শহর গড়তে পাহাড় ধ্বংস চিনে
বেজিং: একটা নয়, এক ডজনেরও বেশি পাহাড় চিন থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে ৷ এর ফলে ভূমিক্ষয়, জল ও বাযুদূষণ ও বন্যা এখন সে দেশের মানুষের নিত্যসঙ্গী৷ 'নেচার' পত্রিকায় প্রকাশিত চাং আন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, চিন সরকারের পাহাড় চূড়া গুঁড়িয়ে, উপত্যকা ভরিয়ে নতুন শহর গড়ে তোলার নীতিই এই অবস্থার জন্য দায়ী৷
চিন সরকার বহু বছর ধরে গ্রামীণ আবাসিকদের নগরজীবনে এনে, তাদের আধুনিক অর্থনীতির শরিক করতে এই নীতি অনুসরণ করে আসছে৷ আমেরিকায় এক সময়, খনিশিল্পকে উত্সাহ দিতে পাহাড় ধ্বংস করা হলেও তা কখনই চিনের মতো ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেনি৷
গবেষক দল বলেন, গত দশকে, ৫০০ ফুট উচ্চতার বহু পাহাড় ধ্বংস করে হাজার হাজার বর্গ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে৷ কিন্ত্ত এর ফলে পরিবেশ কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হল তার কোনও মূল্যায়নই হয়নি৷ তাঁদের মতে, 'পাহাড় কেটে, বিশাল পরিমাণ ধূলো ওড়ানো আর পৃথিবীর আবরণে অস্ত্রোপচার করা একই কথা৷' গবেষক দলের এক জন, লি পেইউই বলেছেন, 'সরকারের উচিত প্রকল্প শুরু করার আগে তার প্রযুক্তিগত, ভূতাত্ত্বিক ও পরিবেশগত দিক খতিয়ে দেখা৷' ২০০৭ সালে মধ্য হুবেই প্রদেশের শিয়ান শহরেই প্রথম বুলডোজার দিয়ে পাহাড় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়৷ এর ফল হয় মারাত্মক৷ ধস ও বন্যা তো হয়ই, নদীর গতিপথ পাল্টে যায়, স্থানীয় নদী ও সাগরে জমতে থাকে কাদার স্তর৷ এর ফলে পাললিক শিলার পরিমাণও বেড়ে ওঠে ক্রমশ৷ পাশের শান সি প্রদেশের ইয়ানান শহরে, ২০১২ থেকে, হাওয়ায় উড়ে আসা পলিমাটির উপর ৭৯ বর্গ কিলোমিটার সমতল জমি তৈরি কাজ চলছে৷ এর খরচ পড়বে ১৬০০ কোটি টাকা৷ লি জানিয়েছেন, 'এর ফলে বহু কৃষিজমি নষ্ট হয়েছে এবং এই ধরনের জমিতে ধস হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে৷' --- সংবাদসংস্থাস
চিন সরকার বহু বছর ধরে গ্রামীণ আবাসিকদের নগরজীবনে এনে, তাদের আধুনিক অর্থনীতির শরিক করতে এই নীতি অনুসরণ করে আসছে৷ আমেরিকায় এক সময়, খনিশিল্পকে উত্সাহ দিতে পাহাড় ধ্বংস করা হলেও তা কখনই চিনের মতো ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেনি৷
গবেষক দল বলেন, গত দশকে, ৫০০ ফুট উচ্চতার বহু পাহাড় ধ্বংস করে হাজার হাজার বর্গ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে৷ কিন্ত্ত এর ফলে পরিবেশ কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হল তার কোনও মূল্যায়নই হয়নি৷ তাঁদের মতে, 'পাহাড় কেটে, বিশাল পরিমাণ ধূলো ওড়ানো আর পৃথিবীর আবরণে অস্ত্রোপচার করা একই কথা৷' গবেষক দলের এক জন, লি পেইউই বলেছেন, 'সরকারের উচিত প্রকল্প শুরু করার আগে তার প্রযুক্তিগত, ভূতাত্ত্বিক ও পরিবেশগত দিক খতিয়ে দেখা৷' ২০০৭ সালে মধ্য হুবেই প্রদেশের শিয়ান শহরেই প্রথম বুলডোজার দিয়ে পাহাড় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়৷ এর ফল হয় মারাত্মক৷ ধস ও বন্যা তো হয়ই, নদীর গতিপথ পাল্টে যায়, স্থানীয় নদী ও সাগরে জমতে থাকে কাদার স্তর৷ এর ফলে পাললিক শিলার পরিমাণও বেড়ে ওঠে ক্রমশ৷ পাশের শান সি প্রদেশের ইয়ানান শহরে, ২০১২ থেকে, হাওয়ায় উড়ে আসা পলিমাটির উপর ৭৯ বর্গ কিলোমিটার সমতল জমি তৈরি কাজ চলছে৷ এর খরচ পড়বে ১৬০০ কোটি টাকা৷ লি জানিয়েছেন, 'এর ফলে বহু কৃষিজমি নষ্ট হয়েছে এবং এই ধরনের জমিতে ধস হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে৷' --- সংবাদসংস্থাস
No comments:
Post a Comment