Monday, May 25, 2015

Chhandak Chatterjee গরম থেকে বাঁচতে, চুমুক দাও আস্তে আস্তে সোনা চাই দানা চাই মিছরির পানা চাই এসি চাই ফ্রিজ চাই


গরম থেকে বাঁচতে, চুমুক দাও আস্তে আস্তে

সোনা চাই দানা চাই
মিছরির পানা চাই
এসি চাই ফ্রিজ চাই

ব্যাপক দাবদাহে এখনও ভারতে ৪০০ জন মানুষ মারা গেছেন বলে জানা যাচ্ছে । পারাদ্বীপ বন্দরের কাছে ওড়িশার উপকূল জুড়ে লাখ লাখ গাছ কেটে দেওয়ার ফলে কবছর আগে বিশাল ঘূর্ণি ঝড়ে প্রান হারিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ । ওই গাছ গুলো উপকূলে ঝড়ের ব্যারিকেড করতো ।

বড় বাঁধের ফলে বহু জায়গা আজ বন্যা কবলিত । নদীর স্বাভাবিক গতিপথে বড় বাঁধ তৈরি করে তার গলায় বকলস পরিয়ে নদীকে শাসনের যে ইতিহাস শুরু হয়েছিলো, নদী তা ফিরিয়ে দিয়েছে ।

কদিন আগে নেপালে যে ভুমিকম্প হয়েছে, বহু পেটোয়া সংবাদপত্র, আবহাওয়া বিজ্ঞানী তারস্বরে চিৎকার করছে এর সঙ্গে মানুষের কোন সম্পর্ক নেই । ঠিক ভুমিকম্পের পরেই এই আওয়াজ তীব্রতর হয়েছে । কিন্তু যে পরিমানে গড় তাপমাত্রা বাড়ছে, সেখানে বরফ গলছে এবং তা এসে জমা হচ্ছে উপকূল অঞ্চলে, বন্যার প্রবনতা বাড়ছে এবং সে চাপ দিচ্ছে লিথোস্ফিয়ারে । হয়তো বরফ পিণ্ড গলতই কিন্তু আমরা তাকে তরান্বিত করছি । এরকম কারনেও ভুমিকম্প হতেই পারে ।

এখন দেখছি এই প্রবল গরম থেকে বাঁচতে সকলেই চাইছে পাহাড়ে যেতে । ট্রেনের টিকিট বুকিং চলছে । পাহাড়ে গিয়ে কি হবে, সেখানে বারুন থাকা সত্ত্বেও গড়ে উঠবে ১০ তলা বাড়ি । যেখানে সবসময় বিদ্যুৎ জোগানের জন্য নদীতে বাঁধ দিয়ে তৈরি হবে জল বিদ্যুৎ । পর্যটকদের জন্য থাকবে হেলিকপ্টার রাইড এবং এরই পরিনতিতে ঘটবে উত্তরাখণ্ড ।

পাহাড়, নদী, জঙ্গল বাঁচানোর যখন চেষ্টা করবে ভারতের ভুমিপত্ররা তখন তাদের গুদুম গুদুম করে মারা হবে । তারা যখন গাছ বাঁচাতে রাতের পর রাত গাছ জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে থাকবেন তখন গাছের সাথেই তাদের চেরা হবে করাত দিয়ে । তারা যখন নিয়মগিরি, গন্ধমারদন পাহাড় লুঠতে দেবেন না, তখন তাদের জেল বন্দী করা হবে । তারা যখন নর্মদায় বাঁধ দিতে দেবেন না বলে, কুদানকুলামে নিউক্লিয়ার পাওয়ার বানাতে দেবেন না বলে গলা পর্যন্ত বালিতে, জলে ডুবে প্রতিবাদ করবেন তখন শহুরে বানচোত'রা মধুচন্দ্রিমা করবেন, মৌজ করবেন । খিস্তি করবেন ।

শালবন, পাহাড়, ঝর্না, নদী, উপকূল সব সব সব থাকুক জারোয়া দের জন্য । অসভ্য বর্বর লুঠেরা শহুরেদের জন্য একচিলতে বসুন্ধরাও নয় ।

Chhandak Chatterjee's photo.

No comments: