Tuesday, August 18, 2015

Minorities in Bangladesh demand representation per population.জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংসদে সংখ্যালঘুদের আসন চাই : রানা দাস গুপ্ত

জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংসদে সংখ্যালঘুদের আসন চাই : রানা দাস গুপ্ত

নয়ন চ্যাটার্জি

রানা দাশগুপ্ত

দৈনিক প্রথম আলোতে আজকের মতামত বিভাগে রানা দাস গুপ্ত নামক এক হিন্দু নেতার সাক্ষাৎকার পড়লাম। সে সাক্ষাৎকারে রানা দাসের কণ্ঠে ভারতের উগ্রবাদী হিন্দু বিজেপি-আরএসএস'র সুরও পেলাম। (http://goo.gl/DJJQBW)

যাই হোক, বক্তব্যে রানা দাস গুপ্ত বলেছে, তারা (হিন্দুরা) জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংসদে সংখ্যালঘুদের আসন চায়। আমার মনে হয় এটা খুব ভালো কথা ।
এজন্য বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের সংখ্যা ঠিক কত, এটা পুনরায় গণনা করার দরকার আছে। হাবিজাবি ২০ বছর আগের গণনা দিয়ে হিন্দুদের পরিমাপ করা ঠিক নয়। বলা হয়, বাংলাদেশে সরকারি হিসেবে হিন্দুদের সংখ্যা ৮% ভাগ, তবে এটা অনেক পুরাতন হিসেব। এর কোন সঠিক ভিত্তি নেই। কারণ হিন্দুদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার মুসলিমদের থেকে অনেক কম, অন্যদিকে সুযোগ পেলেই হিন্দুরা ভারতে চলে চায়। তাই একটা পারফেক্ট আদমশুমারী করলে বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রকৃত সংখ্যা বেড়িয়ে আসবে। 

ধরুন বাংলাদেশে প্রত্যেক থানা/উপজেলায় গড়ে ৫ হাজার করে হিন্দু আছে, তাহলে মোট ৫০০ থানা/উপজেলায় আছে ২৫ লক্ষ হিন্দু, যা ১৬ কোটি জনসংখ্যার ১.৫% কিংবা প্রত্যেক থানা/উপজেলায় গড়ে ১০ হাজার করে হিন্দু আছে, তাহলে মোট ৫০০ থানা/উপজেলায় আছে ৫০ লক্ষ হিন্দু, যা ১৬ কোটি জনসংখ্যার ৩.০ %

এবার আপনি বলুন, আপনার উপজেলা/থানায় কত হিন্দু আছে ?? ৫ হাজার না ১০ হাজার ?
আমি জানি অধিকাংশ থানা/উপজেলায় ৫ হাজার হিন্দু খুজে পাওয়া দুষ্কর (বিশ্বাস না হয় আপনার থানা/উপজেলায় খবর নিয়ে দেখুন)। হিন্দুরা নির্দ্দিষ্ট কোন এলাকায় একত্র হয়ে থাকে। এজন্য প্রথমে ঘর হিসেব করলে এরপর প্রত্যেক ঘরকে আনুমানিক ৪-৫ দিয়ে গুন করলে আপনি হিন্দু জনংখ্যার মোটামুটি একটা সংখ্যা নির্ণয় করতে পারবেন। 

আমার হিসেব মতে, বাংলাদেশে প্রকৃত হিন্দু সংখ্যা ১.৫-২.০%, এর বেশি কখনই হবে না।
অথচ বাংলাদেশে হিন্দু সাংসদ----
১/ রমেশ চন্দ্র সেন - ঠাকুরগাঁও-১
২/ মনোরঞ্জন শীল গোপাল - দিনাজপুর - ২
৩/ সাধন চন্দ্র মজুনদার -নওগাঁ -১
৪/ রঞ্জিত কুমার শীল -যশোর -৪
৫/ বীরেন শিকদার- মাগুরা -২
৬/ পঞ্চানন বিশ্বাস -খুলনা-১
৭/ নারায়ণ চন্দ্র চন্দ -খুলনা -৫
৮/ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু- বরগুনা- ১
৯/পঙ্কজ দেবনাথ- বরিশাল -৪
১০/ ছবি বিশ্বাস -নেত্রকোনা -১
১১/সুকুমার রঞ্জন ঘোষ -মুন্সিগঞ্জ -১
১২/ মৃনাল কান্তি দাস -মুন্সিগঞ্জ -৩
১৩/ সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত -সুনামগঞ্জ -২
১৪/ ননী গোপাল -খুলনা -১ (বহিষ্কারকৃত)
১৫/ অপু উকিল -নারী সংসদ সদস্য
১৬/ স্বপন ভাট্টচার্য চাঁদ- যশোর-৫
অর্থাৎ ৩৫০টি আসনের মধ্যে হিন্দু সংখ্যা হচ্ছে ৪.৫ %

আবার ,প্রশাসনের হিন্দু আমলাদের সংখ্যা প্রায় ১৮-২৫ %
(http://chairmanbd.blogspot.com/2013/11/blog-post_9675.html)

পুলিশে হিন্দু সংখ্যা ২৫-৩০ % (http://deshbhabona.com/?p=9404)

তারমানে হিন্দু নেতা রানা দাসগুপ্ত'র কথা অনুযায়ী জনসংখ্যার ভিত্তিতে যদি আসন/চাকুরী বণ্টন করা হয়, তবে বাংলাদেশের অনেক এমপি/আমলা/পুলিশকে ছাটাই করতে হবে। 

সত্যি বলতে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুরা যে পরিমাণ সুখে-শান্তিতে আছে সেটা তারা ভারতে গেলেও কল্পনা করতে পারতো না। কিন্তু 'সুখে থাকলে ভুতে কিলায়' বলে একটা প্রবাদ আছে। বাংলাদেশের হিন্দুদের হয়েছে সেই অবস্থা। এরা সারা দিন অলাইনে মুসলমানদের আল্লাহ-নবীকে গালাগাল করে, আর মিডিয়ায় ‍সুযোগ পেলে নির্যাতিত হচ্ছে বলে কেদে কেটে চোখ ভাসায়। খোজ নিলে দেখা যাবে, তারা নিজেরাই নিজেদের মন্দির ভেঙ্গে মুসলমানদের মামলায় ফাসায়, আর মায়াকান্না কেদে সরকারী সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে।

তবে আমি বলবো, তাদের একটা গল্প সব সময় স্মরণ রাখা উচিত----
এক বনে এক রাখাল গরু চড়াতো। সে প্রায় অযথা বাঘ বাঘ বলে চিৎকার করতো, গ্রামবাসী তাকে বাচাতে আসলে দেখতো কোন বাঘ নেই, রাখাল মিথ্যাই চিৎকার করেছে। তাই গ্রামবাসী ধোকা খেয়ে বাসায় ফিরতো।কিন্তু একদিন সত্যিই সত্যিই বাঘ আসলো, সেই দিন রাখাল বাঘ বাঘ বলে অনেক চিৎকার করলো, কিন্তু কোন গ্রামবাসী তাকে রক্ষা করতে আসলো না, ভাবলো নিশ্চয়ই রাখাল মিছে বলছে। এভাবেই একদিন বাঘের পেটে চলে গেলো মিথ্যাবাদী রাখাল।

__._,_.___

--
Pl see my blogs;


Feel free -- and I request you -- to forward this newsletter to your lists and friends!

No comments: