Sunday, September 28, 2014

গর্বে ভরে যায় মনপ্রাণ,তবু লজ্জায় ঢেকে যায় মুখ। মার্কিন মুক্তবাজারে অভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রী ভারতের,যার বিরুদ্ধ বক্তৃতার আগে দাঙ্গার অভিযোগে সমন জারি করল মার্কিন আদালত। এবং তিনি বললেন দেশের সব আইন খারাপ,সব আইন পালটে দেবেন,সার্বভৌম রাষ্ট্র ভারতেরপ্রধানমন্ত্রীর বিদেশে মাটিতে অভূতপূর্ব যুদ্ধঘোষণা ভারতীয় সংবিধানের বিরুদ্ধে। গণসংহারের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী বললেন মুক্তবাজার,পিপিপি মডেল এবং মার্কিন নাগরিকদের ভারতে ঢালাও সুযোগ,সুবিধা ও ছাড়ের। হরিকথা অনন্ত,আসুন আমরা পায়দল ফৌজ মহোত্সবে মাতি,অশ্বমেধে যারা মরার জন্যই জন্মজন্মান্তরের পাপে অভিশপ্ত,তারা মরুক আগে। সাবধান যেহেতু রীতিমত তালিম নিয়ে পুরোদম প্রস্তুতির ফসল হিন্দি ইংরেজি ও সংস্কৃততে তিনি খারিজ করলেন ভারতীয় সংবিধান,পেশ করলেন মুক্তবাজারি মনুস্মৃতি বিধান। অথচ দক্ষিন এশিয়ার যুদ্ধোন্মাদি ধর্মজিহাদি পরিবেশ বদলানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফর পুরোপুরি ব্যর্থ। পলাশ বিশ্বাস

গর্বে ভরে যায় মনপ্রাণ,তবু লজ্জায় ঢেকে যায় মুখ।

মার্কিন মুক্তবাজারে অভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রী ভারতের,যার বিরুদ্ধ বক্তৃতার আগে দাঙ্গার অভিযোগে সমন জারি করল মার্কিন আদালত।
এবং তিনি বললেন দেশের সব আইন খারাপ,সব আইন পালটে দেবেন,সার্বভৌম রাষ্ট্র ভারতেরপ্রধানমন্ত্রীর বিদেশে মাটিতে অভূতপূর্ব যুদ্ধঘোষণা ভারতীয় সংবিধানের বিরুদ্ধে।
গণসংহারের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী বললেন মুক্তবাজার,পিপিপি মডেল এবং মার্কিন নাগরিকদের ভারতে  ঢালাও সুযোগ,সুবিধা ও ছাড়ের।
হরিকথা অনন্ত,আসুন আমরা পায়দল ফৌজ মহোত্সবে মাতি,অশ্বমেধে যারা মরার জন্যই জন্মজন্মান্তরের পাপে অভিশপ্ত,তারা মরুক আগে।

সাবধান যেহেতু  রীতিমত তালিম নিয়ে পুরোদম প্রস্তুতির ফসল হিন্দি ইংরেজি ও সংস্কৃততে তিনি খারিজ করলেন ভারতীয় সংবিধান,পেশ করলেন মুক্তবাজারি মনুস্মৃতি বিধান।

অথচ দক্ষিন এশিয়ার যুদ্ধোন্মাদি ধর্মজিহাদি পরিবেশ বদলানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফর পুরোপুরি ব্যর্থ।


পলাশ বিশ্বাস
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর রকস্টার অবতার অভূত পূর্ব।প্রধানমত্রীর মুখে হিন্দুত্বের জযগান অভূতপূর্ব।

মার্কিন মুক্তবাজারে অভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রী ভারতের,যার বিরুদ্ধ বক্তৃতার আগে দাঙ্গার অভিযোগে সমন জারি করল মার্কিন আদালত।যদিও যুক্তরাষ্ট্র সফরে সরকার প্রধান হিসেবে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি “দায়মুক্তি ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা” পাবেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মনে রাখা দরকার,২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে গুজরাটের গোধরা এলাকায় অযোধ্যা থেকে ফেরা সবরমতি এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় ৫৮ জন হিন্দুত্ববাদী স্বেচ্ছাসেবক নিহত হন। এর জের ধরে গুজরাটজুড়ে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়লে প্রায় ১২শ’ মানুষ নিহত হন, যাদের অধিকাংশই মুসলামান।

২০০২ সালে কোনো অপরাধ করেননি বলে দাবি করে আসছেন মোদি। ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের একটি রায়েও মোদির ওই কথার সমর্থনে বলা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

এবং রীতিমত তালিম নিয়ে পুরোদম প্রস্তুতির ফসল হিন্দি ইংরেজি ও সংস্কৃততে তিনি খারিজ করলেন ভারতীয় সংবিধান,পেশ করলেন মুক্তবাজারি মনুস্মৃতি বিধান।

তিনি বললেন দেশের সব আইন খারাপ,সব আইন পালটে দেবেন,সার্বভৌম রাষ্ট্র ভারতেরপ্রধানমন্ত্রীর বিদেশে মাটিতে অভূতপূর্ব যুদ্ধঘোষণা ভারতীয় সংবিধানের বিরুদ্ধে।
গণসংহারের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী বললেন মুক্তবাজার,পিপিপি মডেল এবং মার্কিন নাগরিকদের ভারতে  ঢালাও সুযোগ,সুবিধা ও ছাড়ের।
হরিকথা অনন্ত,আসুন আমরা পায়দল ফৌজ মহোত্সবে মাতি,অশ্বমেধে যারা মরার জন্যই জন্মজন্মান্তরের পাপে অভিশপ্ত,তারা মরুক আগে।
আমেরিকায় পৌছনোর ঠিক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে সমন জারি করল মার্কিন আদালত। ২০০২ সালের  গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে তাঁর নামে যে অভিযোগ রয়েছে, তার জেরেই মার্কিন ফেডারেল আদালতের এই সমন।
ওই দাঙ্গায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া দুই ব্যক্তির পক্ষে মামলা করে মানবাধিকার সংস্থা আমেরিকান জাস্টিস সেন্টার। তারই জেরে গুজরাটের তত্‍কালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদীকে  ব্যাখ্যা দিতে বলেছে মার্কিন আদালত। দু হাজার দুই সালের ওই দাঙ্গায় প্রায় বারোশো মানুষ নিহত হন। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সফরের মধ্যেই তাঁকে আদালতের সমন পাঠানো নিয়ে এখনও ওয়াশিংটনের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। বিজেপিও প্রতিক্রিয়া জানাতে  চায়নি। ওই দাঙ্গার জেরেই  মুখ্যমন্ত্রী থাকাকলীন মোদীর ভিসার আবেদন এর আগে একাধিকবার আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এবার অবশ্য প্রধানমন্তরী নরেন্দ্র মোদী মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ আমন্ত্রণেই তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে সংস্কারের ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিরাপত্তা পরিষদে অংশগ্রহণের  সুযোগ আরও ব্যাপক করা জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য পদ। এনিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছে নয়াদিল্লি। এই ইস্যুতে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশকে পাশেও পেয়েছে ভারত। কিন্তু, কয়েকটি দেশের প্রচ্ছন্ন বিরোধিতায় এখনও স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া হয়নি। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রথম ভাষণে প্রধানমন্ত্রী তাই সেই দাবিটাই তুলে ধরলেন অন্য মোড়কে।
বিংশ শতাব্দীর নিয়মনীতি একুশ শতকে কার্যত অপ্রাসঙ্গিক বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কোনও একটি দেশ বা রাষ্ট্রগোষ্ঠী নিয়ামক হতে পারে না বলেও মনে করেন তিনি। আর সেই লক্ষ্যেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে G ওয়ান থেকে G অলের আহ্বান শোনা গিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর গলায়। শান্তিরক্ষা বাহিনীতে যেসব দেশের অবদান থাকে নিরাপত্তা পরিষদের স্থানীয় সদস্যপদ তাদের সকলেরই পাওয়া উচিত বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

..
গর্বে ভরে যায় মনপ্রাণ,তবু লজ্জায় ঢেকে যায় মুখ।
এখন রকস্টার ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

আরো লজ্জার,মার্কিন সরকার তাঁকে উদ্ধার করল যে ভাবে

যুক্তরাষ্ট্র সফরে সরকার প্রধান হিসেবে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি “দায়মুক্তি ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা” পাবেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।






সফরের সময় মোদির কাছে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের কোনো সমনও দেয়া হবে না বলে শুক্রবার নিশ্চিত করেছেন দেশটির জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের একটি আদালত “২০০২ সালে গুজরাটে সংঘবদ্ধ ভয়াবহ সহিংসতা”র জন্য মোদির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছিল।

২০০২ সালের ওই ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকালে ভারতীয় রাজ্য গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন মোদি।

এক যুগ আগের ওই দাঙ্গার সহিংসতা থেকে বেঁচে যাওয়া দুই ব্যক্তির পক্ষে নিউইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার গোষ্ঠি আমেরিকান জাস্টিস সেন্টার‘র (এজেসি) অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমনটি জারি করে আদালত।

মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর তদারক করার দায়িত্বে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ওই সমন জারির বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞাত আছেন।

তারা বলেছেন, “চলতি সরকার প্রধান দায়মুক্তি ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা পেয়ে থাকেন।” তবে মামলা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি তারা।

জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে আসা সব প্রতিনিধি দলের প্রধানরাই একই ধরনের দায়মুক্তি ভোগ করে থাকেন বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তারা।

শনিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদির ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বরাক ওবামার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য তার ওয়াশিংটন যাওয়ার কথা রয়েছে।

২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের ওই দ্বিপাক্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন উপলক্ষে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন ৬৪ বছর বয়সী মোদী।


তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গতরাতে  একটি রক কনসার্টের মঞ্চ কাপালেন। না রক গানে নয়। চেনা বক্তৃতায়। নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্কে তখন থিক থিকে ভিড়। ভারতীয় পোশাকে একবয়স্ক ব্যক্তি মঞ্চে।" গ্লোবাল সিটিজন ফেস্টিভল' উপলক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিশ্বের যুব সমাজকেই এগিয়ে রাখলেন নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী। সংস্কৃত-ইংরাজি-হিন্দি তিনটি ভাষা মেশানো মোদীর সাত মিনিটের বক্তব্যর সার ছিল "বিশ্ব শান্তি'। প্রথমেই   মার্কিন ভিড়ের মন জিতলেন "নমস্কারে'।
কনসর্টের শুরুতে হলিউড অভিনেতা হুগ জ্যাকম্যানের সঙ্গে হাতে হাত ধরে মঞ্চে দেখা যায় নরেন্দ্র মোদীকে।  যেসব দর্শক টেলিভিশন, ল্যাপটপ ও ফোনে মুখ গুঁজে কনসার্ট দেখছেন ,তাঁদের মোদী বললেন "নমস্তে'।
পার্কে উপস্থিত যুব সম্প্রদায়কে মোদীর বার্তা ছিল, ""কারণ আপনারাই ভবিষ্যৎ। আপনারা আজ যা করবেন, তা আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ণয় করবে। আমি এখানে এসে অনেক আশা দেখতে পারছি। যাতে রয়েছে ভবিষ্যতের আত্মবিশ্বাস।''
অথচ দক্ষিন এশিয়ার যুদ্ধোন্মাদি ধর্মজিহাদি পরিবেশ বদলানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফর পুরোপুরি ব্যর্থ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার জন্য এসে পৌঁছলে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দপ্তরের বাইরে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে বাক‍্যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল আমেরিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমর্থক এবং কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নবাদীদের সমর্থকরা৷‌ মোদির সমর্থকরা যখন ‘নিউ ইয়র্ক মোদিকে ভালবাসে’, ‘আমেরিকা মোদিকে ভালবাসে’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে ‘মোদী মোদী’ করে স্লোগান দিচ্ছিল সেই সময় তাদের সামনে এসে পড়ে কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থকরা৷‌ তাদের হাতে প্ল্যাকার্ড ছিল ‘আমরা কাশ্মীরের মুক্তি চাই৷‌’ দু’পক্ষকেই শাম্ত করতে নিরাপত্তা কর্মীরা তৎপর হন৷‌ এদিকে, পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মম্তব্য অবাস্তব বলে জানিয়ে দিল ভারত৷‌ উত্তর দেওয়ার অধিকার ব্যবহার করে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি অভিষেক সিং শনিবার বললেন, অবাঞ্ছিতভাবে কাশ্মীরের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী৷‌ গণতন্ত্রের সর্বজনীন নীতি এবং প্রয়োগ মেনে জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দারা শাম্তিতেই আছেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন৷‌ সুতরাং আমরা পাক প্রধানমন্ত্রীর অবাস্তব মম্তব্য খারিজ করছি৷‌ আগস্টে বিদেশ সচিব পর্যায়ে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার জন্য ভারতকেই দায়ী করে শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জে ১৫ মিনিটের ভাষণে নওয়াজ বলেছিলেন, ছয় দশক আগে রাষ্ট্রপু? কাশ্মীরে গণভোট করার প্রস্তাব এনেছিল৷‌ কাশ্মীরের মানুষ এখনও সেই প্রতিশ্রুতির দিকে তাকিয়ে আছেন৷‌ আম্তর্জাতিক মহলকেই কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে হবে, তার ওপর পর্দা পরিয়ে রাখলে চলবে না৷‌ এদিকে, বি জে পি এবং কংগ্রেস একযোগে নওয়াজের মম্তব্যের সমালোচনা করেছে৷‌ বি জে পি মুখপাত্র নলিন কোহলি বলেছেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল করতে পাকিস্তান যে আগ্রহী তা এমন আচরণ থেকে মনে হয় না৷‌ আর কংগ্রেসের মুখপাত্র রশিদ আলভি বলেছেন, রাষ্ট্রপুঞ্জে গেলেই কাশ্মীর প্রসঙ্গ টেনে আনা পাকিস্তানের স্বভাব৷‌ এতে কোনও গুরুত্ব দেওয়াই উচিত নয়৷‌ পাকিস্তানের জামাত-উদ-দাওয়া নেতা হাফিজ সঈদ অবশ্য নওয়াজের ওপর খুশি৷‌ নওয়াজ অবশ্য এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি৷‌ আমেরিকা সফর শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সাংবাদিকদের কাছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জন্য শুভকামনা জ্ঞাপন করেন তিনি৷‌

দাঙ্গার ক্ষত কি মুছতে পারছেন নরেন্দ্র মোদী?

শুভজ্যোতি ঘোষবিবিসি বাংলা, দিল্লি
বারো বছর আগে ভারতের গুজরাটে ভয়াবহ হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন যিনি, সেই নরেন্দ্র মোদীকেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তাদের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেছে সে দেশের হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি।
নির্বাচনী প্রচারে তাঁকে তুলে ধরা হচ্ছে গুজরাটের উন্নয়নের প্রধান কারিগর হিসেবে – আর প্রাক-নির্বাচনী সব জনমত জরিপেই তাঁর নেতৃত্বে বিজেপি জোট এগিয়ে আছে।
দাঙ্গার তদন্তকারী দলও সম্প্রতি মি. মোদীকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে – কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নেমে নরেন্দ্র মোদী কি পারছেন গুজরাটের গণহত্যার কলঙ্ক মুছে ফেলতে? দেশের সাধারণ মানুষই বা তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের সম্ভাবনাকে কী চোখে দেখছেন?
ডিমোলিশন ম্যান থেকে ডেভেলপমেন্ট ম্যান
তেষট্টি বছর বয়সী এক ধুরন্ধর রাজনীতিক দলের নির্বাচনী প্রচারসঙ্গীতে শপথ নিয়েছেন – ভারতকে কখনও মাথা নোয়াতে দেবেন না।
নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদী গত সাত-আট মাস ধরে দেশের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত চষে বেড়াচ্ছেন অক্লান্তভাবে – এবং গুজরাটের টানা ১৩ বছরের মুখ্যমন্ত্রী এখন এগোচ্ছেন দেশের প্রধানমন্ত্রিত্বকে পাখির চোখ করে।
গুজরাটের উন্নয়নের কান্ডারী হিসেবে তাকে ঘিরে প্রচার চলছে – কিন্তু ওই রাজ্যে ২০০২-র ভয়াবহ হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার ক্ষতও কিন্তু তাকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে!
কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং মি মোদীর প্রবলতম সমালোচকদের একজন, তাঁর বক্তব্য হল তদন্তে রেহাই পেলেও দাঙ্গার সময় নরেন্দ্র মোদী যে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছিলেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আর সে কারণেই প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী তাঁকে রাজধর্ম পালনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন!
২০০৭-র পর থেকে গুজরাতের বাইরে সর্বভারতীয় নেতা হিসেবে তিনি নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা শুরু করলেন – আর তার হাতিয়ার করলেন গুজরাতের সার্বিক উন্নয়নের ছবিকে!
নীলাঞ্জন মুখোপাধ্যায়, নরেন্দ্র মোদীর জীবনীকার
কিন্তু ঘটনা এটাও, ২০১৪-র নরেন্দ্র মোদী নিজেকে সম্পূর্ণ নতুন মোড়কে পেশ করতে অনেকটাই সফল হয়েছেন – দেশের একটা বড় অংশ বিশ্বাস করছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য তিনিই যোগ্যতম।
মি মোদীর সমর্থকরা কেউ মনে করেন, গুজরাটে তিনি যে চমক দেখিয়েছেন গোটা ভারতেই সে ম্যাজিক দেখাবেন তিনি – আর উচিত শিক্ষা দেবেন পাকিস্তান-আমেরিকাকে। কেউ আবার নিশ্চিত, দেশের ভাল করার ক্ষমতা আছে একমাত্র তারই।
দাঙ্গা-কলঙ্কিত একজন রাজনীতিক থেকে দেশের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী – নরেন্দ্র মোদীর এই চমকপ্রদ উত্থানকে স্পষ্ট দুটো পর্বে ভাগ করা যায় – বলছিলেন তার জীবনীকার ও গবেষক নীলাঞ্জন মুখোপাধ্যায়।
তিনি বলছিলেন, ''প্রথম পর্বে মি. মোদী গুজরাট দাঙ্গার পক্ষে কার্যত সাফাই গেয়ে, গুজরাতি অস্মিতা বা গর্বর কথা বলে এবং দক্ষিণপন্থী ভোটকে কনসলিডেট করেই গুজরাটের ম্যান্ডেট পান – এবং সেভাবেই ২০০২ ও ২০০৭র নির্বাচনে জেতেন।''
মি. মুখোপাধ্যায় আরও বলেন, ''দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০০৭-র পর থেকে গুজরাতের বাইরে সর্বভারতীয় নেতা হিসেবে তিনি নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা শুরু করলেন – আর তার হাতিয়ার করলেন গুজরাতের সার্বিক উন্নয়নের ছবিকে।''
এর মাধ্যমেই দাঙ্গা-কলঙ্কিত ‘ডিমোলিশন ম্যান’ থেকে নরেন্দ্র মোদীর রূপান্তর ঘটল উন্নয়নের কারিগর বা ‘ডেভেলপমেন্ট ম্যান’ হিসেবে – বলছিলেন নীলাঞ্জন মুখোপাধ্যায়।
হিন্দুত্ব আর জনপ্রিয়তা
আসলে নিম্নবিত্ত গুজরাটি পরিবারের একটি ডাকাবুকো ছেলে – ছাত্র হিসেবে সাদামাটা, রেল ক্যান্টিনে চা-বেচে যার অনেকটা সময় কাটত – সেই সাধারণ ছেলেটিই যে অসাধারণ মুন্সিয়ানায় নিজেকে ভারতের পরিত্রাতা হিসেবে তুলে ধরতে পেরেছেন তা কেউই অস্বীকার করতে পারছেন না।
যদিও নিন্দুকেরা বলেন, তার ভাবমূর্তি নির্মাণের ইমারতে অনেক ভেজাল আছে, ফেকু বা জালিয়াত বলে কম গালিগালাজও কম শুনতে হচ্ছে না নরেন্দ্র মোদীকে।
narendra_modiবিজেপি-র প্রচারে সর্বত্রই শুধুই মোদী
তার শিক্ষাদীক্ষা, অর্থনীতির জ্ঞান নিয়েও চলছে ব্যঙ্গবিদ্রূপ। তিনি নিজে কিন্তু নির্বিকার – এবং তার জনপ্রিয়তাও ক্রমবর্ধমান।
বিজেপি-তে তাঁর সতীর্থ নেতা অরুণ জেটলি যেমন বলছিলেন, ''সব জনমত জরিপেই মি. মোদী তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে বিরাট ব্যবধানে এগিয়ে। কাজের লোক হিসেবেই তাঁর পরিচয়। দলের কর্মীরা তাঁকে দেখেই সবচেয়ে উদ্বুদ্ধ হয়। ফলে বিজেপি তাঁকে যে ভাবী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরেছে, সেটা কিস্তিমাত করা একটা সিদ্ধান্ত!''
কট্টর হিন্দুত্ববাদী হিসেবে গোড়ায় জনপ্রিয়তা পেলেও এই নির্বাচনে সচেতনভাবেই হিন্দুত্ব নিয়ে প্রচার এড়িয়ে চলছেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু যেভাবে তিনি হিন্দুদের পবিত্র তীর্থস্থান বারাণসী থেকে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন – তাতে বার্তাটা মোটেও অস্পষ্ট নয়।
তবে উগ্র হিন্দুত্ব আর দাঙ্গার ছায়া মি. মোদীর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে কোনও বাধা কি না, সেই প্রশ্নে ভারত কিন্তু দ্বিধাবিভক্ত।
চাঁদনি চকের প্রবীণ মুসলিম পানওলার মতে, সমাজের জন্য তা মোটেও ভাল হবে না, কারণ যে লোক দাঙ্গায় মানুষের ভাল চায়নি সে কীভাবে দেশের ভাল চাইবে?
দিল্লির তরুণী আইটি প্রফেশনাল আবার মনে করছেন, শুধু দাঙ্গার ইস্যু খুঁচিয়ে তুলে লাভ নেই – কারণ ভারতে সব রাজনীতিকেরই ওরকম অতীত আছে।
দলের চেয়েও বড়?
এই বিতর্ক আর বিভক্তিরই যেন আর এক নাম নরেন্দ্র মোদী। প্রশাসক আর রাজনীতিক হিসেবে যার ভাবনাচিন্তা, কাজের ধারাও একেবারে আলাদা ধাঁচের – বলছিলেন জীবনীকার নীলাঞ্জন মুখোপাধ্যায়।
advani_and_modiমোদীর দাপটে বিজেপি-র প্রবীণ নেতারা এখন কোণঠাসা
''তিনি অনেকটা ইন্দিরা গান্ধীর মতোই স্বৈরতন্ত্রী স্বভাবের, অত্যন্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী, প্রাতিষ্ঠানিক রীতিনীতি বা দলকেও মানেন না – খুব ঘনিষ্ঠ আস্থাভাজনদের নিয়ে নিজস্ব টিম তৈরি করে চলেন'', বলছিলেন মি মুখোপাধ্যায়।
আর নরেন্দ্র মোদীর কাজেকর্মেও রয়েছে ভীষণ গোপনীয়তার ব্যাপার – তাঁর দলের সদস্যরাও জানেন না অন্যদের কাজ বা দায়িত্ব ঠিক কী, ব্রিফ কী! আর তাঁর এই গোপনীয়তার কায়দাটা ঠিক আরএসএসের মতোই।
কিশোর বয়স থেকে আরএসএস বা সঙ্ঘের এই প্রচারক দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন কি না, তার উত্তর এখনও জানা নেই।
যেটা জানা আছে, নরেন্দ্র মোদীর রাজনৈতিক পরিচয়ে গুজরাত দাঙ্গার অধ্যায়টা রয়েই যাবে – সে তিনি যতই নিজেকে দেশের সেবক হিসেবে তুলে ধরুন না!


বিনিয়োগের দুয়ার খুলে বিশ্বকে ডাকলেন মোদী

শেখ আবদুল্লাহ,  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 2014-09-25 18:45:10.0 BdST Updated: 2014-09-25 19:31:23.0 BdST


মার্কিন সফরের আগে ভারতকে বিশ্বের শীর্ষ উৎপাদক দেশে পরিণত করার স্বপ্ন নিয়ে শুরু হলো নরেন্দ্র মোদীর ‘মেইক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি, বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদেরও এর সুযোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।






রিল্যায়েন্স চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি ও টাটা সনস এর চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রিসহ ভারতের শীর্ষ শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের পাশে নিয়ে মঙ্গলবার নয়া দিল্লিতে এই প্রচারাভিযানের উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদী।
বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও বহুজাতিক বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন মোদীর এ অনুষ্ঠানে।
বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ভারতের হাইকমিশন ও দূতাবাসের উদ্যোগে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকদের দাওয়াত দিয়ে এনে সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে মোদীর বক্তৃতা দেখানো হয়, জানানো হয় বিনিয়োগের আহ্বান।
ঢাকায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় রাজধানীর গুলশানে ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে। নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমেদ, প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান খান চৌধুরী, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাষ্ট্রিজের সহ-সভাপতি শাফকাত হায়দারসহ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
দিল্লির অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ‘মেইক ইন ইন্ডিয়া’র লোগো, মেইকইনইন্ডিয়া ডটকম নামের একটি ওয়েব সাইট এবং ভারতের সম্ভাবনাময় ২৫টি খাতের ওপর প্রকাশিত একটি সাময়িকির মোড়ক উন্মোচন করেন।
‘ম্যানুফ্যাকচারিং’ খাতে বিদেশি বিনিয়োগের অবারিত সুযোগ দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার এই ‘স্বপ্ন’ পূরণ করতে চান। এজন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর পাশাপাশি বিশ্বের সব দেশের উদ্যোক্তাদের ভারতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
মোদী বলেন, “আমি বিনিয়োগকারীদের এই বিশ্বাস দিতে চাই- আপনাদের টাকা নষ্ট হবে না।”
গত নির্বাচনে চমক দেখিয়ে ক্ষমতায় আসা এই বিজেপি নেতা বলেন, “গত দুই তিন বছরে যার সাথে কথা হয়েছে, সে-ই বলেছে দেশের বাইরে চলে যাবে। ব্যবসা পাল্টাতে হবে। আমি এর সাথে রাজনীতির কোনো যোগ দেখি না। কিন্তু এতে আমার পীড়া হতো। আমার দেশের লোক কেন অন্য দেশে চলে যাবে?
“মানুষ নিজের, দেশের, সরকারের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছিল।… ব্যবসায়ীদের যেমন কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি আছে, তেমনি সরকারেরও রেসপনসিবিলিটি আছে। সরকারের সবচেয়ে বড় কাজ মানুষকে ভরসা দেয়া, মানুষের মধ্যে বিশ্বাস সৃষ্টি করা। এতোদিন সবাই সবাইকে অবিশ্বাস করেছে। আমরা এটা পাল্টাতে চাই।”
মোদীর ভাষায়, সরকারে থেকে সংসদের চার দেয়ালের মধ্যে বসে কেবল আইন প্রণয়ন করলেই চলবে না, সংসদের বাইরে সাধারণ মানুষের মনও জাগাতে হবে।
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে ভারতের সম্ভাবনাগুলো তুলে ধরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ভারত একটি বিশাল সুযোগ। এখানে বিশাল বাজার রয়েছে।
“তবে যারা শুধু বাজারের কথা ভেবে আসবেন তাদের বলব- আপনার পণ্য কেনার মত ক্রয়ক্ষমতা ভারতের মানুষের আছে কি না তা আপনাকে ভাবতে হবে। আমরা দরিদ্রদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে চাই।”
এ বিষয়টিকে একটি ‘চক্র’ হিসাবে উল্লেখ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের কাজের ব্যবস্থা হলে আয় হবে, আয় হলে ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে, তাতে চাহিদা বাড়বে। সব মিলিয়ে বাড়বে উৎপাদন।
“ফলে দেশ এগিয়ে যাবে। এটাই হচ্ছে মেইক ইন ইন্ডিয়া”, বলেন মোদী।
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের অনুষ্ঠানে মোদীর বক্তৃতার সম্প্রচার শেষে হাই কমিশনার পঙ্কজ শরণ বলেন, “ভারত অগ্রগতির নতুন যে যাত্রা শুরু করেছে তাতে দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশকেই পাশে চায়। বাংলাদেশেরও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার অথবা এখানকার উদ্যোক্তারা চাইলে ভারতে বিনিয়োগ করতে পারেন।”
তিনি বলেন, বাংলাদেশ চাইলে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করতে পারে। বিশেষ করে জলবিদ্যুতে। এছাড়া বেসরকারি খাতেও বিনিয়োগের অনেক সুযোগ রয়েছে।
মোদী তার বক্তৃতায় বলেন, শুধু প্রণোদনায় কাজ হবে না। কাজের পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে। ব্যবসা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে কেউ লাভ চায় না। বিনিয়োগকারীরা প্রথমে চান নিরাপত্তা।
“বিনিয়োগের জন্য চাই থ্রি ডি। ডেমোক্রেসি, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড ও ডিমান্ড। আমি মনে করি, এগুলো দিতে পারলে বিশ্বকে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানাতে হবে না, শুধু ঠিকানা দিতে হবে। আমরা সেটা দিতে পারব আশা করি।”
এজন্য সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
আগামী দিনে ভারতের আরো বেশি দক্ষ জনবল দরকার উল্লেখ করে মোদী বলেন, “আমরা ম্যাপিং করছি- কোন খাতে কতো জনবলের চাহিদা আছে। সে অনুযায়ী জনগণকে দক্ষ করে তোলার উদ্যোগও নেয়া হচ্ছে। সরকার, অ্যাকাডেমিশিয়ান, উদ্যোক্তা ও চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে কোন সমন্বয় নেই। তাজমহল আগ্রায় আর গাইড বানানো হচ্ছে তামিলনাড়ুতে। সমন্বয়ের এই অভাব দূর করতে হবে। অ্যাকাডেমিশিয়ানদের ভাবতে হবে- কোথায় কোন কাজ করা হবে।”
মানব সম্পদ উন্নয়নে তার সরকার সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করবে বলে জানান মোদী।
তিনি বলেন, উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন করতে হলে দেশকে ‘ডিজিটাল ভারত’ হিসাবে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই।
“বিশ্ব এগিয়ে চলেছে, দেশের বেসরকারি খাতও এগিয়েছে। অথচ সরকারি খাত তথ্য-প্রযুক্তিতে এসব খাতের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না। ইফেক্টিভ গভর্নেন্সের সাথে ইজি গভর্নেন্স দরকার। এজন্য দরকার ডিজিটাল ব্যবস্থা।”
বাণিজ্যের সুখবর দেয়ার পাশাপাশি নিজের কূটনৈতিক দর্শন নিয়েও কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
“আমরা লুক ইস্ট পলিসিতে কাজ করছি। এটা চলবে। আবার লিংক ওয়েস্ট পলিসিও আমাদের আছে। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের অর্থনীতিকে নতুন প্ল্যাটফরমে দাঁিড় করাতে চাই। আমাদের হাইওয়ে দরকার। দরকার আই (ইনফরমেশন) ওয়ে। বন্দর থাকবে, তার সাথে থাকবে ওয়্যারহাউজ, কোল্ডস্টোরেজ, সড়ক যোগাযোগ, বিমানবন্দর।”
মোদী বলেন, ভারতীয় কোম্পানিগুলো কেবল দেশে ব্যবসা করলে হবে না, ভারতীয় পণ্য বিশ্ববাজারেও থাকতে হবে।
“এটা কোনো পলিটিক্যাল এজেন্ডা নয়। এটা আর্টিকেল অব ফেইথ।”
মোদী বলেন, ভারতের মোট জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশের বয়স এখন ৩৫ বছরের মধ্যে, যা একটি বড় শক্তির জায়গা।
অনুষ্ঠানস্থলে সবার বসার ব্যবস্থা না হওয়ায় অনেকে দাঁড়িয়ে মোদীর বক্তব্য শোনেন। এজন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা চেয়ে বলেন, “আমি ক্ষমা চাইছি, আপনাদের সকলের বসার ব্যবস্থা করতে পারিনি। এর কারণ হলো- আগে এ রকম সভা করার অভিজ্ঞতা আমার ছিল না। আপনাদের এই উপস্থিতি দেখে আমি বলতে পারি, আপনাদের আর আমার অতিরিক্ত কোনো ভরসা দেয়ার দরকার নেই।”
ভারতের শীর্ষ উদ্যোক্তারা অনুষ্ঠানে বলেন, ‘মেইক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি ভারতের প্রগতিকে এক নতুন দুয়ারে নিয়ে যাবে বলে তাদের বিশ্বাস।
তারা বলেন, উৎপাদন খাতের সম্প্রসারণ হলে কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি সামগ্রিক অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। তবে এজন্য আইন-কানুন হতে হবে সাধারণ, স্বচ্ছ ও দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য।
ঢাকার মতো চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতেও মোদীর বক্তৃতা সম্প্রচারের ব্যবস্থা করে ভারতের সহকারী হাই কমিশন কার্যালয়।
চট্টগ্রামের একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মোদীর বক্তৃতার পর সহকারী হাই কমিশনার সোমনাথ হালদার দিল্লি-মুম্বাই ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডোরসহ, সাতটি রাজ্যে বিভিন্ন অর্থনৈতিক জোনের সম্ভাবনা এবং বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অবহিত করেন।
বিএসআরএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আলী হুসেইন আকবারালী, বিজিএমইএর পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম চেম্বারের সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, পিএইচপির পরিচালক আলী হোসেন, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সিইও দেবাশীষ নন্দী, কেডিএস গ্রুপের নিতিন অরোরা, চট্টগ্রাম জুনিয়র চেম্বারসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক গ্রুপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহীর নাইস হোটেল ইন্টারন্যাশনালে আয়োজিত অনুষ্ঠানেও সহকারী হাই কমিশনার সন্দীপ মিত্র স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সামনে ভারতে বিনিয়োগের সম্ভাবনাগুলো তুলে ধরেন।


মোদির বার্তা- বিএনপির আশার কফিনে শেষ পেরেক
মোয়াজ্জেমুল হক ॥ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে কোন মত ও পথেই কুলিয়ে উঠতে পারছে না ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নেয়া বিএনপি। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। এ নির্বাচনের আগে ও পরে এবং হালনাগাদ পর্যন্ত বিএনপির সব হুঙ্কার, হুঁশিয়ারি সবই ধুলায় মিশে গেছে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কৌশলের কাছে। এ দেশের রাজনীতিতে বিদেশীদের নাক গলানো ও প্রভাবের একটি বিষয় বহুল আলোচিত। ভারতের নির্বাচনে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপি সরকারের ভরাডুবির পর মোদি সরকার ক্ষমতায় আসায় বিএনপি শিবিরে রীতিমতো উল্লাস সৃষ্টি হয়েছিল এই মনে করে যে, এবার আওয়ামী লীগ সরকারের বারোটা বেজে যাবে। অর্থাৎ, মোদি সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা পাবে বিএনপি ও তার নেতৃত্বাধীন জোট। কিন্তু সে আশা এখন গুড়েবালি। গত ১৯ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচএম মাহমুদ আলী ভারত সফরকালে মোদির সঙ্গে সাক্ষাত করেন। মোদি বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেয়ার পাশাপাশি সুনির্দিষ্টভাবে বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত এক সুতোয় গাঁথা। মোদি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশ বানায়া, উসকি লাড়কি দেশ বাঁচায়া।’ অর্থাৎ, বঙ্গবন্ধু দেশ গড়েছেন আর তাঁর কন্যা বাংলাদেশকে রক্ষা করেছেন। বর্তমানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রথম সরাসরি বৈঠক হয় নিউইয়র্কে। শেখ হাসিনা বৈঠককালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে স্থল সীমানা চুক্তি কার্যকর এবং তিস্তা চুক্তিসহ দুই দেশের অমীমাংসিত ইস্যুগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেয়ার আন্তরিক আহ্বান জানান। মোদির জবাব ছিল ‘ম্যায় রাস্তা নিকাল রাহাহু’ (আমি সমাধানের পথ খুঁজছি)। শুধু তাই নয়, শেখ হাসিনা নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি স্থল যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায়গুলো তুলে নিতে মোদি সরকারের সহযোগিতা চাইলে তাতেও তিনি ইতিবাচক সাড়া দেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর পর পর প্রদত্ত এ সব বক্তব্য ইতিবাচক তাৎপর্য বহন করে বলে মনে করছে। তাঁদের মতে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট দেশীয় রাজনৈতিক অঙ্গন সরকারবিরোধী আন্দোলন নিয়ে উত্তপ্ত করতে ব্যর্থ হয়ে বিদেশীদের বিশেষ করে পার্শ¦বর্তী দেশ ভারতের কাছ থেকে যে আশায় অপেক্ষা করছিল প্রধানমন্ত্রী মোদির এ ধরনের বক্তব্যের পর তাঁদের বহুল প্রতীক্ষার সেই আশার কফিনে শেষ পেরেকটিই মেরে দেয়া হয়েছে বলে মত ব্যক্ত করা হচ্ছে। বিএনপির ধারণা ছিল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপি সরকারের সঙ্গে আওয়ামী লীগের যে সম্পর্ক বিরাজিত ছিল সে সম্পর্কের উল্টো ফলাফল ঘটবে নরেন্দ্র মোদি সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে সব আশা-আকাক্সক্ষা মোদির বক্তব্যের পর রীতিমতো ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, বিএনপির সঙ্গে যে ২০ দলীয় জোটের ব্যানার রয়েছে তাতেও চলছে টানাপোড়েন। জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির দণ্ড রহিত হয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডে পরিণত হওয়ায় আদালতের রায়ের পর দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝেও সন্দেহের দানা বেঁধেছে ব্যাপক আস্থার সঙ্গে। এর আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে অর্থ যোগান দেয়ার ঘটনার খবর নিয়ে দুই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন কালো মেঘে ঢেকে যায়। ভারতের ক্ষমতাসীন বিজিপি এবং বিরোধী কংগ্রেস এ ঘটনার তদন্ত দাবির পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর কড়া সমালোচনায় লিপ্ত হয়। অভিযোগ উঠে, মমতার মদদেই বাংলাদেশের এমন ন্যক্কারজনক কা-ে অর্থের যোগান দিয়েছে সে দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শারদা। এ ঘটনা নিয়ে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে তদন্তও শুরু হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বোদ্ধাদের কাছে পরিষ্কার হয়েছে যে, বিএনপি ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নিয়ে সংসদ থেকে যেমন বিদায় পেয়েছেন, তেমনি বিদেশীদের মধ্যে শেষ আশা ভরসার স্থল হিসেবে বর্তমান ভারত সরকারের কাছ থেকেও কোন ধরনের সহযোগিতা পেতে ব্যর্থ হয়েছে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর পর পর দুটি বক্তব্য বিএনপি বা ২০ দলীয় জোটের জন্য উল্টো ‘ব্যাক ফ্লো’ হয়েছে বলেও মত ব্যক্ত করা হচ্ছে। এর ওপর বিএনপির জন্য মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়েছে- ২০ দলীয় জোট থেকে ছোট ছোট কয়েকটি দল বেরিয়ে গিয়ে ইতোমধ্যে নতুন জোট গঠন করেছে।
রাজনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধের মামলায় ধরা খেয়ে জামায়াত ও এর শীর্ষ নেতাদের কয়েকজন অভিযুক্ত হয়ে এক অনিশ্চিত অবস্থায় নিপতিত হয়েছে। সরকারবিরোধী আন্দোলনে সহিংস তৎপরতায় বিএনপির পক্ষে মাঠে ময়দানে ফাইটার হিসেবে কাজ করেছে জামায়াত-বিএনপির সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে ও পরে পুলিশসহ সাধারণ বহু মানুষের প্রাণ সংহার হয়েছে এদের হাতে। ইতোমধ্যেই বিএনপি ও জামায়াতের সম্পর্কে ফাটল সৃষ্টি হয়ে রাজনীতির চালচিত্র পাল্টে গেছে। জামায়াত চলছে অনেকটা একলা চল নীতিতে। আর বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিভিন্ন দুর্নীতির মামলায় আসামি হয়ে এখন গ্রেফতার আতঙ্কে পড়ে বিভিন্ন জনসভায় বলে বেড়াচ্ছেন ‘গ্রেফতারে ভয় পাই না। আমাকে বন্দী করার আগে নিজেদের পালানোর রাস্তা পরিষ্কার করুন।’ সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দুটি জনসভায় বিএনপি নেত্রী জামায়াতের সঙ্গে তাদের ফাটল ধরানো যাবে না বলে বক্তব্য রেখে নতুন করে আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও প্রদান করেছেন। এ ধরনের হুঁশিয়ারি এ পর্যন্ত বহু দফায় ব্যক্ত করার পর নিজ সমর্থিত দল ও জোটের নেতাকর্মীরা তাতে আর আশ্বস্ত হতে পারছেন না। এর ওপর আরেক বোমা ফাটিয়ে দিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। সম্প্রতি প্রকাশিত তাঁর একটি বইয়ে তিনি পরিষ্কার করে দিয়েছেন- বিএনপি চেয়ারপার্সনের পক্ষে আন্দোলনের নামে তাঁর সন্তানদের মামলা মোকদ্দমা ও কারাবরণ থেকে রক্ষার আকুতি নিয়ে।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন সূত্রে এও বলা হচ্ছে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণ করেছে সত্য। কিন্তু বিএনপির আন্দোলনে এ সরকার আগাম নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। তার জবাবও শেখ হাসিনা শনিবার নিউইয়র্কে সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। বলে দিয়েছেন, আগাম নির্বাচনের কোন সম্ভাবনা নেই, মধ্যবর্তী নির্বাচনও দেবেন না। সে আশাও গুড়েবালি।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিরোধ নিরসনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা দীর্ঘ সময় ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন সে আশায়ও ছেদ পড়েছে ড্যান মজেনার বক্তব্যে। রবিবার ঢাকায় ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বলে দিয়েছেন, ‘আমি মনে করি এটা একটা অভ্যন্তরীণ বিষয়, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো ও জনগণের মীমাংসা করা প্রয়োজন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, রাজনৈতিক সূত্রগুলো মনে করছে, যুক্তরাষ্ট্রও তাদের আগেকার অবস্থান এখন পাল্টাতে সচেষ্ট হচ্ছে।
সঙ্গত কারণে বলা হচ্ছে, বিএনপি এখন রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় কোন পথে এগোবে এবং এতে কিছুটা হলেও সফলতা আনার ক্ষেত্রে সচেষ্ট হবে, না ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার মতো ভুল পথে পা দেবে-তাই এখন দেখার বিষয়।

No comments: