মৃত্যুবার্ষিকীতে হুমায়ুন আহমদকে স্মরণ
১৯ জুলাই ২০১৫,রবিবার, ২১:৩০
বর্ষণমুখর এ দিনে হুমায়ুন আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তার অসংখ্য ভক্ত ও অনুরাগীরাও নুহাশ পল্লীতে উপস্থিত হয়েছিলেন।
দুপুরের পর হুমায়ূন আহমেদের ভাই অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, আহসান হাবীব এবং তিন বোন সুফিয়া হায়দার, মমতাজ শহীদ ও রোকসানা আহমেদ তাদের সন্তানদের নিয়ে ভাইয়ের কবর জিয়ারত করেন।
সমকালীন বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই কথাসাহিত্যিক নাটক-চলচ্চিত্রেও সমান দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
তবে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি ২০১২ সালের ১৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চির বিদায় নেন। পরে তার প্রতিষ্ঠিত নুহাশ পল্লীতেই তাকে সমাহিত করা হয়। যেখানে প্রায় প্রতিদিনই তার হাজার হাজার ভক্ত তাকে শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় জমান।
হুমায়ুন আহমেদের সৃষ্ট চরিত্র 'হিমু' প্রেমীরা আজ সকালে রাজধানীর শাহবাগ থেকে হলুদ পাঞ্জাবী ও নীল শাড়ি পড়ে নুহাশ পল্লীতে আসেন।
এ তরুণ-তরুণীরা লেখকের কবর জিয়ারতের পাশাপাশি ক্যান্সার সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিলি করেন।
এদিন সারাদেশে হিমু প্রেমীরা বৃক্ষরোপণ ও পাঠাগার সেল স্থাপন কর্মসূচি পালন করে বলেও জানান 'হিমু পরিবহন'-এর সদস্য আসলাম হোসেন।
নেত্রকোনায় নন্দিত এ কথাসাহিত্যিকের মৃত্যুবার্ষিকীতে শোক র্যালি ও কালো ব্যাজ ধারণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় লেখকের হাতে গড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ কর্তৃপক্ষ এসব কর্মসূচি পালন করে।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান জানান, তার নেতৃত্বে দিবসটি পালন উপলক্ষে বিকেল ৩টায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের নিয়ে এক শোক র্যালি বের এবং তার প্রতিকৃতিতে ফুলের মালা দেয়া হয়। এরপর নীরবতা পালন, কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়।
প্রধান শিক্ষক জানান, শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণেই এই লেখকের জন্য কোরআন খতম করে।
তিনি আরো জানান, বিকালে তার সভাপতিত্বে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় এবং হুমায়ূন আহমদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিদ্যালয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্র : বাসস - See more at: http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/39424#sthash.cjiqwFTx.dpuf
No comments:
Post a Comment