ যুবকরা এ সংগঠনের সাথে যুক্ত।
ইতিমধ্যে গোপন এই সংগঠনের দুই সদস্যকে আইন-শৃংখলা বাহিনী গ্রেফতার করেছে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তাদের দাবি সম্বলিত প্রচারপত্র ছাপার অপরাধে পুলিশ সংশ্লিষ্ট ছাপাখানাটিকে সিলগালা করার জন্য জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছে।

এবং এই মন্তব্যটিঃ

Ajit Kumar Singha
পশ্চিমবঙ্গে পালাবদল দেখে আসলাম । সি পি এম নিঃশেষ ,তৃণমূলের অন্তর্জলি যাত্রা শুরু হয়েছে ।সাধারণ মানুষ ওই দুই দলকে ঘৃণা করে । হাজার হাজার মানুষ রোজদিন প্রাণ বাঁচানোর জন্য বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন ।
তবে মনেদর ভালো খবর হলঃ
বাংলাদেশে আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে দেশের সব অফিস আদালতসহ সর্বত্র বাংলা ভাষা প্রচলনে হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়নের আদেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টে বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে বাংলা ভাষা প্রচলনে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বাস্তবায়নে সরকারি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়।
গত ২৯ এপ্রিল হাইকোর্ট তার আদেশে ১৫ মের মধ্যে সর্বত্র বাংলা ভাষা প্রচলনের আদেশ দেয়। কিন্তু সরকার এখনো তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
আদালতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায় জানান, বাংলা ভাষা প্রচলনে সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণভাবে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে সময় প্রয়োজন। এরপর আদালত এক মাস সময় বৃদ্ধি করে আদেশ দেয়।
এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি একই বেঞ্চ এক মাসের মধ্যে সব বিদেশি ভাষার বিজ্ঞাপন ও গাড়ির নেমপ্লেট বাংলা পরিবর্তনের জন্য কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে।
দুই সপ্তাহের মধ্যে বিবাদী মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট সচিব, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে জবাব দিতে বলা হয়।
সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনূস আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ১৬ ফেব্রুয়ারি এ রিট দায়ের করেন।

ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেছেন, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করা বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। এ অনুচ্ছেদে ওই রাজ্যকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। তিনি বুধবার শ্রীনগরে সাংবাদিকদের বলেন, তারা গণপরিষদ আহ্বান না করা পর্যন্ত ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করতে পারে না। গণপরিষদই ভারতে জম্মু ও কাশ্মীরের যোগদান অনুমোদন করেছিল। যদি আপনারা এ প্রশ্নই আবার উত্থাপন করতে চান, তাহলে আপনাদের গণপরিষদকে নিয়ে আসতে হবে এবং তখন আমরা কথা বলব। বিজেপির আদর্শিক মূল সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আর এসএসএস) বলেছে, তারা ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করতে চায় সত্য, তবে বাতিল করার চেষ্টায় তাড়াহুড়ো করছে না। বরং তারা চায়, সেটি বাতিল করা হলে দেশের লাভ না ক্ষতি হবে, সেই প্রশ্নে বিতর্ক হোক। এর আগে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য সম্পর্কিত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার প্রশ্নে রাজনৈতিক বিতর্ক চরমে পৌঁছে। ওই রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলো এবং কংগ্রেস ওই সাংবিধানিক বিধান রদ করার যেকোন উদ্যোগের বিরোধিতা করেছে। আরএসএস আবদুল্লাহর সমালোচনা করে বলেন যে, ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করা হোক বা নাই হোক জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়েই থাকবে। আবদুল্লাহর ওই অনুচ্ছেদ রদ করা হলে রাজ্যটি আর ভারতের অংশ থাকবে না বলেও মন্তব্য করেছিলেন। খবর হিন্দু, হিন্দুস্তান টাইমস ও জিনিউজের।
ওমর বলেন, কেন্দ্রের উচিত রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও জোরদার করা, কিন্তু ওই অনুচ্ছেদ রদ করার কোন উদ্যোগ জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণকে আরও বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। তিনি জিতেন্দ্র সিংয়ের মন্তব্য প্রসঙ্গে কথা বলছিলেন। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল না করার প্রশ্নে অনড় ব্যক্তিদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে বলে প্রতিমন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন। আরএসএসয়ের তাত্ত্বিক এমজি বৈদ্য বলেন, নরেন্দ্র মোদি জম্মুতে তাঁর নির্বাচনী প্রচার অভিযান চালানোর সময় ওই অনুচ্ছেদ নিয়ে বিতর্কের আহ্বান জানিয়েছিলেন। এর প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আলোচনা করতে ক্ষতির কিছু নেই। বৈদ্রের মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এ ইস্যুতে জম্মু ও লাদায়ের জনগণের সঙ্গে কথা বলা। তিনি বলেন, যদি এ দুটি অঞ্চল এরূপ কোন বিধান না চায় এবং কাশ্মীরের জনগণ তাদের অবস্থানে অনড় থাকে, তাহলে নাদাখ ও জম্মুকে ওই রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করা হোক।
৩৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়, প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, যোগাযোগ ও অন্তর্ভুক্তির দলিলে উল্লিখিত বিষয়াদির ক্ষেত্র ছাড়া ভারতে পার্লামেন্টকে অন্য সবক্ষেত্রে আইন বলবত করতে হলে, রাজ্য সরকারের সম্মতি থাকা প্রয়োজন।
আরএসএস লোকসভা নির্বাচনে এর লাখ লাখ স্বেচ্ছাসেবকে নিয়োজিত করে এবং হিন্দুত্ববাদী বিজেপিকে বিরাট বিজয় পেতে সহায়তা করে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল এবং অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করা বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি। রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল কনফারেন্স ও এর কোয়ালিশন অংশীদার কংগ্রেস এবং বিরোধী পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংয়ের ৩৭০ অনুচ্ছেদ সম্পর্কিত উক্তির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। জিতেন্দ্র সিং এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ওই অনুচ্ছেদ বাতিল করার প্রক্রিয়ার সূত্রপাত করতে স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা হয়েছে। আবদুল্লাহ ওই বিরোধপূর্ণ ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকার কোন কোন স্বার্থসংশ্লিষ্টদের আলোচনা করছে তা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে ওই সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি শ্রীনগরে বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ওই উদ্যোগের বিরোধিতা করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করব। যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রতিমন্ত্রী কথা বলছেন, কাজেই এটি সরকারী নীতিগত বিষয়। কেন্দ্রীয় সরকার কাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তা সরকারকে অবশ্যই প্রকাশ করতে হবে।
জিতেন্দ্র সিংয়ের বিবৃতির পর পরই আবদুল্লাহ তার টুইটারে বলেন, যদি ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয় তাহলে জম্মু ও কাশ্মীর আর ভারতের অংশ থাকবে না। আরএসএস সেজন্য আবদুল্লাহর করা সমালোচনা করে। আরএসএসয়ের মুখপাত্র রাম সাধন তার টুইটারে বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর আর ভারতের অংশ থাকবে? ওমর জি একে তার পৈত্রিক তালুক মনে করেন। ৩৭০ অনুচ্ছেদ থাকুক বা নাই থাকুক, জম্মু ও কাশ্মীর সব সময়েই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকবে। নয়াদিল্লীতে কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংডি বলেন, জিতেন্দ্র সিংয়ের মন্তব্য পরিকল্পিত এবং কেবল কাশ্মীরে নয়, দেশজুড়ে বিভাজন সৃষ্টি করাই এর উদ্দেশ্য।
জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রস্তাব প্রসঙ্গে আরও সংবেদনশীলতা ও চিন্তাভাবনার গভীরতা আশা করছেন রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ করণ সিং৷

প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতার বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ, তাঁর বাবা মহারাজা হরি সিং-ই ১৯৪৭ সালের অক্টোবরে ভারত রাষ্ট্রে কাশ্মীরের অন্তর্ভুক্তির দলিলে সই করেছিলেন৷ পাশাপাশি, ১৯৫৭ সালে জম্মু-কাশ্মীরের সংবিধানে সই করেছিলেন করণ নিজেই৷ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে করণের অবশ্য দাবি, অন্তর্ভুক্তির দলিলে তাঁর বাবা যখন সই করেন, পরিস্থিতি তখন স্বাভাবিক ছিল না৷ করণের কথায়, 'সে সময় পুরোমাত্রায় যুদ্ধ চলছে৷ এটা ঠিক যে, বাকি সব করদ রাজ্য যে দলিলে সই করেছিল, অন্তর্ভুক্তির দলিলের সঙ্গে তার কোনও ফারাক ছিল না৷ তবে বাকি সবক'টি রাজ্যই পরে দেশের সঙ্গে মিলে যাওয়ার নথিতে সই করে৷ কিন্ত্ত বাকি দেশের সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের সম্পর্ক যেহেতু একটি বিশেষ পরিস্থিতির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, তাই তাকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল৷ ১৯৫৭-য় আমার সইয়ে আইনে পরিণত হয় জম্মু ও কাশ্মীরের সংবিধান৷ তা এখনও বৈধ৷'
করণ মনে করছেন, কাশ্মীর ভারতের 'অবিচ্ছেদ্য অংশ' হলেও তাকে অন্য রাজ্যের মতো বিবেচনা করতে হবে, তার কোনও মানে নেই৷ তাঁর যুক্তি, হং কংও চিনের অংশ, কিন্ত্ত তাকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে৷ তাই বিচ্ছিন্নতাবাদের যাবতীয় ডাক যেমন অযৌক্তিক, ঠিক তেমনই জোর করে কোনও সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়াও ঠিক নয়৷ এখানেই সংবেদনশীলতার আশা করছেন করণ৷ তিনি মনে করছেন, ৩৭০ ধারা পুনর্বিবেচনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং মন্তব্য না-করলেও পারতেন৷ এ প্রসঙ্গে তাঁর বিবৃতি, 'পুরো প্রসঙ্গটাই অত্যন্ত সংবেদনশীল৷ তাই ঠান্ডা মাথায় এবং বিচক্ষণতার সঙ্গে প্রসঙ্গটি বিবেচনা করা উচিত৷ দু'পক্ষ থেকেই যদি এ ধরনের বিবৃতি দেওয়া হয়, তা হলে তা জম্মু-কাশ্মীরে আরও উত্তেজনার সৃষ্টি করবে৷' বিজেপি বা সঙ্ঘ পরিবার অবশ্য এর প্রেক্ষিতে কোনও মন্তব্য করতে এদিন রাজি হয়নি৷



জিতেন্দ্র চুপ, ৩৭০ থেকে দূরত্ব মোদীর

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি ও শ্রীনগর, ২৯ মে, ২০১৪, ০৩:০৬:৫২
গত বছর জম্মুতে ‘ললকার সমাবেশ’-এ দাঁড়িয়ে তিনিই বলেছিলেন, সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ নিয়ে বিতর্ক হওয়া উচিত। তখন তিনি দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। কিন্তু কাল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজের প্রথম দিনে তাঁরই দফতরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ যখন এই নিয়ে বিতর্কটি উস্কে দিলেন, তখন তাঁর থেকে দূরত্ব তৈরি করলেন নরেন্দ্র মোদী। বুঝিয়ে দিলেন, সরকারের জন্মলগ্নে কাশ্মীর নীতিতে হাত দিতে চান না তিনি।
যে বিষয়টি নিয়ে তিনি শুধু মুখই খোলেননি, দলের নির্বাচনী ইস্তাহারেও তা সামিল করা হয়েছিল, তাকে আপাতত দূরে সরিয়ে রাখছেন কেন প্রধানমন্ত্রী মোদী? বিজেপি সূত্র বলছে, কেবল ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদই নয়, নির্বাচনী ইস্তাহারে উন্নয়ন ও সুশাসনের কথাও রয়েছে। বস্তুত, এই দু’টিই ছিল মোদীর মূল অস্ত্র, যার ঘায়ে দেশ জুড়ে ঘায়েল হয়েছে কংগ্রেস। মানুষের সেই প্রত্যাশা পূরণে নয়া সরকার যে আন্তরিক, আপাতত সেই ছবি তুলে ধরাটাই মোদীর লক্ষ্য। তাই বিতর্কিত কোনও বিষয় তিনি ছুঁতে চাইছেন না।
আর তাই গত কাল জিতেন্দ্র সিংহ যখন অনুচ্ছেদ ৩৭০ নিয়ে মন্তব্য করেন, খোদ মোদী তাঁকে ফোন করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেন। রাতে বিবৃতি জারি করে গোটা দায় সংবাদমাধ্যমের উপরে ঠেলে দেন জিতেন্দ্র। আজ সকালেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে আলোচনা করেন মোদী। রাজনাথও জিতেন্দ্র সিংহকে আলটপকা মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলেন। যার ফল, এ দিন সাংবাদিকদের এড়িয়ে গিয়েছেন জিতেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীর দফতর ছাড়াও বিজ্ঞান প্রযুক্তি দফতরের প্রতিমন্ত্রী তিনি। সেখানে সাংবাদিকরা তাঁকে ধরেন। প্রশ্ন শুনে জিতেন্দ্র বলেন, “এখানে তো বিজ্ঞানের গন্ধ। এখানে বিজ্ঞান ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে কথা বলাই উচিত নয়।”
সঙ্ঘ নেতারা কিন্তু একেবারেই অখুশি নন। কারণ, রামমন্দির, অনুচ্ছেদ ৩৭০, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি এ সব বরাবরই আরএসএসের মূল ইস্যুগুলির অন্যতম। সঙ্ঘের চাপেই ইস্তাহারে বিষয়গুলিকে সামিল করতে হয়েছিল মোদীকে। কিন্তু মোদী প্রচারের সময় ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ নিয়ে আলোচনার কথা বললেও রামমন্দির নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য করেননি। কারণ, একদা হিন্দুত্বের পোস্টার বয় থেকে ‘বিকাশ পুরুষ’ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরাই ছিল ভোটের আগে তাঁর লক্ষ্য। আর ভোটের পর সেটিকে প্রমাণ করে একটি দীর্ঘ ইনিংস খেলারই এখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
বিজেপির এক শীর্ষ নেতা আজ বলেন, “ভোটের ফল প্রকাশের দিনই মোদী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, জনমত পাঁচ বছরের হলেও তিনি কমপক্ষে দশ বছরের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন। ফলে পাঁচ বছর পরেও মোদী যদি আবার ভোটে জিতে আসতে চান, তা হলে তিনি কি এখন বিতর্কিত বিষয়গুলি খুঁচিয়ে ঘা করবেন? বরং উন্নয়ন ও দক্ষ প্রশাসনের একটি ছবি জনতার সামনে তুলে ধরেই ফের ভোট চাইবেন।”
কাল জিতেন্দ্রর ওই মন্তব্যের পরে থেকে অবশ্য কাশ্মীরের নেতানেত্রীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা থেকে পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি, সকলেই এর সমালোচনা করেন। এক দিকে দিল্লির কংগ্রেস নেতারা, অন্য দিকে সঙ্ঘ নেতা রাম মাধব এঁরা মুখ খুললে বিতর্ক অন্য মাত্রা পেয়ে যায়। বিশেষ করে রাম মাধব এবং ওমরের মধ্যে বাগ্‌যুুদ্ধ অব্যাহত। ওমরের কাল টুইট করেছিলেন: হয় অনুচ্ছেদ ৩৭০ থাকবে, নয়তো জম্মু-কাশ্মীর আর ভারতের অংশ থাকবে না। যার জবাবে রাম মাধবের টুইট, “জম্মু-কাশ্মীর আর ভারতের অংশ থাকবে না? ওমর কি মনে করেন ওটা ওঁর বাবার সম্পত্তি!” ওমর এ দিন বলেন, “আমি কখনওই বলিনি এটা আমার বাবার রাজ্য। আমি জম্মু-কাশ্মীরের এক জন নাগরিক। আর তাই নিজের অধিকার নিয়ে মুখ খোলার অধিকার আছে আমার।” মেহবুবা মুফতি অভিযোগ করেন, “জিতেন্দ্র সিংহের এই মন্তব্য জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দিতে পারে।”
বিজেপি কিন্তু চুপ। মোদী-সহ দলের সব নেতাই কুলুপ এঁটেছিলেন। তবে সঙ্ঘের সূত্র বলছে, সঙ্ঘ যা চাইছিল, জিতেন্দ্র সেটাই করেছেন। কাশ্মীরের নেতানেত্রীরা তো এর বিরোধিতা করবেনই। কিন্তু এর ফলে জাতীয় ক্ষেত্রে বিতর্ক শুরু হল। রাম মাধব বলেছেন, “আলোচনা হোক না। দেশ জুড়ে বিতর্ক হলে ক্ষতি কী!”
মোদী আজ কী করলেন? এ দিন প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আমলাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন মোদী। তিনি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার কথা বলেন। রাজ্যগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে একটি ‘দল’ তৈরির কথা প্রচারেও বারবার বলেছেন তিনি। আজ সেটাই কার্যকর করার নির্দেশ দেন তিনি। অর্থাত্‌, মোদী বোঝাতে চেয়েছেন, সরকারের কাজেই অনেক বেশি মনোনিবেশ করছেন তিনি। যা থেকে অনুচ্ছেদ ৩৭০ আপাতত অনেকটাই দূরে।

রাজ্য জুড়ে শক্তি দেখাল বিজেপি

lead

খতিয়ে দেখতে প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাজ্যের দুই সদ্যনির্বাচিত সাংসদ-সহ পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের কাল, শনিবার সন্দেশখালি ঘুরে রাজ্যের মুখ্যসচিব বা রাজ্য পুলিশের ডিজি-র কাছেও যাওয়ার কথা। পশ্চিমবঙ্গে দলের জন্য তৈরি হওয়া নতুন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও যে উদগ্রীব, প্রতিনিধিদল পাঠানোর সিদ্ধান্তে তারই ইঙ্গিত রয়েছে বলে বিজেপি সূত্রের ব্যাখ্যা। এর আগে বাজপেয়ী সরকারের জমানায় রাজ্যে এনডিএ-র প্রতিনিধিদল এসেছিল একাধিক বার।

কাল রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় দল
sandesh
এই সময়: বিরোধী অবস্থানে থাকাকালীন বামেদের 'সন্ত্রাসে'র বিহিত চেয়ে 'দিল্লির দল' পাঠানোর দাবি তুলতেন তৃণমূল নেত্রী৷ সেই অস্ত্রেই এ বার মমতা সরকারকে চাপে ফেলতে চলেছে বিজেপি৷

সন্দেশখালির সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ দলীয় কর্মীদের দেখতে এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শনে কাল, শনিবার রাজ্যে আসছে শীর্ষ বিজেপি নেতাদের একটি প্রতিনিধিদল৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা স্বরাষ্ট্রসচিব বা মুখ্যসচিবের সঙ্গেও প্রতিনিধিরা দেখা করতে চাইছেন৷ বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহসভাপতি তথা দার্জিলিংয়ের সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে মীনাক্ষী লেখি, মুক্তার আব্বাস নকভি, সিদ্ধার্থনাথ সিংহ ছাড়াও আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ও থাকবেন৷ রাহুল সিনহা, শমীক ভট্টাচার্যের মতো রাজ্য বিজেপির নেতারাও প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সন্দেশখালি যাবেন৷ সেখান থেকে ফিরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব৷ দিল্লি ফিরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংহকেও রিপোর্ট দেবেন এই প্রতিনিধিরা৷ রাজ্য বিজেপির পর্যপেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিংহের কথায়, 'আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে যেমন ঠিক কী ঘটেছিল জানব, তেমনই যাঁরা আহত হয়েছেন--তাঁদের সঙ্গেও দেখা করব৷ দিল্লি ফিরে রাজনাথ সিংহকেও রিপোর্ট করব৷' সন্ত্রাসের ঘটনায় রাজ্য সরকারের 'নিষ্ক্রিয়তা' নিয়েও কড়া প্রতিক্রিয়া সিদ্ধার্থনাথের৷ তাঁর মন্তব্য, 'এ রকম চলার পরেও কী করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসে থাকতে পারেন!'

এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি বন্ধে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে৷ উত্তর ও দক্ষিণ বসিরহাটে বন্ধ সর্বাত্মক হলেও বাদুড়িয়া, হাড়োয়ায় তেমন প্রভাব পড়েনি৷ সকালে ভ্যাবলা ও কাকরা মির্জানগরে রেল অবরোধ হয়৷ ৯ জন অবরোধকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ আবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের রাজ্য সফরের আগেই সন্দেশখালির সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে সঙ্গে নিয়ে এ দিন এসএসকেএম হাসপাতালে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র৷ গুলিবিদ্ধ গ্রামবাসীদের চিকিত্‍সা নিয়ে খোঁজখবর নেন তাঁরা৷ কথা বলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিত্‍সকদের সঙ্গে৷ লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে লাগাতার রাজনৈতিক সংঘর্ষ সত্ত্বেও প্রশাসন সদর্থক কোনও পদক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ করেছেন সূর্যবাবুও৷

বস্ত্তত, বৃহস্পতিবারও পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রাম ব্লকের মলম গ্রাম পঞ্চায়েতের নরসিংহপুর গ্রামে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ ৬ জন বিজেপি কর্মীর বা‌ি.ড আক্রান্ত হয়েছে৷ গত ২৬ মে মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের দিন নয়াগ্রাম ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অর্ধেন্দু পাত্র ও তাঁর ভাই সুখেন্দু পাত্রের নেতৃত্বে হাজারখানেক তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন৷ সুখেন্দ্ুবাবুর অভিযোগ, 'সেই আক্রোশে পুলিশের সামনেই তৃণমূলের ব্লক সভাপতি উজ্জ্বল দত্তের নেতৃত্বে আমাদের কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে৷ বুধবারও শান্তি কুইল্যা ও তাপস মহাপাত্রকে তৃণমূলের লোকজন ভসরাঘাটের শিশুবাগানে বেঁধে মারধর করেছে৷' যদিও নয়াগ্রামের ডিএসপি কার্তিক মণ্ডলের দাবি, বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর নিয়ে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি৷ গোলমালের কথা অবশ্য মেনে নিয়েছেন তৃণমূল নেতা উজ্জ্বলবাবু৷ তবে তাঁর দাবি, 'আমাদের শান্তি পদযাত্রায় বিজেপিই পিছন থেকে হমলা চালিয়েছে, আমাদের কর্মীরা প্রতিরোধ করেছে মাত্র৷' স্থানীয় বিজেপি নেতারা দলের রাজ্য সভাপতিকে পুরো বিষয়টি জানিয়েছেন৷ বিভিন্ন অঞ্চলে দলীয় কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে জেলায় জেলায় ইতিমধ্যেই বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছে বিজেপি৷ বীরভূমে বোলপুর থানার সামনে এ দিন পৌনে এক ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ চলে৷ পরে থানায় ডেপুটেশনও দেওয়া হয়৷ দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিন্্হা নিজে উত্তর কলকাতার গিরিশ পার্ক থানার সামনে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন৷

এই প্রেক্ষাপটেই রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়াতে কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত বিজেপির৷ উদ্দেশ্য, মূলত দু'টি৷ প্রথমত, রাজনৈতিক ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূলকে চাপে রাখা, যাতে বিজেপি কর্মীদের হিংসার শিকার হতে না হয়৷ দ্বিতীয়ত, বিজেপি কর্মীদের আশ্বস্ত করে এটা বোঝানো, যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁদের পাশে রয়েছেন৷ এই দুই লক্ষ্যেই রাহুলবাবুরা সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা দলের সর্বভারতীয় সভাপতি রাজনাথ সিংহের দারস্থ হন৷ রাজনাথ বিমুখ করেননি রাজ্যের নেতাদের৷

Thursday, May 29, 2014

Amnesty International India's Prisoner of Conscience Irom Sharmila was produced in a Delhi Court on May 28, 2014. She appeared in the 2006 case relating to her hunger strike at Jantar Mantar.

Amnesty International India's Prisoner of Conscience Irom Sharmila was produced in a Delhi Court on May 28, 2014. She appeared in the 2006 case relating to her hunger strike at Jantar Mantar.





লাল আলো নিভলে সবুজ আলো কিন্তু জ্বলছে না,গ্রামকে শহর করার উন্নয়ণে দিদির আবার লালে উত্তরণ পদ্মপ্রলয়ের মধ্যিখানে!

লাল আলো নিভলে সবুজ আলো কিন্তু জ্বলছে না,গ্রামকে শহর করার উন্নয়ণে দিদির আবার লালে উত্তরণ পদ্মপ্রলয়ের মধ্যিখানে!
পলাশ বিশ্বাস

প্রসঙ্গঃ

সিপিএম মুছে গেলে তৃণমূলের বিপদ

বামপন্থীরা মুছে গেলে আপাতদৃষ্টিতে তৃণমূলের খুব খুশি হওয়ার কথা। কিন্তু সেই মুছে যাওয়া স্লেটে বিজেপি যদি নিজের অঙ্ক কষতে এবং মেলাতে শুরু করে, সরকার-বিরোধী শক্তি যদি ক্রমশ তার দিকে কেন্দ্রীভূত হয়? জয়ন্ত বসু।


লাল আলো নিভলে সবুজ আলো কিন্তু জ্বলছে না,গ্রামকে শহর করার উন্নয়ণে দিদির আবার লালে উত্তরণ পদ্মপ্রলয়ের মধ্যিখানে!

দিদির পরীক্ষায় দুচার অভাগা অভাগী ছাড়া সবাই লেটার!
রাজ্যের বাজেটের হিসাব খাতাখানি খোলা হল,কিন্তু যে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযোগ সেই লালে লাল বিপ্লবের 1977 সাল থেকে পরিবর্তন জমানার মা মাটি সরকার রাজত্বেও,তা মিলিয়ে যে 78 কোটি টাকা খরচ হওয়ার কথা ছিল,সে হিসাব করেননি দিদি!

দিদি হিসাব করেননি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকার শেষ পর্যন্ত কি হল!

মোদীর শপথ গ্রহণের আগে ও পরে মানুষের ট্যাক্সের টাকায় কাগজে কাগজে দেদার উন্নয়নের বন্যা বইয়ে বাংলা এক নাম্বারের উচ্চকিত ঘোষণায় মোদী যাদের ধরেছেন আষ্টে পৃষ্ঠে,সেই 18 থেকে 35 বছরের রুজি রোজগারের ব্যবস্থা কিন্তু হচ্ছেই না!

প্রাথমিক শিক্ষক পদে 47 লক্ষ প্রার্থী যে রাজ্যে স্বাভাবিকের সত্য কিন্তু বিচিত্র সমাজ বাস্তব,কোটি চাকরির ছিটে ফোঁটাও যদি না দিতে পারেন দিদি,ত 34 সীটে 34 সালের বিপর্যয় ঘনিয়ে আসবেই!

হিন্দিতে ইংরেজিতে আমি ও আমার বন্ধু বাবা সাহেব আম্বেডকর সাহেবের নাত জামাই এবং ভারতবর্ষে তথ্য প্রযুক্তি আমদানিতে যে ব্যক্তির স্যাম পিত্রোদার মতই অবদান এবং যিনি ঘটনাচক্রে আমাদেরই খড়গপুর আইআইটিতে অধ্যাপক আজকাল,বার বার লিখেছি আইডেন্টিটি পলিটিক্স দিয়ে ক্ষমতা দখল হয়,ভোট জেতার মেরুকরণ হয়,সত্যিকারের পরিবর্তন হয় না!

আমারা বার বার লিখেছি,আম্বেডকরের জাতি বিনাশ প্রকল্পকে পিছনে ফেলে সংরক্ষণ রাজনীতিতে শক্তশালী গুটি কয়েক জাতির ক্ষমতা দখল হলেও ছ হাজার জাতির ও বেশি ভাগে বিভক্ত হিন্দু সমাজের উন্নয়ন ধর্মের ও বিপ্লবের জিগির তুলে নিতান্তই চরম বিশ্বাসঘাতকতা!

আদিবাসীরা ত বর্ণবৈষম্যের বধ্যভূমিতে জল জমি জহ্গল নাগরিকত্ব হারাচ্ছেনই!

যে নজরুল ইসলাম আপনার চক্ষুশুল তিনি আমার চাইতে হাজার গুণ ভালো বাংলায় বুঝিয়ে দিয়েছেন,মুসলিমদের কি করণীয় এবং তাঁদের জন্য হচ্ছেটা কি!

দিদি,  হরিবোল না বলে,মাতাম না দিয়ে,ধুলো কাদা না মেখে,পুরোহিত বর্জন না করে,আপনি মতুয়া!

দিদি,আপনি লালু সংহারক উপেন বিশ্বাসকে মন্ত্রী করে সার্বজনীন জীবনের দায়বদ্ধতা থেকে ভ্যানিশ করেছেন!

দিদি,আপনি মাতা বীণাপাণিদেবির এক সন্তানকে কিছু না করার জন্যই কেবিনেট মন্ত্রী করেছেন অন্যজনের লাল রং নজরআন্দাজ করে সংসদে পাঠিয়েছেন!

মতুয়া ভোট দখলের জন্যমরিচঝাংপি গণহত্যার ধুয়ো তুলেছেন,কিন্তু তদন্ত আজও শুরু করেননি,কারণ সেই দিন যাদের হাত রাঙা হয়েছিল মতুয়া দলিত শরণার্থী রক্তে,তাঁদের অনেকেই আপনার ক্ষমতাদখলের উত্সমুল!

আপনি ভোটের আগে বলেছেন,বাংলাদেশি বলে কাউকে তাড়াতে হলে,সবার আগে আপনাকে তাড়াতে হবে!
হরিপালের রাজ্যাভিষেক মিটতে না মিটতে,মুকুল রায় ও অমিত মিত্রের প্রথম সারিতে বসে মিষ্টিমুখ করে ফিরতে না ফিরতে রাজ্যে রাজ্যে বাংলাদেশি বিতাড় শুরু,আবার বাংলাতে কথা বললেই বাংলাদেশি!

মা মাটি মানুষের সরাকরি রাজত্ব সেই শ্রীরামপুরি মেরুকরণ ও আপনার 34 সীট প্রাপ্তি ও খাস ভবানীপুরে লজ্জাজনক প্রত্যাথিক হোযার অন্তরাল পেরিয়ে গ্রেফ্তার বাংলাদেশির সংখ্যা এক শ ছাড়িয়েচে,সবাই কি বাংলাদেশি!
ভোটের জন্য যে ভাষায় যুদ্ধঘোষণা করেছিলেন আপনি,আসল যুদ্ধের সময় আপনি সেখানে থাকছেনই না!

থাকতে পারেন না,কারণ,আপনি নাগরিকত্ব সংশোধণী বিল পাশ করার সময় গৌরিক সরকারে রেল মন্ত্রী ছিলেন,যার পক্ষে বিলটি পাশ করেছিলেন লালকৃষ্ণ আডওয়াণী দায়িত্ব ত আপনারও ভূমিকা ত আপনারও মরিচঝাঁপির সময়েও আপনি ছিলেন জঙ্গী কংগ্রেস নেতা,কোনো বারই আপনি ব্রাত্য জনের পক্ষে দাঁড়াননি!

অথচ মোদী যখম সুনিয়োজিত মেরুকরণের জন্য অনুপ্রবেশকারি বনাম শরণার্থী তত্ব দিয়ে ভারত ভাগের দ্বিরাষ্ট্র বিপর্যয় জেকে আনলেন সব বাংলাভাষাভাষিদের জন্য,আপনি সিপিএম কংগ্রেস শেষ করার তাকীদে এতদিন নির্বাক অবাক থাকার পরে কোথাকার কে হরিদাসপালের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে আপনার এই সাধের সবুজ দ্বীপে পদ্মের চাষ আমদানি করলেন!

আপনার শিরঃপীড়া যথার্থই!

কিন্তু দিদি সন্ত্রাস দিয়ে,কংগ্রেস এবং সিপিএম শেষ করলে জাতের রাজনীতি করলে যেমন হিন্দু জাতীয়তা উন্মাদের স্বার্থ সিদ্ধি হয়!

এবং যা করতে গিয়ে মুলাযম,লালূ, নীতীশ, মায়াবতীর হাত ধরে ধরে বাম নেতৃত্ব সারা দেশে বামপন্থার মৃত্যুঘন্টা বাজিয়ে দিয়েছেন!

আপনিও বুঝতে পারলেন না যে লাল নিভলে সব সময় সবুজ হবে,এমনটা ট্র্যাফিকে হলেও রাজনীতিতে হয় না আর দিকে দিকে লাল নিভে পদ্ম হয়ে গেল!

আপনি পৌর নির্বাচনেও ভয় পাচ্ছেন এবং ঘটনা হল আপনার বিধানসভা এলাকায় আপনি জনগণের আস্থা হারিয়েছেন,আপনার সবুজ দ্বীপের এপিসেন্টার অন্ততঃ কুড়িটি সংসদীয় এলাকায় আপনি কংগ্রেস সিপিএম নিকেশ করে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছেন অবশ্যই,কিন্তু আপনার এবং অবশ্যই বাম ও কংগ্রেস ভোট কেটে দিক্ দিগন্তে পদ্মগন্ধে মম!

এমনকি আপনার সাধের সিঙ্গুরেও যে টাটাকে অনশন আন্দোলনে বাংলা ছাড়া করেছেন,তাঁরাই নেনো বাঁচানোর আন্দোলন শুরু করেছেন একালের আপনারই অনুগামিরা গৌরিক পতাকা নিয়ে.যারা আবার সবাই এক সময় লালে লাল  ছিলেন সবাই!

পরিবর্তন চক্র থামে না,থামবে না!

যারা লাল ছিলেন.তাঁরা সবুজ হলেন এবং তাঁরাই আবার গৌরিক!
পারলে সময় করে সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনের সময় বাম জমানার হিমালয়ী ভুলের তালিকাটি আরেকবার দেখে নিন,যেহেতু আপনিও সেই রাস্তাতেই হাঁটছেন!

দিদি, আপনি জানেন না,চল্লিশ বছর পর পাণিহাটিতে বাম দখল মক্ত করে সবুজায়মের ফলে আমরা পাণীয় জল কিনে প্রাণধারণ করছি,আপনার ভায়েরা সময় করে জনগণের দুঃখ তকলিফ বুঝতেই চাননা!

এলাকা দখল করে পরিবর্তন তে বামেরাও করেছিল তবু তাঁদের 34 সাল ক্ষমতা ছিল!

বুদ্ধবাবু একদিন আপনাকেই চ্যালেন্জ করে বলেছিলেন- আমরা 235!

আপনিও বামবধে বার বার উচ্ছসিত,উচ্চকিত!

কিন্তু গ্রামকে শহর করার আপনার বামপন্থায় উত্তর দক্ষিণ 24 পরগণা,হাওড়া হুগলি, নদীয়া, বর্দ্ধমান, মালদহ, মুর্শিদাবাদ সর্বত্রই কিন্তু আপনি সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের পত্তন করছেন!

আপনি কাশ্মীর প্রসঙ্গে একটি কথা ও বলছেন না কেন!
370 নিয়ে আপনি মন্তব্য করছেন না কেন!

রাজ্য সরকার আগেই জানিয়েছিল, জুন-জুলাইয়ে নির্ধারিত সময়ে এই ১৭টি পুরসভায় ভোট করতে তারা নারাজ৷ এ বার এই ১৭টি পুরসভার মধ্যে যে সাতটি রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তমতো কর্পোরেশন এলাকায় পড়বে, সেগুলিতে ডিলিমিটেশন বা সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ শুরু করল প্রশাসন৷ ডিলিমিটেশনের পর হবে আসন সংরক্ষণের কাজ৷ রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কমপক্ষে চার মাস সময় লাগবে৷ আইন অনুযায়ী, ডিলিমিটেশনের পর আসন সংরক্ষণ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে ভোট করতে হবে৷

এই সাতটি পুরসভা ছাড়া বাকি ১০টি পুরসভাতেও নির্ধারিত সময়ে ভোট হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই৷ ১৭টি পুরসভায় ভোট কবে হবে? জবাবে মঙ্গলবার পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'আমরা একসঙ্গে ভোট করব৷ পুরসচিব ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, ডিলিমিটেশনের কাজ শুরু হয়েছে৷ তা শেষ হওয়ার পরেই নির্বাচন হবে৷' সরকারি সূত্রে খবর, ভোট একদিনেই হবে৷ তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে এখনও পর্যন্ত কোনও চিঠি পৌঁছয়নি৷ কমিশনের এক কর্তা বলেন, 'আমরা সরকারের থেকে এ ব্যাপারে কোনও চিঠি এখনও পর্যন্ত পাইনি৷'

যে ১৭টি পুরসভায় আগামী ১৪ থেকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ শেষ হচ্ছে, তার মধ্যে মধ্যমগ্রাম, রাজারহাট-গোপালপুর, মহেশতলা, দমদম এবং দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকা পুনর্বিন্যাস করে প্রস্তাবিত চারটি নতুন কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত হবে বলে সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এই পাঁচটি ছাড়াও কুলটি পুরসভা এলাকা যুক্ত হবে আসানসোল কর্পোরেশনে৷ ফলে আসানসোল কর্পোরেশন এবং বাকি ৬টি পুরসভায় ডিলিমিটেশন এবং আসন সংরক্ষণ প্রক্রিয়া হয়ে যাওয়ার পরেই নির্বাচন হবে৷ পুরবোর্ডগুলির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট পুরসভাগুলির কাজ চালানোর জন্য সরকার প্রশাসক বসাবে৷ এতে অবশ্য কোনও অসুবিধা নেই বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম৷ তাঁর কথায়, 'জনগণের স্বার্থে প্রশাসক বসানোই যায়৷ অতীতে কলকাতা পুরসভায় দীর্ঘ দিন প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন প্রশান্ত শূর৷'

পুরনির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে কেউ সরকারি ভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি৷ এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল এমকে নারায়ণনের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে৷ কমিশন সূত্রে খবর, এ ব্যাপারে রাজ্যপালের মতামত জানার পরেই কমিশন পরবর্তী পদক্ষেপ করবে৷ নির্ধারিত সময়ে ভোট নিশ্চিত করতে আদালতে যাওয়া হবে কি না, সে ব্যাপারেও কমিশন আইনি পরামর্শ নিচ্ছে৷

রাজ্যে নতুন আরও ৫ পুরসভা

mamata
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে বাড়ানো হচ্ছে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সংখ্যা। সোমবার নতুন ৫টি পুরসভা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে। নতুন এই কর্পোরেশনগুলি হল দমদম, বারাসত, শ্রীরামপুর, মহেশতলা এবং ব্যারাকপুর। আবার কাজের পরিধি বাড়ানো হচ্ছে হাওড়া, চন্দননগর, আসানসোল কর্পোরেশনের।

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পরিকাঠামোগত এবং এলাকার উন্নয়নের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বালি পুরসভাকে এবার নিয়ে আসা হচ্ছে হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের আওতায়। আবার রানিগঞ্জ, কুলটি, জামুরিয়া আসছে আসানসোল কর্পোরেশনের অধীনে। উত্তরপাড়া, কোন্ননগর এবং রিষড়া পুরসভা এবার চন্দননগরের অধীনে থাকবে।

যে যে মিউনিসিপ্যালিটি নিয়ে নতুন কর্পোরেশন তৈরি হচ্ছে সেগুলি হল--

দমদম- কামারহাটি, খড়দহ, পানিহাটি, দমদম, উত্তর দমদম।
বারাসত- রাজারবাট-গোপালপুর, বারাসত, নিউ ব্যারাকপুর।
শ্রীরামপুর- বাঁশবেড়িয়া, চুঁচুড়া, ভদ্রেশ্বর, চাঁপদানি, বৈদ্যবাটি।
মহেশতলা- ভোজালি, মহেশতলা, আমতলা, সাতগাছিয়া।
ব্যারাকপুর- টিটাগড়, ব্যারাকপুর, ভাটপাড়া, গারুলিয়া, নৈহাটি, কাঁচড়াপাড়া, হালিশহর।

অন্য দিকে, এদিনের বৈঠকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে শিক্ষক ও ডাক্তারদের অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার৷ শিক্ষক ও চিকিত্‍‌সকদের অপ্রতুলতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। চিকিৎসকদের অবসর নেওয়ার বয়স ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬২ বছর করে দেওয়া হয়েছে৷ একই সঙ্গে এদিন মেডিক্যাল শিক্ষকদের বয়স ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি নতুন আরও ৮টি হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

৩৭০ বাতিল মানে কাশ্মীরকে অস্বীকার, মত ওমর-মুফতির

গৌতম হোড় ও শিলাদিত্য সাহা

নয়াদিল্লি ও কলকাতা: সঙ্ঘ পরিবারের কাশ্মীর লাইন নিয়ে জন্মলগ্নেই বিতর্কে জড়াল নরেন্দ্র মোদীর সরকার৷ পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতির প্রচেষ্টার মধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠল বুধবার৷ আর তাতে ইন্ধন জোগালেন আরএসএস নেতারাও৷

মঙ্গলবারই ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা তথা জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেছিলেন, 'হয় ৩৭০ ধারা থাকবে, না হলে জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের বাইরে চলে যাবে৷' বুধবার তার জবাবে আরএসএস নেতা রাম মাধব টুইট করে বলেন, 'জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অংশ থাকবে না? ওমর কি জম্মু ও কাশ্মীরকে বাবার জমিদারি ভাবছেন? ৩৭০ অনুচ্ছেদ থাকুক বা না থাকুক, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের সঙ্গেই থাকবে৷' তবে আরএসএস-এর কড়া প্রতিক্রিয়া নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না ন্যাশনাল কনফারেন্স৷ এ দিন ওমরের মন্তব্য, 'আরএসএসকে কোনও জবাবদিহি করব না৷ আমার দায়বদ্ধতা জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের প্রতি৷'

একই সঙ্গে ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রশ্ন, ৩৭০ ধারা বিলোপ করে কি কেন্দ্রীয় সরকার ভারত রাষ্ট্রে কাশ্মীরের অন্তর্ভূক্তিকেও বাতিল করতে চাইছেন? কারণ ওই বিশেষ মর্যাদার ছায়াতেই কাশ্মীরের সঙ্গে ভারতের সংযুক্তিকরণ হয়েছিল৷ মেহবুবা মুফতির পিপল্স ডেমোক্র্যাটিক পার্টিরও (পিডিপি) দাবি, যাঁরা এই ধারা বিলোপের কথা ভাবছেন তাঁরা ইতিহাস বা ভারতের সংবিধান-কোনওটাই জানেন না৷ আরএসএস অবশ্য সংঘাতের পথেই হাঁটছে৷ ওমরকে একহাত নেওয়ার পাশাপাশি রাম মাধবের বক্তব্য, মঙ্গলবার পিএমও-র প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং দেশজোড়া আলোচনার ডাক দিয়ে ভুল করেননি৷ তিনি দলের দীর্ঘদিনের অবস্থানের কথা বলেছেন৷ অন্য দিকে সঙ্ঘের অন্যতম শীর্ষনেতা সুরেশ সোনির সঙ্গে এ দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বৈঠক হয়৷ বিজেপি সূত্রের খবর, সেখানে সঙ্ঘ নেতৃত্বও জানিয়েছেন, ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করা নিয়ে আলোচনা শুরুর রোডম্যাপ বানাক সরকার৷ সেইমতো দেশজুড়ে এই বিষয়ে বিতর্ক হোক৷ মুসলিম সংগঠন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, জম্মু ও কাশ্মীরের লোকেদের সঙ্গে আলোচনা হোক৷ সঙ্ঘের নেতা মাধব গোবিন্দ বৈদ্যেরও দাবি, এটা নিয়ে বিতর্ক হোক৷ তার পর যা সিদ্ধান্ত হবে, সেটা সকলের মেনে নেওয়া উচিত৷ প্রসঙ্গত, সঙ্ঘ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন রাজনাথ৷

বিতর্ক অবশ্য শুরু হয়েই গিয়েছে৷ কারণ ন্যাশনাল কনফারেন্সের দাবি, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের ক্ষমতা মোদীর সরকারের নেই৷ দলের অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফা কামাল বলছেন, 'ভারতীয় স্বাধীনতা আইন (১৯৪৭) অনুযায়ী ১৯৪৭ সালের ২৬ অক্টোবর কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিং ভারতের সঙ্গে যে সংযুক্তির চুক্তি করেন, তার শর্তগুলি নিয়েই তৈরি হয় ৩৭০ ধারা৷

ভারতের সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের সাংবিধানিক সম্পর্ক ও একাত্মতা দাঁড়িয়ে রয়েছে ওই একটি ধারার উপরেই৷ এবং ভারতের সংসদ দলমত নির্বিশেষে এই বিশেষ মর্যাদায় সিলমোহর দিয়েছে৷ আজ সেটা বাতিলের কথা উঠলে তো সংযুক্তিকরণকেই অগ্রাহ্য করতে হয়৷ বিজেপি বা আরএসএস কি সেটা চায়?' কেন্দ্রকে মুস্তাফার হুঁশিয়ারি, 'আরও একবার দেশভাগের রাস্তায় যাবে না৷' কিন্ত্ত হঠাত্‍ এই বিতর্ক কেন? রাজনীতিকদের মত, বিজেপি একার ক্ষমতায় কেন্দ্রে সরকার গঠনে সফল হওয়ায় আরএসএস চাইছে তাদের দীর্ঘদিনের বকেয়া হিন্দুত্বের কর্মসূচি এ বার রূপায়িত হোক৷ তাতে তিনটি বিতর্কিত বিষয় রয়েছে৷ ৩৭০ ধারা, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি ও রামমন্দির নির্মাণ৷ আর সরকার গঠনের প্রথম দিনেই ৩৭০ ধারা বিলোপের প্রসঙ্গ ওঠায় একে সাম্প্রদায়িক শক্তির ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখছে জম্মু-কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলি৷

ওমর আবদুল্লার রাজনৈতিক সচিব তনবীরের বক্তব্য, 'আপনি আইনি ভাবে এই বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিতে পারেন না৷ কারণ এটা সংবিধানের ধারা৷ স্বয়ং রাষ্ট্রপতিও যদি এই ধারা বিলোপের সুপারিশ করেন, তা হলেও সেই সুপারিশ খতিয়ে দেখার অধিকার একমাত্র জম্মু-কাশ্মীর সংবিধান সভার (কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলি) ছিল৷ ১৯৫৬ সালে জম্মু-কাশ্মীর সংবিধান সভা ভেঙে নতুন সংবিধান রচনা হয় এবং রাজ্য বিধানসভা গঠিত হয়৷ কাজেই এখন আর ৩৭০ ধারা বিলোপের অধিকার কারও নেই৷ তা ছাড়া সংবিধানের ১ নম্বর ধারায় ভারতের যে রাজ্যতালিকা আছে, সেখানে জম্মু-কাশ্মীরের নাম ঢুকেছে ৩৭০ ধারার ভিত্তিতেই৷ মূল ধারা বিলোপ হলে তার প্রভাব তো রাজ্য তালিকাতেও পড়বে!' পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি বলছেন, 'জিতেন্দ্র সিং রাজ্য ভাগের চেষ্টা করছেন৷ বিতর্ক এটা নিয়ে হওয়া উচিত, ৩৭০ ধারাকে কী করে আরও শক্তিশালী করা যায়৷' দলের মুখপাত্র নঈম আখতারেরও সাফ কথা, '৩৭০ ধারা নিয়ে সমঝোতা অসম্ভব৷ বিশেষ মর্যাদার শর্তেই ভারতীয় সংসদে যোগ দিয়েছিল কাশ্মীর৷' বিজেপি অবশ্য এ দিন পুরোপুরি চুপ৷

প্রসঙ্গত, ৩৭০ ধারায় প্রতিরক্ষা, বিদেশনীতি ও যোগাযোগের ক্ষেত্র ছাড়া ভারতীয় সংসদের অনুমোদিত কোনও আইন রাজ্য সরকারের অনুমোদন ছাড়া জম্মু-কাশ্মীরে চলে না৷ আর জন্মলগ্নে জনসঙ্ঘ ও পরে বিজেপি কাশ্মীরকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার বিপক্ষে ছিল৷ এই অবস্থায় মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিমন্ত্রী ৩৭০ ধারা নিয়ে বিতর্ক চাওয়ায় কংগ্রেসের দাবি, এর পিছনে নিঃসন্দেহে সঙ্ঘ পরিবার আছে৷ কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভির মন্তব্য, 'বিজেপি জানে, ৩৭০ ধারা বিলোপ করা সম্ভব নয়৷ সংবিধানগত ভাবে কিংবা বাস্তব পরিস্থিতি অনুসারেই অসম্ভব৷ তবু ওঁরা এ সব কথা বলছেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে৷ সামনে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও কিছুদিনের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা ভোটে ভালো ফল করা৷ সে জন্যই এই প্রশ্ন তুলে তারা একটা বিভাজন তৈরি করতে চায়৷'
সন্তুষ্ট মমতার খাতায় ভালো নম্বর মন্ত্রীদের

mamata
পার্থসারথি সেনগুপ্ত

মমতার মার্কশিটে স্টার আর ফার্স্ট ডিভিশনের ছড়াছড়ি!

মন্ত্রীদের কাজের মূল্যায়নে উদার হাতেই 'মার্কস' দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বুধবার টাউন হলে প্রশাসনিক পর্যালোচনার পরীক্ষায় বেশির ভাগ মন্ত্রীই ভালো ভাবেই উতরে গিয়েছেন৷ খারাপ পরীক্ষার্থীর তকমা একাধিক মন্ত্রীর মিলেছে বটে, কিন্ত্ত সে সংখ্যাটা কম৷ তবে সব মন্ত্রীকেই কাজে আরও মনোযোগী হতে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা৷ বলেছেন, শুধু প্রশাসনিক স্তরে ভালো ভাবে কাজ করলেই হবে না, তার বার্তা রাজ্যবাসীর ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার মতো রাজনৈতিক দায়িত্বও মন্ত্রীদের পালন করা জরুরি৷ লোকসভা ভোটে শাসকদলের নজরকাড়া সাফল্যের রেশ থাকতে থাকতেই যে মুখ্যমন্ত্রী আসন্ন পুরনির্বাচন ও ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, তা এদিনের বৈঠকের সুর থেকে স্পষ্ট৷

বিভিন্ন দপ্তর পরিকল্পনা খাতে বাজেট বরাদ্দের কত শতাংশ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সুষ্ঠু ভাবে খরচ করতে পেরেছে, এই প্রাথমিক শর্তটাই ছিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের পরীক্ষায় উতরোনোর চাবিকাঠি৷ সেখানেই দুরন্ত স্কোর করেছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় বা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো মন্ত্রীরা৷ যেমন, রাজীববাবু বরাদ্দের চেয়েও বেশি খরচ করেছেন, যে পরিসংখ্যানটা প্রায় ১০২ শতাংশ৷ রাজীববাবুর অবশ্য প্রতিক্রিয়া, 'মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই আমি সফল৷'

মমতার মার্কশিটে ভালো বা ফার্স্ট ডিভিশন পেয়েছে যে সব দপ্তর, সেগুলির খরচের হিসেবও একশো শতাংশের কাছাকাছি৷ আবাসনমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের বাজেট বরাদ্দ খরচ হয়েছে ৯০ শতাংশের উপর৷ সমবায় মন্ত্রী রচপাল সিংও প্রায় ৯০ শতাংশ টাকা খরচ করেছেন বলে খবর৷ সদ্যপ্রাক্তন হয়ে যাওয়া তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও এই বন্ধনীতে আছেন৷ তাঁর জায়গায় তথ্যপ্রযুক্তির ভার নেওয়া অমিত মিত্রকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে বকেয়া প্রকল্পগুলি রূপায়ণ করতে৷

মার্কশিট খারাপ, এমন মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন বিচারবিভাগীয় মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য৷ তিনি তাঁর দপ্তরের বরাদ্দের ৭৩.১৫ শতাংশ খরচ করতে পেরেছেন৷ একই বন্ধনীতে রয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষদস্তিদার, পরিসংখ্যান ও প্রকল্প রূপায়ণ মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য এবং কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস৷ ফেল করেছে তিনটি জেলাও৷ উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং সাবিত্রী-কৃষ্ণেন্দুর জেলা মালদহ৷

কেন তাঁদের ফল খারাপ হল? চন্দ্রিমাদেবীর ব্যাখ্যা, 'আমার দপ্তরে অনেক ক্ষেত্রেই টাকা খরচ করার ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত কিছু বিষয় মেনে এগোতে হয়৷ ধরা যাক, জেলা স্তরে আদালত ভবন বানাতে গেলে হাইকোর্টকে ছুঁইয়ে এগোতে হয়৷ মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য ঠিকই বলেছেন যে, উন্নয়ন খাতে আরও খরচ করতে হবে৷ এ ব্যাপারে আমরা পরিকল্পনামাফিক এগোব৷' একই যুক্তি বাকিদেরও৷ পরিবেশমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের বহু প্রকল্পই রূপায়িত হয় অন্য দপ্তরের মাধ্যমে৷ দ্বিতীয়ত, বিশ্বব্যাঙ্কের অর্থানুকূল্যে যে সব প্রকল্প আছে, তাতে টেন্ডার করার ক্ষেত্রে কড়া শর্ত মেনে চলতে হয়৷ প্রকল্পের স্বার্থে হয়তো কিছু বেশি টাকার টেন্ডার ডাকা হলেও, তা নাকচ হয়ে যায়৷ আবার নতুন করে টেন্ডারের পদ্ধতি শুরু হয়৷ স্বভাবতই, এসব ক্ষেত্রে আমাদের দপ্তরের তরফে ম্যাচিং গ্রান্ট ছাড়তে দেরি হয়ে যায়৷ দশ-বারো কোটি টাকা বাকি পড়ে থাকে৷' উজ্জ্বলবাবুর প্রতিক্রিয়া, 'আমরা তো ব্লক স্তরগুলোতেও আইটিআই গড়ার চেষ্টা করছি৷'

রবীন্দ্রনাথবাবুর যুক্তি, তাঁর যে দপ্তর, তাতে সরাসরি জনস্বার্থে বরাদ্দ অর্থ ব্যয় করার কোনও রাস্তা নেই৷ উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, 'আমি তো চাইলেই রাস্তা বানাতে পারব না৷ ফলে, পরিকল্পনা খাতে আমার দপ্তরের বরাদ্দ যে পাঁচ কোটি টাকা, তার অর্ধেকও খরচ হয়নি৷ এ বার ভোটের জন্যও কাজ ব্যাহত হয়েছে৷ তবে এ বার যে ছ' কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে তার একশো শতাংশই ব্যয় করতে পারব৷'

ঘটনা হল, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যই প্রতিফলিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথবাবুর এই যুক্তিতে৷ কারণ, প্রায় আড়াই ঘণ্টার মূল্যায়নী বৈঠকের সূচনাতেই মমতা জানান, লোকসভা ভোটপর্বে নির্বাচনী বিধির কারণে বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগের কাজ ব্যাহত হয়েছে৷ বেশ কয়েক মাস নষ্টও হয়েছে৷ সেটা সামাল দিতে মন্ত্রীদের সতর্ক হতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷

সফল মন্ত্রীরা কী বলছেন? সুব্রতবাবু এখনই ভবিষ্যতের দিশা নিয়ে ভাবছেন৷ তিনি বলেন, 'অনেক কাজই হয়েছে৷ এ বার জল সরবরাহের উপর আরও নজর দিতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রীও এটা বলেছেন৷ আবার ১০০ দিনের কাজেও আমাদের সাফল্য ধরে রাখতে হবে৷' সাধনবাবু সাফল্যের মন্ত্রগুপ্তি হিসেবে বলেছেন, 'লেগে থাকতে হয়৷ আমার দপ্তরে মানুষ আসে এসি মেশিন খারাপের অভিযোগ নিয়ে, আবার চিট ফান্ডের হাতে সর্বস্ব খুইয়েও৷ জনস্বার্থে সবার কথা ভাবতে হয়৷' শশীদেবীর মতে,'পরিশ্রম আর নিষ্ঠাই আমার মূলমন্ত্র৷ আর, যে কোন বিষয় একটু গভীরভাবে বোঝার চেষ্টা করা৷'
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বৈঠকের পর বলেন, 'আমরা প্রশাসনিক স্তরে বিডিও-এসপিদের নিয়ে মোট ৫৪টা বৈঠক করেছি৷ আজকের বৈঠক অত্যন্ত ইতিবাচক ও গঠনমূলক হয়েছে৷ এ বার জেলাস্তরে বৈঠকের সূচনা হিসেবে ২ জুন উত্তরকন্যায় দার্জিলিং-জলপাইগুড়ি-কোচবিহার নিয়ে বৈঠক হবে৷ পুলিশকর্তাদের নিয়েও আলাদা বৈঠকে বসব৷ সমস্যা হল, প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে ২০ ডিসেম্বর বৈঠকের পর বেশ কয়েকটা মাস চলে গেল৷ কোন দপ্তরের কাজের ক্ষেত্রে কোথায় কী অসুবিধা বা কমিউনিকেশন গ্যাপ হচ্ছে, তা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা হয়েছে৷ আমাদের অনেক কাজ ভালোই হচ্ছে৷ যেমন, ১০০ দিনের কাজে বাংলা প্রথম হয়েছে৷ এই সব ভালো কাজের বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে৷'

পর্যটনে ব্রাত্য, শিক্ষায় পার্থ, দুই মন্ত্রী দপ্তরহীন

duo
এই সময়: মন্ত্রিসভায় রদবদল ঘটিয়ে একই সঙ্গে সরকার ও দলকে ঝাঁকুনি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মন্ত্রীদের কাজের মূল্যায়ন করতে আজ বুধবার টাউন হলে বৈঠক ডেকেছেন তিনি৷ তার ২৪ ঘণ্টা আগে মঙ্গলবার দুপু্রেই বেশ কিছু পরিবর্তন করলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল শিক্ষামন্ত্রী পরিবর্তন৷ ব্রাত্য বসুকে সরিয়ে শিক্ষা দপ্তরের ভার দেওয়া হল তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে৷ ব্রাত্যকে দেওয়া হল পর্যটন দপ্তর, যা শিক্ষার তুলনায় কম গুরুত্বের৷ এই রদবদলেই ডানা ছাঁটা গেল তিন মন্ত্রীর৷ পর্যটন কেড়ে নিয়ে মালদহের কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরিকে দেওয়া হল অনেক কম গুরুত্বের দপ্তর খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ৷

তবে সবচেয়ে গুরুত্বহীন করে দেওয়া হল মালদহ ও মুর্শিদাবাদের দুই মন্ত্রীকে৷ সাবিত্রী মিত্র ও সুব্রত সাহাকে মন্ত্রিসভায় রাখা হয়েছে বটে, কিন্ত্ত তাঁরা আপাতত দপ্তরবিহীন৷ আজ মুখ্যমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠকে অবশ্য তাঁরা থাকবেন৷ সচিব ও উচ্চপদস্থ অফিসারদেরও ডাকা হয়েছে এই বৈঠকে৷

তৃণমূল সরকারের তিনবছরের কার্যকালে মন্ত্রিসভায় রদবদল আগেও হয়েছে৷ তিনটি বড় রদবদলে দুবারই দপ্তর বদল হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের৷ আগেরবার গুরুত্বপূর্ণ শিল্প দপ্তর হাতছাড়া হয়েছে তাঁর৷ এবার তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প দপ্তর হাতছাড়া হলেও তিনি পেলেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দপ্তরের ভার৷ মুখ্যমন্ত্রী তথ্যপ্রযুক্তি দিয়েছেন তাঁর অত্যন্ত আস্থাভাজন অমিত মিত্রকে৷ অর্থ, আবগারি, শিল্প, এবং এবার তথ্যপ্রযুক্তির দায়িত্ব পেয়ে অমিতবাবু যে মন্ত্রিসভায় কার্যত দু'নম্বর হয়ে গেলেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই৷ নরেন্দ্র মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে সরকারের তরফে তাঁকে পাঠিয়েও অমিতবাবুর রাজনৈতিক ওজন বৃদ্ধির বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷

রদবদলের সম্ভাবনার কথা ক'দিন ধরেই তৃণমূল শিবিরের আলোচনায় ছিল৷ সাবিত্রী, সুব্রত ও কৃষ্ণেন্দুর যে ডানা ছাঁটা হবে, এমনকি মলয় ঘটকের মতো তাঁদের মন্ত্রিত্বও কেড়ে নেওয়া হতে পারে এমন কথাও শোনা যাচ্ছিল৷ শেষপর্যন্ত জেলা রাজনীতির ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থেই তাঁদের মন্ত্রিত্বে রেখে দেওয়া হল৷

তৃণমূল সূত্রে বলা হচ্ছে, এই রদবদলের মধ্যে দিয়ে মমতা এক ঢিলে অনেক পাখি মারার চেষ্টা করেছেন৷ প্রথমত, ৩ বছরে বেশ কয়েকবার রদবদল ঘটিয়ে মমতা বুঝিয়ে দিচ্ছেন বামফ্রন্ট জমানার মতো তাঁর মন্ত্রিসভায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বলে কিছু নেই৷ কেউ কোনও পদে বা দপ্তরে অপরিহার্য নন৷ দায়িত্ব ও দপ্তর বদলের ফলে কাজে গতি আসে, এই কর্পোরেট ভাবনায় বিশ্বাসী মমতা৷ তবে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল মন্ত্রীদের এই বার্তাও দেওয়া যে, দলকে উপেক্ষা করলে তিনি বরদাস্ত করবেন না৷

ব্রাত্য বসু অবশ্য প্রকাশ্যে বলেছেন তিনি নিজেই কিছুটা চাপমুক্ত হতে চেয়েছিলেন৷ কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পর্বতারোহী ছন্দা গায়েনের বাড়ি যাওয়ার পথে সে কথা তিনি দলনেত্রীকে জানান৷ ব্রাত্যবাবুর বক্তব্য, 'এটা রুটিন বদলি৷ মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে চেয়েছিলেন শিক্ষায় সেভাবেই সংস্কার করা হয়েছে৷ যা ভাল হয়েছে তার সব কৃতিত্ব মুখ্যমন্ত্রীর৷ আর যেটা পারিনি তার দায় আমার৷ পর্যটন দপ্তর পেয়ে আমি খুশি৷ বুধবারই আমি নতুন দায়িত্ব নেব৷' কৃষ্ণেন্দু জানিয়েছেন, 'নব মহাকরণে নিজের দপ্তরে বসেই আমি রাজভবন থেকে চিঠি পেয়েছি৷ আমি মনে করি না এটা কোনও শাস্তি৷ যে দপ্তরেই থাকি মন দিয়ে কাজ করি৷ পর্যটন দপ্তরেও করেছি৷ এখন মুখ্যমন্ত্রী আমাকে খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের দায়িত্ব দিয়েছেন৷ সে দায়িত্ব পালন করব৷'

বহরমপুরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক চলাকালীন রদবদলের খবর পান সুব্রত সাহা৷ তাঁর সাফ কথা, 'দল ও সরকারের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে কাজ করার নির্দেশ দেবেন সেইভাবেই কাজ করব৷' এর বেশি একটি শব্দও ব্যয় করতে চাননি সুব্রত৷ মালদহের অপর মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র এদিন কলকাতায় ছিলেন না৷ তিনি নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে ভূতনির চরের কাছে একটি সেতু নির্মাণ সংক্রান্ত কাজে ব্যস্ত ছিলেন৷ সাবিত্রীর কথায়, 'দপ্তর নিয়ে নেওয়ার খবর মুখ্যমন্ত্রী বা দলীয় নেতৃত্ব আমায় জানাননি৷ তাই এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে পারব না৷ তবে এটুকু বলতে পারি, দল যে দায়িত্ব দেবে তাই পালন করব৷'