Wednesday, September 17, 2014

সংগ্রাম চলছে ।। গোটা বাংলার ছাত্র সমাজ এক হও Strongly condemn the unprecedented brutal attack at midnight by police and outside trinamuli goondas against the students in Jadavpur university campus. Palash Biswas

সংগ্রাম চলছে ।।
গোটা বাংলার ছাত্র সমাজ এক হও
Strongly condemn the unprecedented brutal attack at midnight by police and outside trinamuli goondas against the students in Jadavpur university campus.
Palash Biswas
  1. आधी रात को लाइट बंद करके पुलिस ने छात्रों पर लाठी ...

  2. Rashtriya Khabar-10 घंटे पहले
  3. कोलकाता: यादवपुर विश्वविद्यालय की एक छात्रा के साथ बदसलूकी के मामले को लेकर प्रदर्शन कर रहे छात्रों पर पुलिस ने रात के अंधेरे में बल प्रयोग किया। इस दौरान ३० से अधिक प्रदर्शंनकारी छात्र घायल हो गये। घायल छात्रों के अस्पताल ...
  4. विश्वभारती विवि कांड:पीड़िता ने एसडीओ से की ...

  5. प्रभात खबर-03-09-2014
  6. इधर, घटना को लेकर छात्रों ने विश्वविद्यालय परिसर में सुरक्षा और न्याय की मांग को लेकर बुधवार को भी विरोध ... कोलकाता:राज्य के शिक्षा मंत्री पार्थ चटर्जी ने यादवपुर यूनिवर्सिटी की घटना पर अपनी प्रतिक्रिया देते हुए कहा कि ...
ইন্টারন্যাশনাল লাইভ: ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে আন্দোলনে উত্তাল ক্যাম্পাস।
বুধবার দুপুরে প্রতীকি অবরোধ পালন করেছেন এসএফআই (স্টুডেন্টস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া) সমর্থকরা। তাদের অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে তৃণমূলের বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের ওপর যে তাণ্ডব চালিয়েছে তা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ধামাচাপা দিতেই এই কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ বাম ছাত্র সংগঠনের। তাঁদের পক্ষ থেকে ভিসি অভিজিত্‍ চক্রবর্তীর অবিলম্বে অপসারণ দাবি করা হয়েছে।
বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের লাঠিচার্জের সময় হঠাৎ বিদ্যুত চলে যায়। ছাত্রদের অভিযোগ, রাতে সুপরিকল্পিত ভাবে লাইট নিভিয়ে দিয়ে হামলা চালায় পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার দুপুরে। অরবিন্দ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। কর্মসমিতির বৈঠক চলাকালীনই অরবিন্দ ভবনের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, যাদবপুর শ্লীলতাহানি কাণ্ডে তদন্ত কমিটি নিরপেক্ষ নয়।
নজিরবিহীন ঘটনার স্বাক্ষী রইল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ঘেরাওমুক্ত হতে ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকলেন ভিসি। ঘেরাও তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে আহত হন ৩৩ জন ছাত্র। সূত্র: এনডিটিভি

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের তাণ্ডবের প্রতিবাদে ছাত্রদের ধিক্কার মিছিল

রাজর্ষি দত্তগুপ্ত, সমিত সেনগুপ্ত ও সত্যজিৎ বৈদ্য, এবিপি আনন্দ  
Wednesday, 17 September 2014 07:11 PM
মধ্যরাতে পুলিশ দিয়ে ক্যাম্পাসে তাণ্ডবের প্রতিবাদে শহরে মহামিছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের। দাবি একটাই, অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে উপাচার্যকে।
বুধবার বিকেল চারটে।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে জড়ো হন ছাত্রছাত্রীরা।
এরপর শুরু হয় ধিক্কার মিছিল। যাদবপুর থানার সামনে দিয়ে, ঢাকুরিয়া ব্রিজ হয়ে গোলপার্কে পৌঁছয় মিছিল। পা মেলান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
ক্যাম্পাসে পুলিশি তাণ্ডবের তীব্র নিন্দা করে মিছিলে যোগ দেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র, শিক্ষাবিদ মীরাতুন নাহার, শিল্পী সমীর আইচ, অভিনেতা কৌশিক সেনের মতো ব্যক্তিত্বরা।
উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন জারি থাকবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বয়কটেরও ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পর গোলপার্ক থেকে একই পথ ধরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনের সামনে পৌঁছে শেষ হয় মিছিল।


ক্যাম্পাসে যৌন হেনস্হার প্রতিবাদে যাদবপুরে উপাচার্য ঘেরাও
পড়ুয়াদের ওপর বহিরাগতদের হামলার অভিযোগ, এল পুলিস

ক্যাম্পাসে যৌন হেনস্হার প্রতিবাদে এবং তদম্ত কমিটির দুই সদস্যকে অপসারণের দাবিতে উপাচার্য-সহ এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্যদের ঘেরাও করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা৷‌ অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধেয় ঘেরাও তোলার জন্য পড়ুয়াদের ওপর হামলা চালায় একদল বহিরাগত দুষ্কৃতী৷‌ জখম হন দুই পড়ুয়া৷‌ হামলার অভিযোগ তৃণমূল পরিচালিত কর্মী সংগঠনের বিরুদ্ধে৷‌ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে সংগঠনটি৷‌ পরিস্হিতি সামলাতে আসে পুলিসবাহিনী৷‌ গভীর রাত পর্যম্ত ঘেরাও চলে৷‌ পড়ুয়াদের বক্তব্য, দাবি না মানা পর্যম্ত ঘেরাও চলবে৷‌ ক্যাম্পাসে যৌন হেনস্হার ঘটনা বাড়ছে৷‌ এর প্রতিবাদে এবং প্রতিকারের দাবিতে গত বুধবার থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল পড়ুয়া অবস্হান চালাচ্ছিলেন৷‌ যৌন হেনস্হার ঘটনায় তদম্ত কমিটি গঠিত হয়৷‌ পড়ুয়াদের অভিযোগ, তদম্ত কমিটির দু’জনকে সরাতে হবে৷‌ এদিন অরবিন্দ ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কমিটির বৈঠক ছিল৷‌ সেখানে যৌন হেনস্হার বিষয়ে গঠিত তদম্ত কমিটির সদস্যরাও যোগ দেন৷‌ বৈঠক চলাকালীন পড়ুয়ারা উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর কাছে স্মারকলিপি দেন৷‌ উপাচার্য তাঁদের দাবির সঙ্গে সহমত হননি৷‌ এর পর পড়ুয়ারা বিকেলেই উপাচার্য, ই সি এবং তদম্ত কমিটির সদস্যদের ঘেরাও শুরু করেন৷‌ এঁদের মধ্যে কয়েকজন অধ্যাপিকা, মহিলা কর্মচারীও রয়েছেন৷‌ পড়ুয়াদের অনুরোধ করা হয় ঘেরাও তুলতে৷‌ পড়ুয়ারা পাল্টা জানান, দাবি না মানা পর্যম্ত ঘেরাও চলবে৷‌ সন্ধের পর উত্তেজনা বাড়তে থাকে৷‌ সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ অশিক্ষক কর্মীদের বাড়ি যাওয়ার ব্যবস্হা করতে থাকেন পড়ুয়ারা৷‌ অভিযোগ, সেই সময় একদল কর্মচারী বহিরাগতদের নিয়ে বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের জোর করে সরাতে যায়৷‌ ধস্তাধস্তি হয়৷‌ কয়েকজন পড়ুয়া জখম হন৷‌ পরিস্হিতি সামলাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুলিসকে বিষয়টি জানান, ঘেরাওমুক্ত করতে অনুরোধ করেন৷‌ বিশাল পুলিসবাহিনী আসে৷‌ রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ পুলিস বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢোকে৷‌ প্রথমে পড়ুয়া এবং পরে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেন দুই পুলিস আধিকারিক৷‌ পড়ুয়ারা পুলিসকে জানান, দাবি না মেটা পর্যম্ত তাঁরা শাম্তিপূর্ণ অবস্হান চালিয়ে যাবেন৷‌ গভীর রাত পর্যম্ত ঘেরাও চলে৷‌ এ প্রসঙ্গে উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, পড়ুয়ারা আমাদের অন্যায়ভাবে ঘেরাও করে রেখেছে৷‌ ছাত্রদের জানিয়েছি, তাদের দাবি নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷‌ প্রয়োজনে ফের আলোচনা করব৷‌ কিন্তু ওরা শোনেনি৷‌ অধ্যাপিকা, মহিলা ই সি সদস্যদের আটকে রেখেছে৷‌ বলেন, অনেকেই অসুস্হ হয়ে পড়ছেন৷‌ তাই ঘেরাওমুক্ত হতে আমিই পুলিস-প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি৷‌ উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের পর পর ফের যাদবপুর বিশ্বিদ্যালয়ে পুলিস ঢুকল৷‌ এ প্রসঙ্গে সি পি আই (এম এল) লিবারেশন রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ জানান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতী, গুন্ডারা ঢুকে ক্যাম্পাসের মধ্যে অত্যাচার চালায়৷‌ ছাত্রছাত্রীদের গায়ে হাত দেয়৷‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকেই এর দায় নিতে হবে৷‌ অবিলম্বে তৃণমূলি গুন্ডা, দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি৷‌

অন্ধকারে অবাধ মার

উপাচার্যের ডাকে এসে পুলিশি তাণ্ডব যাদবপুরে

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:৫৪:০৫
e e e print
কোলাপসিবল গেটে তালা দিয়ে ভিতরে মোতায়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা। উপাচার্য রয়েছেন আরও ভিতরে, মিটিং রুমে। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের থেকে অনেক দূরে। কিন্তু তা সত্ত্বেও হঠাৎই বিপন্ন বোধ করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী। সুতরাং ডেকে পাঠালেন পুলিশকে। উপাচার্যের ‘প্রাণ বাঁচাতে’ মঙ্গলবার গভীর রাতে ছাত্রছাত্রীদের বেধড়ক মারধর করে হটিয়ে দিল পুলিশবাহিনী। উপাচার্য বললেন, “আমি পুলিশের কাছে কৃতজ্ঞ।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে নিগ্রহের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি এবং অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুর থেকে উপাচার্যের দফতর অরবিন্দ ভবনের বাইরে অবস্থান শুরু করেন ছাত্রছাত্রীরা। রাত বাড়তে সেই ধর্না ঘেরাওয়ের আকার নেয়। রাত আটটা নাগাদ পুলিশ তলব করেন উপাচার্য। যাদবপুর থানা থেকে পুলিশ এলেও গোড়ায় তারা হস্তক্ষেপ করেনি। রাত পৌনে ৯টা নাগাদ ঘেরাও তুলে নেওয়ার জন্য উপাচার্য ১৫ মিনিট সময় দেন। জানিয়ে দেন, অন্যথায় ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন। ইতিমধ্যে ঘেরাওকারীর সংখ্যা বাড়ে। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাও যোগ দেন। ব্যর্থ হয় কিছু শিক্ষকের মধ্যস্থতার চেষ্টা।
রাত দু’টো নাগাদ নিজের জীবন বিপন্ন দাবি করে প্রশাসনের উপর মহলে বার্তা পাঠান উপাচার্য। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বুধবার বলেন, “মঙ্গলবার রাতেই উপাচার্যের সঙ্গে কথা হয়। উনি জানান, খুন হয়ে যেতে পারতেন ছাত্রছাত্রীদের হাতে।” কিন্তু কেন উপাচার্যের মনে এমন আশঙ্কার জন্ম হল, তার কোনও ব্যাখ্যা এ দিন মেলেনি। তবে সেই বার্তা পেয়েই পুলিশ আসরে নেমে পড়ে। আচমকা আলো নিভে যায় প্রশাসনিক ভবনের। ছাত্রছাত্রীদের মেরেধরে সরিয়ে উপাচার্যকে ‘উদ্ধার’ করে পুলিশ।
বুধবার সকালে বিধাননগরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন উপাচার্য। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বলেন, “রাত দু’টোর সময়ে পুলিশ যখন আমাকে মুক্ত করতে যায়, তখন ছাত্রছাত্রীদের যে উন্মত্ত তাণ্ডব দেখেছি, তা ভুলব না। পুলিশ ওদের মারেনি। ছাত্ররাই পুলিশকে মেরেছে। আমার নিরাপত্তারক্ষীকেও মেরে ওরা আমাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও করে।”
উপাচার্য জানান, বাইরে থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা এসে আন্দোলন জোরদার করবে বলে তাঁর কাছে খবর ছিল। তিনি বলেন, “আন্দোলনকারীরা আমার চামড়া চায় বলে স্লোগান দিচ্ছিল। একটা সময়ের পরে আমরা অসুস্থ বোধ করতে শুরু করি। তখন বাধ্য হয়ে পুলিশকে বলি আমাদের মুক্ত করতে। কোনও সুস্থ দেশে শিক্ষকদের উপরে বর্বরোচিত আক্রমণ হবে ভাবতে পারিনি।”
তৃণমূল আমলে যাদবপুরের তুলনায় বড় মাপের ঘটনা এ রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে বহু বার ঘটেছে। রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজে অধ্যক্ষকে মারধর, ভাঙড় কলেজে শিক্ষিকাকে জগ ছুড়ে মারা, জয়পুরিয়া কলেজের অধ্যক্ষের উপরে চড়াও হওয়া প্রায় সব ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় হয় তৃণমূল নেতা, না হয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। আর সব ক্ষেত্রে কখনও ‘ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের ভুল’, কখনও ‘দু’একটি খারাপ ঘটনা’ বলে অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তা হলে যাদবপুরে লোহার গেটের ও-পারে বন্ধ দরজার আড়ালে বসে থাকা উপাচার্যকে ছাত্রছাত্রীদের হাত থেকে বাঁচাতে পুলিশকে মারমুখী হতে হল কেন? পার্থবাবুর জবাব, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেউ যদি অস্ত্র নিয়ে দাঙ্গাবাজি করে, আর কর্তৃপক্ষ জানান যে, তাঁরা খুন হয়ে যেতে পারেন, তা হলে কি প্রশাসন হস্তক্ষেপ করবে না? ছাত্রছাত্রীদের অনেক বার আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য বোঝানো হয়েছে। কিন্তু তারা শোনেনি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে তো রাজনীতির আখড়া করতে দেওয়া যায় না!”
কিন্তু আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা কি সত্যিই সশস্ত্র ছিল? পুলিশ কিন্তু এ রকম কোনও অভিযোগ করেনি। উল্টে জখম হয়েছেন ১২ জন ছাত্র। সঙ্গী পড়ুয়ারাই তাঁদের পাশের কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হলেও দু’জনকে ভর্তি করতে হয়। আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের উপরে নির্বিচারে লাঠি চালিয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে কলকাতার যুগ্ম কমিশনার (প্রশাসন) মেহবুব রহমান জানিয়েছেন, পুলিশের সঙ্গে লাঠি ছিলই না। তবে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, ছাত্রছাত্রীদের কারও হাত ভেঙেছে, কারও পায়ে আঘাত। কারও চোখের তলায় কালসিটে, গলায় গুরুতর চোট। ঠোঁট ফেটে রক্ত বেরিয়েছে অনেকের।
যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সদর) রাজীব মিশ্রের অবশ্য দাবি, উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গিয়েও ১১ জন পুলিশ জখম হয়েছেন। তিনি বলেন, “উপাচার্য আমাদের ফোনে জানান, তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। তাঁর প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা রয়েছে। উদ্ধারের জন্য তিনি আমাদের কাছে আর্জি জানান।” রাত আটটা নাগাদ ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনী পৌঁছয়। রাত দু’টো পর্যন্ত পুলিশ সকলকে বুঝিয়ে আন্দোলন তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু সেই চেষ্টায় কোনও সাড়া না-মেলাতেই পুলিশকে বলপ্রয়োগ করতে হয় বলে দাবি ওই কর্তার।
আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য, তাঁরা হাততালি দিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন। রাত দু’টো নাগাদ পুলিশের বিশাল বাহিনী আসে। সঙ্গে বেশ কিছু বহিরাগত। তাদের অনেকেই তৃণমূল কর্মী বলে আন্দোলনকারীদের দাবি। পুলিশের অবশ্য বক্তব্য, বহিরাগত কেউ তাদের সঙ্গে ক্যাম্পাসে ঢোকেনি। তবে উর্দিধারী বাহিনীর সঙ্গে সাদা পোশাকের পুলিশও ছিল। যাদের বেশির ভাগই গেঞ্জি পরা।
ছাত্রদের অভিযোগ, উর্দিধারী আর গেঞ্জি-পুলিশ মিলে তাদের সরিয়ে দিতে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। সেই সময় আচমকা প্রশাসনিক ভবনের আলো নিভে যায়। অন্ধকারে শুরু হয় মারধর। সঙ্গে এলোপাথাড়ি কিল-চড়-ঘুষি। ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগও উঠেছে। উপাচার্য, যাদবপুর থানার ওসি এবং পুলিশের এক এসিপি-র বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এক দল ছাত্রী। পুলিশি তাণ্ডবের রেশ কিছুটা কাটতে মঙ্গলবার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল ছাত্রছাত্রী যাদবপুর থানার মোড়ে পথ অবরোধ করেন। মারধরের মধ্যেই উপাচার্য, রেজিস্ট্রার-সহ অন্য কর্তা, আধিকারিক, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিরাপদে বার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
আলো নেভাল কে? এই প্রশ্নের উত্তরে উপাচার্য জানিয়েছে, ছাত্রেরাই আলো ভেঙে দিয়েছেন। ছাত্রদের বক্তব্য, প্রশাসনিক ভবনের আলোর সুইচ তো বন্ধ কোলাপসিবল গেটের ভিতরে। পরিকল্পিত ভাবে আলো নিভিয়েই পুলিশ মারধর শুরু করে। বুধবার এক ছাত্রী বলেন, “পুলিশ আসছে শুনে মেয়েরা ব্যারিকেড করে দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎই ওরা ধাক্কা মেরে আমাদের ফেলে দেয়। এলোপাথাড়ি মারতে থাকে, শ্লীলতাহানি করে, জামাকাপড় ছিঁড়ে দেয়।” যাঁরা মাটিতে পড়ে যান, তাঁদের উপর দিয়েই চলে দৌড়োদৌড়ি, মারামারি। চুলের মুঠি ধরে এক ছাত্রীকে পুলিশি ভ্যানে উঠিয়ে লালবাজারে আনা হয়। পরে বাঙুর হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে তাঁকে বসিয়ে রাখা হয়  যাদবপুর থানায়। গ্রেফতার করা হয় ৩৬ জন ছাত্রকে। কারও কারও বিরুদ্ধে জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করার চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ। বুধবার দুপুরে মুক্ত হন গ্রেফতার  হওয়া পড়ুয়ারা।
পুলিশি নিগ্রহের প্রতিবাদে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে বুধবার মিছিল করেন যাদবপুরের অনেক ছাত্রছাত্রী। শিক্ষক-শিক্ষিকা-সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ সামিল হন সেই মিছিলে। এ দিন সন্ধ্যায় আচার্য-রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন যাদবপুরের শিক্ষক সংগঠন ‘জুটা’র এক প্রতিনিধি দল। জুটা-র বক্তব্য, এই ঘটনার পরে অভিজিৎবাবুর আর উপাচার্য পদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই। উপাচার্য অবশ্য জানিয়েছেন, পদত্যাগের প্রশ্নই ওঠে না। যদিও এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় কাউকেই পাশে পাননি তিনি। পুলিশ ডেকে ঘেরাও মুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত যে একেবারেই উপাচার্যের নিজস্ব, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যাদবপুরের এগ্জিকিউটিভ কাউন্সিলের (ইসি) অনেক সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়েরও কোনও কোনও কর্তা। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্ট কাল ক্লাস বয়কটের ডাক দিয়েছেন যাদবপুরের ছাত্রছাত্রীরা। আজ, বৃহস্পতিবার ছাত্র ধর্মঘট ডেকেছে এসএফআই।
পাশাপাশি, গত ২৮ অগস্ট এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ থেকে শুরু করে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত যা ঘটেছে, সে সম্পর্কে উপাচার্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন মন্ত্রী।
ছাত্রছাত্রীদের হাতে কর্তৃপক্ষের ঘেরাও হওয়া এ রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে, বিশেষত যাদবপুরে মোটেই নতুন নয়। গত বছরই ৪৯ ঘণ্টা ঘেরাও করা হয়েছিল উপাচার্য-রেজিস্ট্রারকে। ২০০৭-এ ঘেরাও চলে ৫২ ঘণ্টা। কিন্তু কখনওই ঘেরাওমুক্ত হতে পুলিশি সাহায্য দরকার হয়নি।
এ বার অন্য পথে হাঁটলেন উপাচার্য।



ইচ্ছে ডানা via Saurav Bera
There is a mistake in the video...the RAF arrived at 2 AM, not 1 AM. ----- Two correspondents from...
YOUTUBE.COM
LikeLike ·  · Share

Why?

The Economic Times
India still does not feature among the Top 200 world universities in the new QS rankings. Just like last year, the top-placed Indian institution is 222nd in the world.
Read more at: http://ow.ly/BxqvC
India still does not feature among the Top 200 world universities in the new QS rankings. Just like last year, the top-placed Indian institution is 222nd in the world.

Read more at: http://ow.ly/BxqvC
LikeLike ·  · Share · 68556217
Because the campus has become free hunting zone of power politics and power muscle ramp
in free knowledge
Economy devoid of quest of
knowledge whatsoever
Devoid of the peaceful environment of study,higher study and Research
business
business
nad only Business
no unversity
Spared
not even
Jadavpur
Presidency
Calcutta
JNU Jamia DU
IIT IIM
The Future of
India aborted in
the womb itself
Resist the bloody
knowledge economy
promoted by Hegemonial Illuminati Global!

Tintin Banerjee shared Students' Federation of India - West Bengal's status update.
Students' Federation of India - West Bengal's photo.
Students' Federation of India - West Bengal's photo.
‪#‎JadavpurUpdate‬, এবার এসে ওরা সরাসরি 'বিষ' দিয়ে মারার কথাও বলছে। কাল মিছিল উত্তর দেবে ওদের। রাজ্যের সব ক্যাম্পাস ছাত্রদের, ওটা গুন্ডাদের বৈঠকখানা নয়। নিজের চেয়ার ছাড়তে হবে উপাচার্যকে, হুমকি দিয়ে দমানো যাবে না।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৫ সালে, কিন্তু তার সূচনা আরও পঞ্চাশ বছর আগে। ভারতীয় যুবসমাজকে ভারতীয় তত্ত্বাবধানে দেশের হিতার্থে উচ্চশিক্ষার (বিশেষত প্রযুক্তিশিক্ষার) সুযোগ দিতে ১৯০৫ সালে স্থাপিত হয় জাতীয় শিক্ষা পর্ষদ। উদ্যোক্তাদের মধ্যে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ, অরবিন্দ ঘোষ প্রমুখ, মুখ্য কাণ্ডারী ছিলেন সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। ব্রিটিশদের বিরাগভাজন এই প্রতিষ্ঠানটি স্বাধীনতার পর রূপান্তরিত হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রতিষ্ঠার মুহূর্তে নবীন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাল ধরেছিলেন প্রথম উপাচার্য ত্রিগুণা সেন।
প্রযুক্তি-বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে যাত্রা শুরু করে যাদবপুরে ক্রমশ গড়ে ওঠে সমতুল্য দুটি কলা ও বিজ্ঞান শাখা। আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সব বিচারেই ভারতের প্রথম দশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বলে গণ্য হয়; কোনও-কোনও বিচারে তার স্থান আরও উচ্চে। আমরা অবিচ্ছিন্নভাবে জাতীয় মূল্যায়ন ও অনুমোদন পর্ষদের সর্বোচ্চ মূল্যায়নপ্রাপ্ত, এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-নির্দিষ্ট প্রথম ‘সম্ভাবনাময় বিশ্ববিদ্যালয়’গুলির একটি। ছাত্র ও শিক্ষক-বিনিময়, এবং যুগ্ম পঠনপাঠন ও গবেষণার উদ্যোগে, বহু দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের আদানপ্রদান অব্যাহত।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি শাখার অধীনে মোট ৩৭টি বিভাগ আছে। আছে আনুমানিক ৮৫০ শিক্ষক ও ১১,০০০ ছাত্রছাত্রী। প্রধান-প্রধান পাঠ্যক্রমের বাইরে আছে আরও অনেক স্বল্পমেয়াদি পঠনসূচী ও বৃহত্তর সামাজিক উদ্যোগ। এছাড়া খুব সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আন্তর্বিষয়ক পঠনপাঠন ও গবেষণার জন্য একটি আলাদা শাখা, যার অন্তর্ভুক্ত হবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ গর্ব, একুশটি আন্তর্বিষয়ক পাঠ-প্রাঙ্গন (Interdisciplinary Schools)। তার একটি হল বিচিত্রা প্রকল্পের কার্যকেন্দ্র ‘স্কুল অব কালচারাল টেক্সটস অ্যাণ্ড রেকর্ডস’। বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও আছে ৪১টি স্বতন্ত্র পাঠকেন্দ্র (Centres of Study)
বিশদ তথ্যের জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট দেখুন: www.jaduniv.edu.in

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হিটলারি কায়দায় পুলিশি হামলা, আলো নিভিয়ে শ্লীলতাহানি

Posted by: Ananya Pratim
Updated: Wednesday, September 17, 2014, 16:51 [IST]
কলকাতা, ১৭ সেপ্টেম্বর: হিটলারের জার্মানি বা মুসোলিনির ইতালিতে এমনটা আকছার হত। এ বার তেমনই ঘটনা ঘটল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গে। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের ওপর গভীর রাতে ঝাঁপিয়ে পড়ল পুলিশ। সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডাবাহিনী। অভিযোগ, নির্বিচারে লাঠি চালিয়ে, ঘুষি মেরে, ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করে সেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ভেঙে দেওয়া হল। ঘটনার ঘনঘটায় এখন উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে কয়েকজন ছাত্র তাদেরই এক সহপাঠিনীর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ উঠেছিল। অস্থায়ী উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী তার তদন্তে একটি কমিটি গড়েন। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা অভিযোগ করেন, ওই কমিটি পক্ষপাতদুষ্ট। তারা একপেশে তদন্ত করে দোষীদের আড়াল করতে চাইছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যালয় অরবিন্দ ভবনের সামনে শুরু হয় অবস্থান বিক্ষোভ। গত কয়েকদিন ধরে চলছিল এই লাগাতার অবস্থান। এর জেরে তপ্ত হয়ে উঠেছিল ক্যাম্পাস।
পড়ুয়াদের অভিযোগ, উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার গতকাল বিকেলে এসে হুমকি দেন, অবিলম্বে বিক্ষোভ প্রত্যাহার না করলে 'দেখে নেওয়া' হবে। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের আন্দোলন চালিয়ে যান।
এর পরই রাত দু'টো নাগাদ অরবিন্দ ভবনে আসে বিরাট পুলিশবাহিনী। সঙ্গে সাদা পোশাকের কিছু লোক। এরা যাদবপুর-বাঘা যতীন অঞ্চলের তৃণমূলের গুন্ডা বলেই দাবি করেছেন ছাত্রছাত্রীরা। তারা জিন্সের প্যান্টের ওপর গেঞ্জি পরেছিল। পায়ে ছিল হাওয়াই চটি। হাতে মোটা লোহার বালা। প্রথমে শুরু হয় গালিগালাজ। তার পর সব আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। অন্ধকারে কয়েকজন ছাত্রীকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় থামের আড়ালে। সেখানে যথেচ্ছভাবে তাঁদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। ছাত্রীদের আর্ত চিৎকার শুনে ছাত্ররা যখন তাঁদের বাঁচাতে যান, তখন শুরু হয় পুলিশের মার। এক-একজন ছাত্রকে চার-পাঁচজন পুলিশ ঘিরে ধরে। পেটে, মুখে লাথি মারা হয়। লাঠির ঘা পড়ে পিঠে, মাথায়। ঝরঝর করে রক্ত পড়তে থাকে। পুলিশ-গুন্ডাদের সম্মিলিত হামলায় জখম হয়েছেন বহু ছাত্রছাত্রী। এদের মধ্যে দু'জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশের সঙ্গে সাদা পোশাকে এসেছিল শাসক দলের গুন্ডারা, বিস্ফোরক অভিযোগ পড়ুয়াদের

পড়ুয়াদের অভিযোগ, ছাত্রীদেরও নির্বিচারে পিটিয়েছে পুলিশ। সঙ্গে কোনও মহিলা পুলিশকর্মী না থাকলেও ছাত্রীদের টেনে-হিঁচড়ে ভ্যানে তোলে পুরুষ পুলিশকর্মীরাই, যা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশিকার বিরুদ্ধে। রাতেই ৩৭ জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়ে থানার লক-আপে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
রাতে এই হামলার খবর পেয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা ছুটে যান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। শাসক দলের গুন্ডারা সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের সামনেই তাঁদের নিগ্রহ করা হয়।
বুধবার সকাল থেকেই ফের বিক্ষোভ শুরু করেছেন পড়ুয়ারা। তাঁরা উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করেছেন। উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। ছাত্রদের পাশাপাশি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেছে জুটা বা যাদবপুর ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন-ও। এ দিন সকালে যাদবপুর থানার সামনে রাজা সুবোধ মল্লিক রোডে অবরোধে বসেন ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা। পুলিশের বড়কর্তারা এসে ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। তবে উপাচার্য না সরা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বয়কট চলবে বলে জানিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। পুলিশি নিগ্রহের প্রতিবাদে আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাজ্য জুড়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এসএফআই।
বুধবার বিকেলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গোলপার্ক পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করেন ছাত্রছাত্রীরা। মিছিলে পা মেলান অসীম চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক সেন, সমীর আইচ প্রমুখ বিশিষ্টজন।
অভিযোগ উঠেছে, উপাচার্যই পুলিশ ডেকেছেন ক্যাম্পাসে। এর নিন্দায় সরব হয়েছে শিক্ষা মহল। বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস সবাই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে।
রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, "শুনলাম, মেয়েদের জামাকাপড় ছিঁড়ে দিয়েছে পুলিশ। তা যে পুলিশকর্মীরা এ সব করল, তাদেরও তো ঘরে মেয়ে আছে, বোন আছে। এই লজ্জা ওরা কোথায় রাখবে। এখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যিনি উপাচার্য আছেন, তিনি ওই পদে বসার অযোগ্য। উপাচার্য নয়, উনি তৃণমূলের মুখপাত্র হিসাবে কাজ করছেন।"
আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ বলেন, "এখনকার উপাচার্য শেষ কবে ক্লাস নিয়েছেন, জানি না। রাতের অন্ধকারে পুলিশ ঢুকে মেয়েদের সঙ্গে অসভ্যতা করছে, এটা কোনও ভদ্র সমাজে অভাবনীয় ঘটনা।"
কবি শঙ্খ ঘোষ পুলিশের হামলা নিয়ে বলেছেন, "লজ্জায় আর ঘৃণায় আমার মন ভারাক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। এ-ও কি সম্ভব?"
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী তথা সমাজকর্মী শাশ্বতী ঘোষ বলেন, "নন্দীগ্রামে পুলিশের সঙ্গে ছিল গুন্ডারা। এখানেও তাই। শাসক বদলালেও বদলায়নি দণ্ডদানের পদ্ধতি।"
Related Articles

কলকাতা: শ্লীলতাহানির ঘটনায় জেরবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল। মঙ্গলবার দুপুরে অরবিন্দ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। কর্মসমিতির এক বৈঠক চলাকালীনই অরবিন্দ ভবনের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, যাদবপুর শ্লীলতাহানি কাণ্ডে তদন্ত কমিটি নিরপেক্ষ নয়। সন্ধ্যায় উপাচার্যসহ আধিকারিকরা বের হতে গেলে তাঁদের ঘেরাও করেন ছাত্রছাত্রীরা। পাশাপাশি ছাত্রী নিগ্রহের তদন্তের দায়িত্বে থাকা কমিটির সদস্যদেরও ঘেরাও করা হয়। শুধু তাই নয়, যাদবপুর বিশ্বদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর ইস্তফার দাবি জানিয়েও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা।
এদিন সন্ধ্যা থেকেই বিক্ষোভ চলছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনার তদন্তে অসন্তুষ্ট ছাত্রছাত্রীদের দাবি, তদন্ত কমিটিতে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও একজন বিশেষজ্ঞকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কিন্তু রাত যত গড়ায় বিক্ষোভ তত ব্যাপক আকার ধারণ করে। এরমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কর্মীর সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের ধস্তাধস্তিরও ঘটনা ঘটে। কর্মচারীদের অভিযোগ, কোনও ঘটনার সঙ্গে যুক্ত না থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘক্ষণ তাঁদের আটকে রাখা হয়। বার বার বলা সত্ত্বেও তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার আর্জি শোনা হয়নি বলেও অভিযোগ। ছাত্রছাত্রীদের পাল্টা অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা ধাক্কা দিয়ে, তাঁদের মাড়িয়ে চলে যান।
তাঁদের দাবি, বিক্ষোভ ঠেকাতে বহিরাগতদের ঢোকানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। অন্যদিকে, ঘেরাও মুক্ত হতে কলেজ চত্বরে পুলিশ ডাকেন উপাচার্য এবং রাত দুটো নাগাদ ঘেরাও মুক্ত হন উপাচার্য। রাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে ও বাইরে মোতায়েন করা হয় বিরাট পুলিস বাহিনী। ঘটনাস্থলে জয়েন্ট সিপি ওয়ান এবং ডিসি ইএসডি-কে মোতায়েন করা হয়। এরপর যে অভিযোগ উঠে আসে তা রীতিমতো অমানবিক। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, তাদের ওপর পুলিশ নির্মমভাবে হামলা চালিয়েছে। এমনকি পুলিশের পোশাকবিহীন কিছু লোকজনও ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলা করে বলে অভিযোগ। তাদের কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে তারা কোনও পরিচয়পত্রও দেখাতে পারেননি বলে দাবি করে ছাত্রছাত্রীরা।
আরও অভিযোগ ওঠে, মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে অরবিন্দ ভবনের সামনের আলো নিভিয়ে দিয়ে লাঠি চালাতে শুরু করে পুলিশ। ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩৩জন ছাত্রছাত্রী। তাদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনায় ৩৬জন ছাত্রছাত্রীকে আটক করে পুলিশ। রাতেই ওই ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারের লকআপে। আটক হওয়া ছাত্রছাত্রীদের নিঃশর্ত মুক্তির জন্য বুধবার সকাল থেকে যাদবপুর থানা ঘেরাও করে রাখে ছাত্রছাত্রীরা।
অবশ্য পরে লালবাজারের লকআপ থেকে তাদের ব্যক্তিগত জামিনে ছেড়ে দেওয়া হলে অবরোধ তুলে নেয় ছাত্রছাত্রীরা। তবে পুলিসের ভূমিকা নিয়েও ক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা। যাদবপুর থানার ওসির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করছে তারা। পাশাপাশি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সহউপাচার্যের বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ঘেরাও তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশ তলবের ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের ইস্তফার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল ভেঙে দেওয়ারও দাবি তুলেছে ছাত্রছাত্রীরা। এছাড়া ক্লাস বয়কটের ডাক দিয়েছে সমস্ত বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা। যদিও এবিষয়ে উপাচার্য জানিয়েছেন, ছাত্রদের আন্দোলনে যুক্ত ছিল বহিরাগতরাও। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থেই পুলিশ ডাকতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটা। পুলিশের হাতে প্রহৃত ছাত্রছাত্রীদের হাসপাতালে দেখতে যান জুটার সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, যেভাবে রাতের অন্ধকারে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়াদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে তার তীব্র নিন্দা হওয়া উচিত। পাশাপাশি তাঁরাও উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন।
অপরদিকে, মঙ্গলবার রাতে উপাচার্যকে ঘেরাও করে রাখার জন্য অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি, এমনটাই জানা গিয়েছে। তাঁকে বুধবার সকালে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও উপাচার্যের অভিযোগ অস্বীকার করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বুধবার সকালে পাল্টা অভিযোগ করেন উপাচার্যের বিরুদ্ধে। তারা উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। ছাত্রছাত্রীরা আরও অভিযোগ করেন যে, ছাত্রীদের তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ ভ্যানে কোনও মহিলা পুলিশ ছিল না।
ছাত্রছাত্রীদের এইসব অভিযোগের পাল্টা অভিযোগ করেছেন উপাচার্যও। তিনি বুধবার সকালে বলেন, পুলিশ সময়মতো না এলে আমি খুন হয়ে যেতাম। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছিল ছাত্রছাত্রীরা। তাই তিনি পুলিশ ডাকতে বাধ্য হয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, পাঁচদিনের পূর্ণ বিশ্রামে গিয়েছেন উপাচার্য।
এদিনের এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিভিন্ন মহলের বিশিষ্টজনরা। বুধবার বিকেলে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে। যাদবপুর বিশববিদ্যালয় চত্বর থেকে শুরু হয়ে মিছিল যায় গোলপার্ক পর্যন্ত। এরপর গোলপার্ক থেকে মিছিল আবার ফিরে আসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। মিছিলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি যোগ দেয় প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাও। এছাড়া ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে এই মিছিলে যোগ দেন শিক্ষাবিদ মিরাতুন নাহার, নাট্য ব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন, চিত্রশিল্পী সমীর আইচ, সমাজকর্মী সুজাত ভদ্র, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অম্বিকেশ মহাপাত্র, নিহত প্রতিবাদী শিক্ষক বরুণ বিশ্বাসের বাবা জগদীশ বিশ্বাস প্রমুখ।
- See more at: http://www.sakalervarta.com/sn/2014/09/17/39308.html#sthash.znHUbICY.dpuf

দিনভর যাদবপুর: Timeline

দিনভর যাদবপুর: Timeline
কলকাতা: নজিরবিহীন ঘটনার স্বাক্ষী রইল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ঘেরাওমুক্ত  হতে ক্যাম্পাসে পুলিস  ডাকলেন উপাচার্য। ঘেরাও তুলতে গেলে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে আহত হন ৩৩ জন ছাত্র। পুলিস লাঠি ও টিয়ার গ্যাস নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকে এবং ঘেরাও তুলতে তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ ছাত্রছাত্রীদের।
TIMELINE পড়ুন:
৬টা ২০: নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী রইল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। আলো নিভিয়ে ছাত্রছাত্রীদের ওপর নির্বিচারে লাঠি চালাল  পুলিস। ছাত্রীদের অভিযোগ, তাদের মাড়িয়ে দিয়ে চলে যান পুলিসকর্মীরা। পুলিসের বুটের আঘাতে আহত ছাত্রীদের নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মারমুখী বহু বহিরাগতকেও দেখা গেছে পুলিসের সঙ্গে। ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্ন , যারা পুলিসের সঙ্গে ঢুকেছিলেন তারা যাদবপুরে পড়েন না, পড়ানও না  অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীও না। তাহলে তাঁরা কারা? তাঁদের অভিযোগ, এরা তৃণমূলের লোক। তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টিএমসিপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। গোটা রাত ধরে কার্যত পুলিসি তাণ্ডব চলে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। দিনের বেলা রাস্তা অবরোধ শুরু করেন ছাত্রছাত্রীরা। এরপর তাঁরা ক্লাস বয়কটের পথে যাবেন। পাঁচদিনের পূর্ণ বিশ্রামে গেছেন উপাচার্য।সব মিলিয়ে এই মুহুর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে চরম অচলাবস্থা জারি। এতকিছুর মূলে রয়েছে ছাত্রছাত্রীদের একটি দাবি। তাদের দাবি ছিল, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছিল, তাতে বাইরের নিরপেক্ষ কাউকে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে।
বিকেল ৫টা:  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গভীর রাতে  পুলিসের লাঠিচার্জ ও বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে মিছিলে সামিল হলেন ছাত্রছাত্রীরা। সামিল হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা। মিছিলে যোগ দিয়েছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ এবং সমাজের বিশিষ্টজনেরাও। যাদবপুর বিশববিদ্যালয় চত্বর থেকে শুরু হয়ে মিছিল যায় গোলপার্ক পর্যন্ত। এরপর গোলপার্ক থেকে মিছিল ফিরে আসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। মিছিলে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হন ছাত্রছাত্রীরা। পুলিসের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে আগামিকাল ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এসএফআইসহ চার বাম ছাত্র সংগঠন।
বিকেল ৪টা ৪৫:  যে ভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালেয় ঢুকে পুলিস নির্যাতন চালিয়েছে তা নিন্দনীয়। এই উপাচার্য তাঁর পদে থেকে গেলে সরকারের ভাবমূর্তির আরও ক্ষতি হবে। ছাত্রছাত্রীদের প্রতিবাদ মিছিলে পা মিলিয়ে বললেন নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন।
৪টে ৪০: উপাচার্যের পদে থাকার কোনও অধিকার নেই। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা প্রসঙ্গে এমনই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর অভিযোগ, সরকার, শাসকদল, পুলিস এবং উপাচার্য , সকলে মিলে পরিকল্পনা করেই ছাত্রছাত্রীদের  ওপর সংগঠিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। কেন রাতের অন্ধকারে পুলিস ডেকে ছাত্র পেটাতে হল উপাচার্যকে, এই প্রশ্নও তুলেছেন বিরোধী দলনেতা।
৪টে ৩৫:  যাদবপুরে ছাত্রদের উপর পুলিসের হামলার কড়া নিন্দা করলেন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, ছাত্রদের উপর এমন নির্মম হামলা পশ্চিমবঙ্গে আগে কোনদিন হয়নি।
৪টে ১৫:  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় আদালতের অধীনে তদন্তের দাবি করলেন বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থ নাথ সিং। তাঁর বক্তব্য, আলোচনার রাস্তাতেই সমস্যার সমাধান করতে হবে যাদবপুরে।
৩টে ১৫:"" আর একটু ধৈর্য ধরা উচিৎ ছিল পুলিসের।'' যাদবপুরের ঘটনায় মন্তব্য ফিরহাদ হাকিমের।
দুপুর ৩টে: যাদবপুর ৮ বি বাসস্যান্ডের সামনে পথ অবরোধ এস এফ আইয়ের। গতরাতে যযাদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে লাঠিচার্জের ঘঠনার নিন্দা এস এফ আইয়ের।" ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর হামলা', বললেন সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
২টো ২১:  যাদবপুরের ঘটনায় উপাচার্যের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করলেন শিক্ষাবিদ অমল মুখোপাধ্যায়। ক্যাম্পাসে পুলিস ডেকে অনৈতিক কাজ করেছেন উপাচার্য বলে মন্তব্য তাঁর। পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকারও নিন্দা করেছেন অমল মুখোপাধ্যায়।
২টো ১২: গলায় ঝুলছে প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা ছাত্রছাত্রীদের ওপর পুলিসি অত্যাচারের বিরুদ্ধে স্লোগান। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার প্রতিবাদে আজ এভাবেই পথে নেমেছিলেন বর্ধমানের কেতুগ্রামের কেউগুড়ি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুবীর কুমার মণ্ডল। সকালে টেলিভিশনে যাদবপুরকাণ্ডের খবর দেখার পরই ক্ষুব্ধ সুবীরবাবু প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নেন। সকাল থেকে কাটোয়া শহরের রাস্তায় রাস্তায় গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে ঘোরেন তিনি।
২টো ০৫: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভে সামিল ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিসের লাঠিচার্জের আগে হঠাতই নিভে গিয়েছিল আলো। ছাত্রদের অভিযোগ, গতকাল রাতে সুপরিকল্পিত ভাবে আলো নিভিয়ে দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই।
দুপুর ১টা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভিতর ঢুকে পুলিসের নির্মম অত্যাচার। অবাধে চলল লাঠি। সাদা পোশাকের পুলিস ব্যাপক মারধর করল ছাত্রছাত্রীদের। দেখুন এক্সক্লুসিভ ছবি চব্বিশ ঘণ্টার ক্যামেরায়।
১২টা ৪০:  ছাত্রছাত্রীদেরই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিত্‍ চক্রবর্তী। বহিরাগতদের নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা গতকাল তাঁকে ঘেরাও করে রাখে বলে তাঁর অভিযোগ। পুলিস এসে তাঁকে উদ্ধার না করলে তিনি খুন হয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন উপাচার্য।
বেলা ১২টা: লাগাতার ছাত্র ঘেরাওয়ের জেরে অসুস্থ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিত্সা হয় উপাচার্য অভিজিত্ চক্রবর্তীর। শুধু তিনিই নন। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরও কয়েকজন অধ্যাপক। জানিয়েছেন উপাচার্য অভিজিত্ চক্রবর্তী। তদন্তে চলাকালীন ছাত্রছাত্রীদের এই বিক্ষোভ-ঘেরাও অপ্রত্যাশিত বলেই দাবি উপাচার্যের। ঘেরাওয়ের সময়ে অনেকেই বহিরাগত ছিলেন বলেও অভিযোগ তাঁর। বিষয়টি  ইতিমধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন উপাচার্য।

Partha Kayal with Satya Narayan and 36 others
15 hrs · Edited ·
The peaceful and non-violent protests by the students and supporters of Jadavpur University took an ugly turn today(https://www.youtube.com/watch?v=L-9Ua0-hHEA#t=44) when the police and RAF attacked them, resorting to unprovoked and indiscriminate violence upon all the students present at the sit-in outside Aurobindo Bhavan.DT 17TH Sept'14
“ We were at Aurobindo Bhavan, opposite Gate no. 1, singing, when we suddenly see policeman coming towards us. This was around 2am. We got up and started chanting slogans, and fearing an attack, created human barricades(composed of men) to protect the protesters. We saw 5 or 6 RAF cars pull in and park outside Gate No.1. Then the main gate, which is always kept shut, was thrown open and policeman, in khakis, in white uniforms and even civil dressed policeman charged towards us and tried to tear down the human barricade by pulling down the men and beating them up. There were no women police present and we were requesting the police to not harm the women. My friend, Diptokirti Samajdar,who was part of the human barricade was pulled to the ground and beaten repeatedly on the head till he was unconscious. They continued beating him even then so I jumped in to protect him and cover his head. The khaki police retreated as they did not want to harm a woman but the civilian dressed cops dragged me away by the legs. I was crying, but they continued to beat me, hit my head and backbone. Two of the protesters jumped in to save me and got beaten severely. The policemen then started hitting the students, both men and women, on their stomachs, heads and chests. The authorities were present and could see this happening from the other side of the grill. They offered us no help or first aid and refuse to give us water. The police then picked up the protesters, dragged them to the RAF vans and took them away.”
The peaceful and non-violent protests by the students and supporters of Jadavpur University took an ugly turn today(https://www.youtube.com/watch?v=L-9Ua0-hHEA#t=44) when the police and RAF attacked them, resorting to unprovoked and indiscriminate violence upon all the students present at the sit-in outside Aurobindo Bhavan.DT 17TH Sept'14
 “ We were at Aurobindo Bhavan, opposite Gate no. 1, singing, when we suddenly see policeman coming towards us. This was around 2am. We got up and started chanting slogans, and fearing an attack, created human barricades(composed of men) to protect the protesters. We saw 5 or 6 RAF cars pull in and park outside Gate No.1. Then the main gate, which is always kept shut, was thrown open and policeman, in khakis, in white uniforms and even civil dressed policeman charged towards us and tried to tear down the human  barricade by pulling down the men and beating them up. There were no women police present and we were requesting the police to not harm the women. My friend, Diptokirti Samajdar,who was part of the human barricade was pulled to the ground and beaten repeatedly on the head till he was unconscious. They continued beating him even then so I jumped in to protect him and cover his head. The khaki police retreated as they did not want to harm a woman but the civilian dressed cops dragged me away by the legs. I was crying, but they continued to beat me, hit my head and backbone. Two of the protesters jumped in to save me and got beaten severely. The policemen then started hitting the students, both men and women, on their stomachs, heads and chests. The authorities were present and could see this happening from the other side of the grill. They offered us no help or first aid and refuse to give us water. The police then picked up the protesters, dragged them to the RAF vans and took them away.”
LikeLike ·  · Share

Jadavpur University - Official Site

www.jaduniv.edu.in
Offers under-graduate and post-graduate programs in engineering, science, and conducts adult education programs. Information on admissions, courses, contacts ...

Woman molested on campus: 35 Jadavpur University …

timesofindia.indiatimes.com › City19 hours ago
17-09-2014 · KOLKATA: In the latest development in the Jadavpur Universitymolestation case, 35 students who were part of a protest outside the campus have …

Jadavpur University - Wikipedia, the free encyclopedia

en.wikipedia.org/wiki/Jadavpur_University
Jadavpur University or JU is a public research university located in Kolkata, West Bengal. It has two campuses: the main campus at Jadavpur and the new campus at …

Jadavpur University, Kolkata - Admission, Courses, Fee ...

www.minglebox.com/college/Jadavpur-University-Kolkata
Get admission details, courses , faculty, ranking, fee structure and more information aboutJadavpur University, Kolkata (JU) - Kolkata

Jadavpur University molestation case: Cops lift gherao of ...

www.hindustantimes.com › India-NewsIndia
The Jadavpur University vice-chancellor and registrar, who were held by students demanding a fresh probe into the alleged sexual harassment of a female student inside ...

News about Jadavpur University

bing.com/news

Jadavpur University

Bing Local

THE MEDIA LAB, A Project of the Department of Film Studies ...

medialabju.org
Jadavpur University. Home; About; Archive. Essays. Hindu Marriage Act; Cinema & the City; Sound; Databases. Law & the Image; History of Indian Cinema; Sound Cultures ...

Jadavpur University molestation case: Students seek VC's ...

www.aninews.in/newsdetail2/story183833/jadavpur-university...16 hours ago
Kolkata, Sept.17 (ANI): Jadavpur University students have sought the resignation of the Vice Chancellor after 23 students were arrested while protesting outside the ...

Jadavpur University: Gherao of VC forcibly lifted, 35 ...

www.deccanherald.com/content/431287/jadavpur-university-gherao-vc...
Jadavpur University: Gherao of VC forcibly lifted, 35 students held Ebola death toll climbs to 2,461 out of 4,985 cases: WHO MIT tops world Univ rankings, IIT ...

Master of Arts in Political Science with International ...

Master of Arts in Political Science with International Relations - Jadavpur University | JU Kolkata | Admission Courses Fee Contact Address

Jadavpur University molestation case: Police arrest 35 ...

zeenews.india.com › StateWest Bengal
17-09-2014 · The West Bengal Police has arrested 35 students, who were protesting the molestation of a student on the campus of Jadavpur University.
In a day of fast happening dramatic development, authorities of Jadavpur University and police are clearly in backfoot in front of nationwide outrage regarding apathy towards protesting student. In all the protest, the ruling …Daily News and Analysis · 4 hours ago
KOLKATA: Jadavpur University girls were dragged by the hair and groped, and male students were kicked and punched in a barbaric, dead-of-the-night police assault to break up a peaceful gherao of the vice-chancellor on …Times of India · 1 hour ago
Hindustan Times
The Indian Express
KOLKATA: The man who called police to the Jadavpur University campus in the dead of night will now be heading the inquiry into the incident and submit a report to the education minister. The minister will then forward it to the chief minister. This, when ...Times of India · 53 minutes ago
The dispute between students and authorities at Jadavpur University in Kolkata has reached an impasse with the police forcibly ending a gherao and arresting 35 students from the campus. The protests followed an …Firstpost · 8 hours ago
Asserting that West Bengal government will not tolerate student indiscipline under any circumstances, state Education Minister Partha Chatterjee, on Wednesday, said the impasse atJadavpur University can be solved …The Indian Express · 10 hours ago
Kolkata: Asserting that the West Bengal government will not tolerate student indiscipline under any circumstances, state Education Minister Partha Chatterjee on Wednesday said that the impasse at Jadavpur …IBN Live · 16 hours ago
Kolkata: The West Bengal Police on Wednesday freed 35 students, who were arrested this morning for protesting the molestation of a student on the campus of Jadavpur University. The police also forcibly lifted the …Zee News · 13 hours ago
New Delhi, Sep. 17 (ANI): The president of the women's wing of the Congress Party, Shobha Oza said Wednesday that it is extremely crucial to investigate the Jadavpur University molestation case, and added that the issue should be taken seriously.Yahoo! India News · 9 hours ago
Kolkata, Sep 17: Jadavpur University Vice Chancellor Abhijit Chakrabarti, who was rescued by the police after being held hostage by students, today said he feared that he would have been killed had the police not come.

14 hrs · Edited ·

The entire ruckus at JU is being manufactured by the VC to foreclose the molestation issue and protect the accused. SFI strongly condemns the VC for setting loose a group of violent outsiders and armed policemen on a peaceful protest demonstration, permitting them to attack his own students in his presence. The state education ministers comment asking students to come to their senses is unacceptable: the protests at JU were in a just cause and had not used any objectionable means. SFI demands the resignation of the VC and seeks for the immediate intervention of the Chancellor.

Sujan Chakraborty
2 hrs ·
Strongly condemn the unprecedented brutal attack at midnight by police and outside trinamuli goondas against the students in Jadavpur university campus. As an ex student of the university, feeling ashamed and agrieved. The acting vice chancellor has no moral right to continue.
  • উন্মাদ হার্মাদ's photo.
  • 2 hrs · Like · 2
  • Tarit Chakraborty Saheb's photo.
  • 2 hrs · Like · 3
  • Gopal Das mar tora koto marbi mar...... amra roktobijer jhar......... marbi joto barbe michil, khomota thakle mar
  • 2 hrs · Like · 2
  • Ronit Chowbey কলকাতা পুলিশেরো শাস্তি চায়
  • Sayan Ghose Aae uttsrinkholotar proti tibro dhikar janai
  • Jyoti Sankar Gangopadhay rastai rasta dyakhabe .
  • Joypritam Chatterjee's photo.
  • 2 hrs · Like · 1
  • Joydeep Bhowmick Mar ka badla hobe mar berechis tora baro bar tai balchi samay thake thakte bangla theke hoyeja pagarpar
  • Joydeep Ghosh Underworld Politics by LADY NEERO.
  • Joypritam Chatterjee's photo.
  • 2 hrs · Like · 3
  • Manish Majumder He is a hypocrite
  • Parthasarathi Pathak oi upcharjer sikhangane thakar joggota nai
  • Soma Biswas jordar andolon dorkar.police ke die eisob korie sarada kando theke najor ta sorate chaichena to?
  • Shilbhadra Datta Beat any opposition to pulp , grind them down , break the backbone of any student protest and make them grovel to submission is a practice adopted by the police during the last 36 months to Appeasement of the Madame . What an Idea Sir-Ji !Why send police i.e, choti police and genjee police , in plain cloths at 02:00 hrs after switching off the lights ? These students weren't Naxalites of 1969-70 or neither was the VC's life in threat !"Talibani Act" and show of power by VC who chooses to walk out in the darkness of night without answering the questions of the students after conveniently switching off the light and bringing in 'lathi chraging' choti police and genjee police . Wah bhai wah bahi wah !Any "andolone" by students is not the opinion trend setter for the 'Ma-Mati-Manush' party's vote bank and that's what matters for 'Madame - X' ! Madame - X has DEV , has TOLLYWOOD what else matters , Chowrangee elections have been won by an actress and that's what matters i.e., numbers in the assembly ! I've seen(I was a little boy then) the Police atrocities on Naxalites on the evening of 8 DEC'70 by JADAVPUR THANA , don't ask me how I saw it . Watching it was a trauma ! Students were dragged out of the boys students hostel which is next to the Jadavpur P.S., beaten, vomiting , bleeding and dragged to the thana on the suspicion of being Naxalites ! JU campus records the "New Jalianwallah Massacre" ! Attack by 'ganjee police , hawai police' and uniformed police, on a gathering of students of JU peacefully protesting and seeking justice from their VC on account of sexual atrocities on a fellow student is very similar to firing by Gen Dyer on a crowd of non-violent protesters, along with Baishakhi pilgrims who had gathered on13 April 1919, in the Jallianwala Bagh garden in Amritsar, to protest against the arrest of two leaders despite a curfew which was recently declared ! One has enough of such examples of police atrocities in India to showcase before looking for such a scenario beyond the shores of Bay Of Bengal or across the Himalayas and blaming it on China with the example of firing in Tiananman Square or on 34 years of Leftists rule in WB for what is happening today ! Sujan Chakraborty the cynic that I'm , at times I wonder if all these "wordly protest" on FB is really worth the effort ?
  • Bappa Nandi SFI ke kalke pathe namte hobe student strick safal korte.akranta hole jhapia parte hobe netryto ke and amader.
  • Krishnakoli Banerjee Ebar r kalom kagoj, mukhopustikaaye mukh gunje thakle habena, pathe namte habe , police, gundarupi police
  • Krishnakoli Banerjee Police kato marbe? Police jeno Newton er tritiyo goti sutro ta na bhule jaaye, jot bandho tairi hao
  • Krishnakoli Banerjee Dada apnara chhatro chhatro-chhatri der pashe asun, police apnader gaaye haat dik, sara shahor stabdho kore debo, jadav
  • Krishnakoli Banerjee Ei samoy comrade er hasi mukh ta profile picture e thik manacchena


No comments: